‘মাতৃ ভাষা রুপে খনি, পূর্ণ মণিজালে
দীপেন্দু চৌধুরী বেলা শেষের গান লিখতে বসেছি বলা যাবে না। বছর শেষের সংলাপ আবৃত্তি করছি সেটাও বলতে পারছি না। কারণ এই দিনে আমরা প্রতি বছর উচ্চারণ করব আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ভাষা নিয়ে বিতর্ক আজকের বিষয় নয়। ভাষাবিদরা টানা লম্বা এক বিতর্ক বাধিয়ে দিতে পারেন। এই বছর কলকাতা বইমেলায় এসে বাংলা ভাষার বৈচিত্রের কথা বলে গেলেন ‘হাজার বছরের বাঙালির সংস্কৃতি’-র লেখক গুলাম মুর্শিদ। আমাদের পশ্চিমবঙ্গেই বাংলা ভাষার কত বৈচিত্রের প্রসঙ্গে তিনি আলোচনা করে গেলেন। বললেন বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলভেদে বাংলা ভাষার পার্থক্যের কথা। শব্দ চয়নের পার্থক্য, বাক্য গঠনের বৈচিত্র। আঞ্চলিক প্রকারভেদের প্রসঙ্গে তিনি বলে গেলেন। তার কথার বাস্তবতা পাওয়া যায় বিভিন্ন লেখায়। পূর্ববঙ্গ নামক একটি ভূখণ্ডের বৈচিত্রের একটি খন্ড ছবি উল্লেখ করা যাক। ‘বিক্রমপুরের ইতিহাস’-এ যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত লিখছেন, ‘’ ‘বাইদা’ বা বেদে নামক একশ্রেণীর পাবর্বত্য অসভ্য জাতীয় লোক বিক্রমপুরের বাণিজ্য-বন্দর সমূহের নিকটে নৌকা যোগে বসবাস করিয়া থাকে, ইহাদের স্ত্রী পুরুষ উভয় সম্প্রদায়ই ব্যাবসায়ে বিশেষ দক্ষ। ...ইহারা নদী, খাল, বিল হইতে অপর্যাপ্ত পরি