Posts

Showing posts from June, 2021

সেন্ট্রাল ভিস্তার নতুন সংসদ ভবনের সিংহাসন দখলের দৌড়

Image
দীপেন্দু চৌধুরী আমরা হাহাকার করে চিৎকার করলেও দেশ-দশের দায়িত্ব নিতে পারব না। আমাদের সেই যোগ্যতা নেই। গলাবাজি করে সুরেলা গানও গাইতে পারব না। আমাদের সেই যোগ্যতাও গড়ে ওঠেনি। নারদকাঠি হাতে তবলাও বাজাতে পারি না। এই না পারার জন্য হাহাকার করেও দেখেছি ‘রাজনীতির লক্ষ্মণ’ রেখা টপকাতে পারিনি। সেই কারণে এতগুলি ‘না’ পারার গল্প অ-ছান্দিকভাবে সাজিয়ে দিতে হচ্ছে। নিজের কথা নয় দশের কথা বলতে পারলে মানুষ হিসেবে গর্ব হয়। দেশের কথা বলার সময় রাজনীতির ময়দানে বাধ্য হয়ে নেমে পড়তে হয়। রাজনীতির কুশিলবদের প্রসঙ্গ অনাবিল প্রাসঙ্গিকতায় এসে যায়। আমাদের দেশ ভারতকে বর্তমান আলোচ্য করোনা অর্থনীতিতে কেমন যেন ক্লান্ত দেখাচ্ছে। করোনা সভ্যতা শুরু হওয়ার আগে থেকেই মোদীর নেতৃত্বে এনডিএ সরকারের ব্যর্থতা প্রকট হতে থাকে। ব্যাঙ্ক-বীমা ক্ষেত্রে বিলগ্নিকরণ। একগুছ শিল্পপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ব্যাঙ্কের হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে গিয়ে বহাল তবিয়তে আছে। টাকা আত্মসাৎ করা এবং বিদেশে চম্পট দেওয়ার ঘটনা মোদী সরকারের আমলেই ঘটেছে। কৃষক বিরোধী তিন কৃষি আইন, নতুন শ্রম আইন মোদী সরকারের নেতৃত্বে সংস্কারের কাজ না উন্নয়ন বিরধী প্রযোজ

মগজে কার্ফুঃ হোম সেন্টারে দুই পরীক্ষা কেন নয়!

Image
  দীপেন্দু চৌধুরী   কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এ বছরের মতো বাতিল করা হয়েছে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা।৭ জুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘’সোমবার(৭ জুন) বেলা ২টো পর্যন্ত ৩৪ হাজার ই-মেল পেয়েছি। তার মধ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার বিপক্ষে ৭৯ শতাংশ মানুষ মত দিয়েছেন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার বিপক্ষে মত দিয়েছেন ৮৩ শতাংশ। এটা সাধারণ মানুষের মত। অনেক ছাত্রছাত্রীও মতামত দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টেরও একটা মতামত রয়েছে। আমাদের বিশেষঞ্জ কমিটিও বলেছে, এই কোভিড পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া উচিত নয়। অনেক স্কুলে সেফ হোম হয়েছে। তাই আমরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিচ্ছি না।‘’ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি আবু তাহের কামরুদ্দিন জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী আলিম, ফাজিল, হাই মাদ্রাসা পরীক্ষা বাতিল হল। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দশ বছর পার করেছেন। এই বারও তিনি বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হয়ে ফিরে এসেছেন। দশ বছর প্রশাসন চালানোর পর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা অনেক বেশি সহনশীল।অনেক বেশি সহিষ্ণু।একুশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকের প্রথম ভাগে বিরোধীনেত্রী এবং রাজ্যের মুখ্য প্

অগ্নিমূল্য বাজারের দহনে মানুষের দিশাহারা অবস্থা

Image
দীপেন্দু চৌধুরী   অনেকেই কথাটা বলছেন, বাব্বা বাজারে কোনও জিনিসে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। আগুন দাম।হাত পুড়ে যাচ্ছে।নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছা-পোষা কেরানিবাবু বলছেন, সকালে বাজার করতে গেলে প্রতিদিন সবজির দাম, মাছের দাম বাড়ছে। গোষ্ঠগোপাল বাবুরা মাছ-সবজির বরাদ্দ হিসেবে ৩০০-৪০০ টাকা প্রতিদিন খরচ করতে পারছে। তাতে হয়ত সঞ্চয় কমছে তাদের। কিন্তু রাজ্য সরকারের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীদের কাছ থেকে শোনা যাচ্ছে অন্য অভিঞ্জতার কথা। ওদের বক্তব্য, আরে ওরা তাও পারবে কারণ অফিসার-কেরানি বাবুদের বেতন অনেকটাই বেড়েছে। আমাদের অবস্থা আরও খারাপ। প্রতিদিন মাছ খাওয়ার কথা ভুলেই গেছি। মাছ কিনতে গেলে সবজি কিনতে পারছি না। সবজি কিনতে গেলে মাছ কিনতে পারছি না।আনাজের দাম বেড়েই চলেছে। তারপর ওষুধের টাকা আছে। এর থেকে আরও বড় সমস্যা সর্ষের তেল, ডাল, আটা, চাল, চিনি বা মুদিখানার জিনিসের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।সর্ষের তেল প্রায় ২০০ টাকা। ভাবুন একবার কোন রামরাজ্যে আছি আমরা। করোনার সময়ে আবার প্রোটিন না খেলে হবে না।তাই পাতে ডিম রাখছি। সুগার ফ্রি মাছ (চারাপোনা), তেলাপিয়া দিয়ে দুপুরেরটা চালিয়ে নিতে হচ্ছে। এভাবে যে কতদিন চলবে কে জানে? নিত্যপ্

বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের হারকে কেন মেনে নিতে পারছে না!

Image
দীপেন্দু চৌধুরী   আলোচ্য ‘নারদ’ কতটা রামায়ন বা মহাভারতের? আর কতটাই বা ‘ব ংগা ল’ রাজ্যের রাজ্য-রাজনীতি? গত পাঁচ-ছ বছর ‘নারদ’ নামক এই বংগাল এপিসোডের কোনও লাতাপাতা ছিল না। ‘ব ংগা ল’ থুরি আমাদের বাংলার সপ্তদশ নির্বাচন শেষ হতেই আইনি তথা রাজনৈতিক হাতিয়ার ‘নারদ’ মামলা হাতে তুলে নিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। প্রশাসনিকভাবে সরকারি সংস্থা সিবিআই (সমালোচকদের ভাষায়, খাঁচাবন্দি তোতা)-কে সামনে রেখে । এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত না হওয়ার মতো যথেষ্ট যুক্তি কেউ দিতে পারবেন বলে মনে হয় না। কারণ সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পরে আমাদের আলোচ্য মতামত আরও জোর পাচ্ছে। আইন আইনের পথে চলবে এ কথা বলতেই হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে নারদ মামলায় গত ১৭ মে তৃণমূল কংগ্রেসের দু’জন মন্ত্রী যথাক্রমে সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক মদন মিত্র  এবং প্রাক্তন মেয়্রর শোভন চট্টোপাধ্যয়েকে সিবিআই গ্রেফতার করে। এই গ্রেফতার প্রতিহিংসা ছিল না পরবর্তী ভোট প্রস্তুতি? নারদ-কান্ডে অভিযুক্ত চার নেতামন্ত্রীকে গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই রায়ের বিরুদ্ধেও সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল সিবিআই। সুপ্রিম কোর্ট

চলে গেলেন গাঁধিবাদী পরিবেশবিদ সুন্দরলাল বহুগুণা

Image
দীপেন্দু চৌধুরী ‘’ইকোলজি ইজ পার্মানেন্ট ইকোনমি’’ এই স্লোগানের স্রষ্টা ছিলেন গাঁধিবাদী পরিবেশবিদ সুন্দরলাল বহুগুণা।ভারতের পরিবেশ আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অবশ্যই একজন পথিকৃৎ। ৯ জানুয়ারি ১৯২৭ সালে তাঁর জন্ম গঢ়বালের মারোরা গ্রামে।৯৪ বছর বয়সে তিনি চলে গেলেন। পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীদের একজন অভিভাবক চলে যাওয়ার গেলেন। পরম আত্মীয় চলে যাওয়ার বেদনা।পরিবেশ আন্দোলনের তিনি ছিলেন পিতাসম এক ব্যক্তিত্ব। মৃদুভাষী মানুষ পরিবেশবিদ হিসেবে সুন্দরলাল বহুগুণা বলে গেছেন, ‘যা কিছু করেছি, সবই পরিবেশ আর প্রকৃতিকে ভালোবেসে’।গাঢ়বাল মারোরা গ্রামের জীবন ছিল গঙ্গা। শৈশব থেকেই গঙ্গা হয়ে উঠেছিল তাঁর প্রথম প্রেম। গ্রামের স্কুলে পড়াশুনো শেষ করে ইন্টার মিডিয়েট পাশ করে চলে গেলেন লাহোরে। উচ্চ শিক্ষার জন্য। সেখানকার এস ডি কলেজ থেকে বি এ পাশ করলেন। সময়টা অবিভক্ত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তরুণ সুন্দরলাল দেশপ্রেমের শপথ নিলেন। ঝাঁপিয়ে পড়লেন দেশের কাজে। গাঁধিজির সত্যাগ্রহ আন্দোলনের মন্ত্রকে সামনে রেখে।ব্রিটিশ পুলিশ তাকে ধরে জেলে পুড়ে দিল। বিচারে জেল হল পাঁচ মাসের। আজীবন তিনি গাঁধিবাদে বিশ্বাসী ছিলেন।স

তিন কৃষিবিল প্রত্যাহারের দাবিতে ‘কোম্পানী সরকারে’-র বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবেঃ টিকায়েত

Image
দীপেন্দু চৌধুরী অদ্ভুত এক সমাপতন, ২৬ মে ছিল কেন্দ্রের তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলনের ছ’মাস পূর্তির দিন। আবার সেদিনই ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এনডিএ সরকারের বর্ষপূর্তিরও দিন।প্রায় ৪০০ কৃষকবন্ধুর মৃত্যুর অসহনীয় শোক বুকে নিয়ে অনমনীয় এবং দৃঢ় প্রত্যয়ে কৃষকরা আজও রাস্তায়। তারা বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আজও সমানভাবে সোচ্চার। তাদের আন্দোলন করোনা আবহে শীত গ্রীষ্মের দুর্যোগ মাথায় নিয়েই চালিয়ে যাচ্ছেন। গত বছ্রেরর শেষ ডিসেম্বরের দিল্লির কনকনে ঠান্ডায়, খোলা আকাশের নীচে সংযুক্ত কিসান মোর্চার আন্দোলনের শুরুয়াত।২৬ মে ছিল সেই দিন।তারপরে দিল্লির যমুনা দিয়ে স্বচ্ছ-অস্বচ্ছ জলের প্রবাহ আজও বয়ে চলেছে। ভারতীয় কৃষকদের অবস্থা সেই একই থেকে গেছে। কেন্দ্রের গয়ংগচ্ছ উদাসীন মনোভাবের কারণে দেশের অন্নদাতারা আজও দিল্লির সীমানায়। খোলা আকাশের নীচে দেশের খাদ্যশস্য নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছে তারা। ভারতে কৃষক বিক্ষোভের ছ’মাস ব্যাপী দীর্ঘ এই বিক্ষোভ আন্দোলন সারা বিশ্বে নজিরবিহীন। তাঁদের ধৈর্য এবং প্রত্যয় সারা বিশ্বের সংগ্রামী মানুষের কাছে উদাহারণ হয়ে থাকবে। সংযুক্ত কিসান ম