Posts

Showing posts from March, 2019

মানুষ গড়ার কারিগরেরা আজও পথে

Image
দীপেন্দু চৌধুরী শেষ পর্যন্ত রাজ্যের অন্যতম মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআরকে রাস্তায় নামতে হল। ২৬ মার্চ তাঁরা অনশনরত এসএসসি চাকরি-প্রার্থীদের সমর্থনে এবং রাজ্য সরকারের অমানবিক উদাসীনতার প্রতিবাদে কলকাতায় মিছিল করল । নেতৃত্বে ছিলেন চিকিৎসক শিক্ষক, মানবাধিকার কর্মী বিনায়ক সেন, কবি, লেখক সব্যসাচী দেব এবং শিক্ষাবিদ মীরাতুন নাহার। মিছিলে মূলত যোগ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ সহ আরও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা। এপিডিআরের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবিলম্বে অনশনরত কর্মপ্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। আমার মনে পড়ছে কিছুদিন আগে আমি প্রেসক্লাবে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পথে অনশনরত একজন চাকরি-প্রার্থী আমার পথ আটকে আমার সঙ্গে কথা বলেন। ভীষণ ক্লান্ত, শীর্ণ কন্ঠে ভদ্রলোক আমাকে আমার ব্লগে কিছু লেখার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তিনি আমার কাছে আরও বলেছিলেন, ‘’আপনি একটা সময় পিটিটিআই আন্দোলনের খবর করেছেন দায়িত্বের সঙ্গে। আজ আমাদের এই অনশন আন্দোলন নিয়ে কিছু লিখছেন না কেন?’’ আমি কৌশলের আশ্রয় নিয়ে বিষয়টা এড়িয়ে গিয়েছিলাম। জটিলতা বোঝার

মানুষের দাবি মেনে জানে বাঁচতে হবে

Image
দীপেন্দু চৌধুরী লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধির এবারের প্রথম বাংলা সফর দিয়ে কংগ্রেসের প্রচার শুরু হয়ে গেছে। রাহুল গাঁধি বাংলায় তার নির্বাচনী সফরে ‘ভারসাম্য’-এর বক্তব্য রেখে গেলেন।  বাংলায় আসার আগে রাজ্যে বামেদের সঙ্গে ‘নির্বাচনী জোট’ গড়ে তোলার সবরকমের প্রচেষ্টা রাহুল গাঁধি চালিয়েছিলেন। দফায় দফায় দিল্লিতে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সিপিএমের গতবারের জেতা মুর্শিদাবাদ এবং  রায়গঞ্জ আসন ছেড়ে রাখতে বলেছিলেন তিনি । এই মর্মে বামেদের সঙ্গে সমঝোতায় এগতে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছিলেন রাহুল গাঁধি। কিন্তু রাহুলের প্রথম নির্বাচনী বাংলা সফরের আগে বামদের সঙ্গে ‘নির্বাচনী জোট’ অথৈই জলে। বিজেপির বিরুদ্ধে জাতীয় স্তরে ১৯৭৭ সালের ‘মডেল’-কে সামনে রেখে বিরোধী ঐক্যের একটা বাতাবরণ গড়ে তোলার চেষ্টা হয়েছিল। যে প্রচেষ্টার শুরুয়াত হয়েছিল কর্ণাটক নির্বাচনের আগে। এবং সেই প্রচেষ্টা সফলও হয়। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের আগে একই প্রচেষ্টা কিছুদিন আগে পর্যন্তও জারি ছিল। সংবাদবুভুক্ষ মিডিয়া গত একমাস ছুটছিল রাতজাগা, দিনজাগা দু’টি দলের নেতাদের কাছে । তবুও ‘জোট কুয়াশা’ ভা

দু’জন বাঙালি বিঞ্জানীর গণিতিক পদার্থ বিঞ্জানে বিশ্ব বিখ্যাত আবিষ্কার

Image
দীপেন্দু চৌধুরী নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। এমনই এক পরিবার ওদের । উচ্চ মাধ্যমিকে এবং জয়েন্টে পর পর ভালো রেজাল্ট করলেও বাবা বলেছিলেন, ‘’আমি আর পড়াতে পারব না। অত টাকা পাব কোথায়? আমার শরীর ভালো নেই। তুই আমার দোকানে বসে ব্যবসা কর।’’ বাবা খুব ছোট একটা ষ্টেশনারী দোকান চালিয়ে ছেলেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়িয়েছিলেন। কিন্তু ছেলে হেরে যেতে চায়নি। ছোট থেকে অঙ্কে ভালো হলেও বাড়ির অভিভাবক এবং আত্মীয় বন্ধুদের কথায় আর্টস নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হয় ওকে । সাধারণ নিম্নমধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলে আশিসকে । পরে কলেজের বিঞ্জানের শিক্ষক এবং বন্ধুদের পরামর্শে কলা বিভাগ থেকে বিঞ্জান নিয়ে পড়াশোনা করে আশিস। নিজের মনের জোর এবং প্রাইভেট টিউশন করে আশিস ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (ডব্লিউ বি ইউ টি) থেকে এম সি এ পাশ করে। এই পর্যন্ত আর পাঁচটা চেনা গল্পের মতো ছিল। কিন্তু তারপরের ঘটনা আমাদের চমকে দেয়।       দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সোনারপুরের আশিস ঘোষ কম্পিউটার বিঞ্জানে একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার করেছে। আশিসের গবেষণার শিক্ষক ডঃ শ্যামাপ্রসাদ ভট্টাচার্য এবং আশিস যৌথভাবে কম্পিউটার বিঞ্জানে এই গবেষণা করেছেন। নতুন

Anoushka Shankar - Lasya

Image

এখনও কি সহজ নয় সহনাগরিকের পথে হাঁটা

Image
দীপেন্দু চৌধুরী পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যাবস্থায় পুরুষের অহঙ্কার তথা দাম্ভিকতা এবং আধিপত্যবাদ নারী সত্তাকে অবদমন করে রেখেছে। সমাজ বিকাশের নানা ধাপ পার হয়ে আসার পরেও বর্তমান সময়েও বিভিন্ন সামাজিক শ্রেণির মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন রূপে তার প্রকাশ ঘটতে আজও আমরা দেখছি। বর্তমান সময়ে ‘জেন্ডার বায়াস’-এর আলোচনার ক্ষেত্রে মেয়েদের দিক থেকে যে সব দাবিগুলি উঠে আসছে তার বেশিরভাগটাই প্যাট্রিয়ার্কির বিরুদ্ধে এবং পৌরুষয়েতার বিরুদ্ধে। আমেরিকায় নারী স্বাধীনতার দাবিতে যে আন্দোলন ১৯৬৮-৭০ সালে ‘ফ্রিডম ট্রাশ ক্যান’( Freedom trash can ) নামে আরম্ভ হয়েছিল, সেই আন্দোলনের মূল দাবি ছিল এক জন মহিলা ঘর-গৃহস্থালির থেকে বাইরে বেরিয়ে আস্তে চায় । ‘কেরিয়ার উইমেন’( Career women ) হয়ে ওঠার দাবিতে তাঁরা সংগঠিত হয়েছিল। সেই আন্দোলনের আরও একটা উজ্জ্বল দিক ছিল পুরুষের পৌরুষেয়তায় আঘাত করা। ফ্রিডম ট্রাশ ক্যান আন্দোলনের মুল উদ্দেশ্য ছিল, এক জন পুরুষ যেসব কাজ করতে পারে একজন নারীও সেই কাজ করতে পারে। কাজের জায়গায় সমান বেতন, সম বিভাগ সমান অধিকার এই তিনটে দাবিতে থেমে থাকলে হবে না। ওমেন্স লিব- আন্দোলনের প্রাথমিক ভিত্তি এমনটাই ছিল। এই

মুক্ত জানলার সংস্কৃতি মঞ্চ

Image
দীপেন্দু চৌধুরী লেখাটি কতটা নারী কেন্দ্রিক, কতটা পারিবারিক কেন্দ্রিক অথবা কতটা সামাজিক সেটা নির্ণয় এবং বিচার করার দায়িত্ব বৃহত্তর পাঠক সমাজের। সমাজব্যবস্থার বিবর্তনের কথা আমরা জানি। পুনরাল্লেখ না করলেও চলে। শ্রেণী ভিত্তিক নারী সমাজ যুগের পর যুগ ধরে স্থিরচিত্রের মতো নারীপুরুষ লিঙ্গভেদের একটি সাংস্কৃতিক ধারণা আমদের মধ্যে সেধিঁয়ে দিয়েছে। এবং বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যম এই বিষয়ে পুনরাবৃত্তি করেই থাকে। সাহিত্য, চলচ্চিত্র, শিল্প, সংস্কৃতি, পারিবারিক এবং সামাজিকক্ষেত্রে পিতৃতান্ত্রিক আর্থ-সাংস্কৃতিক ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার একটা সুকৌশলী পদক্ষেপ আমাদের নজরে পড়ে। নারীর সতীত্ব, তার মাতৃত্ব, পুরুষের কাছে একজন নারীর আত্মসমর্পণ করা। এবং সার্বিকভাবে পুরুষের অধীনে নারীর মুক্তি ইত্যাদি বস্তাপচা সামন্ত্রতান্ত্রিক ধ্যান ধারণা আমাদের মধ্যে আজও রয়েছে। সম্প্রতি কলকাতায় দুটি ছবি দেখার সুযোগ আমার হয়েছে। প্রথম ছবিটি ছিল বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের কবিতা ‘দুরারোগ্য আঙ্গুল’-এর চিত্রভাষ্য। ছবিটির পরিচালক শুভঙ্কর গুহ ১৬ লাইনের একটি কবিতাকে চিত্রনাট্যে ধরেছেন। ছবিটির নাম ‘তসল’।গল্পটি বাংলাদে

তিনি ফিরলেন সামরিক পোশাকে নয় ভারতীয় হয়ে

Image
দীপেন্দু চৌধুরী কেউ বলছে ৫০ ঘণ্টা পর। কোনও কোনও সংবাদ মাধ্যম লিখছে ৬০ ঘণ্টা পর। কিন্তু তিনি ঘরে ফিরলেন। ফিরলেন বীরের মতো । ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান দেশে ফিরলেন। ভারতীয় সামরিক পোশাকে নয় অসামরিক পোশাকে। সাধারণ ভারতীয়ের মতো। বীরের মর্যাদা নিয়ে তিনি ফিরলেন। পাকিস্তানের একটি যুদ্ধবিমানকে তাড়া করে ধ্বংস করেন তিনি। পাকিস্তানের সেনারা অভিনন্দনের ‘মিগ’ বিমান গুলি করে নামায়। ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান সেনারা আটক করে অভিনন্দনকে। অভিনন্দনের ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারের ভিডিও আমরা দেখেছি। পাকিস্তানের সেনা অফিসারের জেরায় তিনি বিচলিত হননি। প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর তিনি এড়িয়ে গেছেন। প্রাণের ঝুঁকি নিয়েও। তারপর বিভিন্ন কূটনৈতিক স্তর, ধৈর্য এবং সময়ের মূল্যে উইং কমান্ডার দেশে ফিরলেন। ভারত ‘ইন্ডিয়া’ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করল। ভারতের জাতীয়তাবাদ নিয়ে কোনও ভারতীয়ের আপত্তি থাকার কথ নয় । কেউ বা কারও দ্বিমত করার কথাও নয়। সেটা অভিনন্দন স্যারের প্রত্যাবর্তনের দিন বোঝা গেছে। উত্তেজনা তুঙ্গে ছিল। সারা ভারতে উৎসব উৎসব মেজাজ। ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নব্য ‘জাতীয়তাবাদী’-এর সমর্থকরা দে