Posts

Showing posts from November, 2022

জীবাশ্ম শক্তি ও সময়োপযোগী পরিবৃত্তকাল

Image
দীপেন্দু চৌধুরী   রাতকে বিতাইলাম হো, দিনকে বিতাইলাম হো তবুও আমার মনের মানুষ আইল না। এই চাসনালা খনিতে মরদ আমার ডুবহা গেল গো! মরদ আমার হারান গেল গো!           গণসঙ্গীতঃ অজিত পান্ডে সময়টা বিগত শতাব্দীর সত্তর-আশির দশক। আমরা সেই সময়কালে বীরভূম জেলার একটি গঞ্জশহরে থাকতাম।সেখানেই শৈশব, কৈশোর, স্কুলবেলা, কলেজবেলা ইত্যাদি কাটিয়েছি।সেই সময় অন্ডাল আজিমগঞ্জ রুটে একটি লোকাল ট্রেন চলত।নাম ছিল অন্ডাল প্যাসেঞ্জার।ট্রেনের প্রায় প্রতিটি কামরায় চটের বস্তায়(তখনও প্ল্যাস্টিকের বস্তা আসেনি।)কয়লা মজুত করে মহিলা পুরুষদের নিয়ে আসতে দেখেছি।অন্যান্য ট্রেনেও দেখা যেত।যারা কয়লা নিয়ে আস্ত তাঁদের জামা, কাপড় এবং দেহে কয়লার আস্তরণ পড়ে থাকত। অনিয়মিত স্নান করার জন্য চামড়ায় একটা কালো আস্তরণও দেখা গেছে। এই অভিঞ্জতার মানদন্ডে বড় হয়ে বুঝতে পেরেছিলাম যারা বস্তা বস্তা কয়লা নিয়ে আসেন, তাঁরা অবিভক্ত বর্ধমান জেলার আসানসোল-রাণীগঞ্জ কয়লা অধ্যুষিত অঞ্চল থেকে কয়লা নিয়ে আসে।এরা বৈধ নয়, অবৈধ ভাবে কয়লা সংগ্রহ করে বীরভূম-মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করত। এক কথায় বলা যায়, কয়লা নির্ভর একটা সমান্তরাল অর্থনীতি তখন চলত। বর্ধমান জেলার

প্রাথমিক শিক্ষার মানস গঠনে নতুন প্রয়াস

Image
দীপেন্দু চৌধুরী এটা সত্য। আড়াল করার উপায় আমরা ভাবতেও পারি না। কোভিড-১৯ কর্মক্ষেত্রে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্যবাহী কাজের ধারণা আমূল বদলে দিয়েছে।যেমন অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার জনপ্রিয়তা এবং হাইব্রিড শিক্ষাব্যবস্থা। কিন্তু দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার কতটা পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে? বিগত ২০-৩০ বছরে ভারতীয় শিক্ষানীতিতে বিভিন্ন পরিবর্তন এসেছে। যার একটাই উদ্দেশ্য ছিল, সমস্ত শ্রেণী, সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা স্কুলে আসবে। এই ভাবনা থেকেই ‘সর্বশিক্ষা মিশন’(২০০১)প্রকল্পের ভাবনা।কেন্দ্রীয় সরকারগুলিও বিভিন্ন সময়ে এই প্রকল্পের সাফল্য চেয়ে শিক্ষাখাতে বাজেট বাড়িয়েছে। সে কমবেশি যাই হোক। নব্বইয়ের দশকে সরকারি বিঞ্জাপনের কথা আমাদের মনে পড়তে পারে। ‘স্কুল চলে হাম’। সারা দেশে সরকারি রেডিওতে এই বিঞ্জাপন শোনা যেত। তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা মন্ত্রকের দাবি ছিল জনপ্রিয় এই বিঞ্জাপন দেশের ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে স্কুলে আনতে সাহায্য করেছিল। বর্তমান সময়ে দেশের ৯৫ শতাংশ স্তরের শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। এমনটাই দাবি মোদী সরকারের শিক্ষা মন্ত্রকের। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে প্রাথমিকস্তরের শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসলেও আর্থসামাজিক ও আর্থরাজনৈতি