Posts

Showing posts from June, 2020

জুনের আহ্বান নতুন মঞ্চ দেখতে পাব কি?

Image
দীপেন্দু চৌধুরী পশ্চিমবঙ্গ নামক রাজ্যটিকে নিয়ে ২০১১ সালের পরে আবার রাজনৈতিক পালাবদলের আবহ তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে যুগ সন্ধিক্ষণের সময়। সমাজ বিঞ্জানী এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এমনটাই মনে করছেন। বিশেষত করোনা যুগের শুরুয়াত এবং লাদাখে ভারত চিনের টানটান উত্তেজনার সময়কালে। ৩৪ বছর একচেটিয়া রাজ্য শাসন করার পরে ক্ষমতাচ্যুতি হয়েছিল বামেদের। তৎকালীন অন্যতম বামপন্থী মুখ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেছিলেন, আমাদের বিরোধী আসনে বসার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে! আমাদের মনে আছে ২০০১ সালে একটি নতুন জোট তৈরি করে বামপন্থী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার গড়ে তোলার প্রয়াস হয়েছিল। যার প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল ১৯৯৮ সাল থেকে। তৃণমূল কংগ্রেস নামক দলটির জন্মলগ্নে । এবং সহ যোগী গোষ্ঠী হিসেবে তৈরি হয়েছিল পিডিএস নামে একটি পৃথক বাম-গণতান্ত্রিক গোষ্ঠী। সিপিএমের জনপ্রিয় যুবনেতা এবং  প্রাক্তন সাংসদ প্রয়াত সৈফুদ্দিন চৌধুরী ছিলেন এই গোষ্ঠীর প্রধান মুখ। সিপিএমের কট্টরপন্থীদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একটি রাজ্যে সমাজগণতন্ত্রী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চেয়েছিল পিডিএস।   সৈফুদ্দিন চৌধুরী মনে করতেন, ধর্

বিদেশ নীতির ব্যর্থতা এবং চিনের পণ্য বয়কট

Image
দীপেন্দু চৌধুরী  যদিও বিষয়গুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তর আলোচনা হয়ে গেছে। তবুও আমাদের মনে রাখতে হচ্ছে। কারণ ভারতের আপামর নাগরিক চিন সীমান্তে ২০ জন সেনার মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। বিষয়টা অত্যন্ত স্পর্শ কাতর। ইতিহাস আমাদের এভাবেই মনে রাখতে হয়, এবং পরেও মনে রাখতে হবে। প্রতিটি দেশের সীমান্ত সংঘর্ষ হোক অথবা যুদ্ধ হোক । এভাবেই রক্তের ইতিহাস কালো-নীল, লাল কালিতে লেখা থাকে। সাদা কাগজে চোখের জলের ইতিহাস, কান্নার ইতিহাস, রাজনীতির ইতিহাস লেখা হয়। ঘটনা যখন ইতিহাস হয়ে জাতীয়-আন্তর্জাতিক আকাশের সীমা অতিক্রম করে। তখনই অতীত ঘাটতে হয়। সেনাবাহিনীর জওয়ান-অফিসারদের জীবন বলি রেখে প্রমাণ দিতে হয় জাতীয়তাবাদী কর্তব্যের। সরকারি কর্মীর দায়বদ্ধতায়। গত ছ’বছরের ভারত-চিন সম্পর্কের বিষয়টা অন্যদের মতো না হলেও নিজেরমতো করে দেখে নেওয়া যায়। গত কয়েক দশকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ন’বার চিন সফরে গেছেন। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পাঁচবার এবং  জাতীয়তাবাদী বর্তমান ভারতের এনডিএ সরকারের  প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরে চারবার। ভারত স্বাধীন হওয়ার পরে প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু থেকে শুরু করে

বর্তমান বাংলা রাজনীতির চেনা অচেনা প্রচ্ছদ

Image
দীপেন্দু চৌধুরী আজকাল হুতোমের কথা কেউ আমাকে জিগ্যেস করে না। আমি বলিও না। কারণ প্রাসঙ্গিকতা দাবি করে না। তবে সম্প্রতি জানতে পারলাম হুতোম নাকি গত চার বছর রাতে না বেড়িয়ে দিনে ঘুরে বেড়াত। ও কারণ হিসেবে বলেছে, গত চার বছর হুতোম একটা চোখে দেখতে পেত না। তাই দিনের বেলায় চড়তে বেরতো। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারের পশু হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে এখন দু’টো চোখে সব কিছু দেখতে পায়। হুতোমের আরও অনেকের মতো কোনও স্বাস্থ্যবীমা নেই। পশুর আবার স্বাস্থ্যবীমা? কিন্তু দিনের আলোয় ওদের পক্ষে বেড়নো? সেটা কি করে সম্ভব? সূর্যের আলোয় এক চোখ হোক অথবা দু’চোখ ওরা যে দেখতে পাবে না। হুতোমের কথায় সেটা নাকি অসুবিধা হয়নি। একটা হনুমানের পীঠে চড়ে ওই চার বছর হুতোম দিনের আলোয় এক চোখ নিয়ে ঘুরেছে। সেই কারণে ওকে এতদিন দেখা যায়নি। আর সামাজিক পারিবারিক উপেক্ষা সেটা ওদের নিত্যসঙ্গী। আমরা হুতোমের কথা না হয় আর একদিন আলোচনা করব। আসলে বীরভূম, মালদহ এবং বাংলার কথা বললেই আমার কেমন যেন হুতোমের কথা মনে হয়। ‘পরিবর্তন’ ২০০৯, পরিবর্তন ২০১১। তারপর আবার এক নতুন শব্দবন্ধ আমরা পেয়েছিলাম ‘প্রত্যাবর্তন’ । এইসব শব্দের শক্তি এখন

আমাদের বর্তমান সভ্যতা কি পথ হারাইয়াছে?

Image
দীপেন্দু চৌধুরী   একবার মাটির দিকে তাকাও/ একবার মানুষের দিকে।/ এখন গভীর রাত;/ অন্ধকার তোমার বুকের ওপর কঠিন পাথরের মত,/ তুমি নিঃশ্বাস নিতে পারছো না। (জন্মভূমি আজ, বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)। আমরা কেমন যেন একটা মিল খুঁজে পাচ্ছি। কয়কদশক আগের লেখা এই কবিতার কয়েকটি লাইনের সঙ্গে। ‘’আই কান্ট ব্রিদ’’, আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। আমায় ছেড়ে দিন অফিসার। আমায় ছেড়ে দিন। বলছেন নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড। আমি সেদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি নিউজ পোর্টালে লাইভ দেখলাম। মন্তব্য লেখার সুযোগ ছিল। খুব ভয়ে, অত্যন্ত ভয়ে ভয়ে লিখলাম, এটা একুশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকের উন্নত গণতন্ত্রের দেশ আমেরিকা? আমি বিশ্বাস করতে পারছি না! না তারপর আমি আর কিছু লিখতে পারিনি! কি লিখব? আজকাল আমাকেও একটা অচেনা ভয় পেয়ে বসেছে। বয়স হচ্ছে অথবা আমিও বর্ণবিদ্বেষের মিছিল ভেঙ্গে এক মিছিল থেকে আর এক মিছিলে হাঁটছি। খুঁজছি সালেমনের মাকে। জর্জ ফ্লয়েডকে। ভয় হচ্ছে এই লেখার পর আবার, হ্যা আবার দেশদ্রোহীর তকমা দেগে দেওয়া হবেনাতো? ভয়ের পুনরাবৃত্তি করলাম। ভয়ের, আতঙ্কের, অন্ধকার গুহা থেকে আলোর ঠিকানায় চলতে চলতে আজও আমাদের ভয় করছে।

জল জংলার দেশ আমরা যাচ্ছি কোথায়?

Image
দীপেন্দু চৌধুরী লকডাউন বলুন অথবা ঘরবন্দি। ৬৬ দিন একটানা বন্দি থাকার সময় মানুষ অবলম্বন করে নিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ মাধ্যমকে। এবং বাড়িতে জমে থাকা ধুলোমাখা বই, পত্রপত্রিকা এখন আমাদের অন্যতম অবলম্বন। এইসব ওইসব  পুরনো বইগুলি ধুলো ঝেড়ে যতটা পারা যায় আবার পড়ে ফেলা। অথবা করোনা সভ্যতায় অবনমন অথবা উত্তরণের আগে নতুন করে পড়ে ফেলা। নিজেকে এবং নিজেদের সুস্থ রেখে। ২০ মে সামাজিক মাধ্যমে আমার কাছে একটি মেসেজ আসে। মেসেজের বক্তব্য ছিল এই রকম, শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রাক্তনী বর্তমানে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার অমিতাভ পাল। ২০ মে আম্পান ঝড় আসে , সেদিন অমিতাভবাবু পরিস্থিতি অনুমান করে বিকেল চারটের আগে টালা ট্যাঙ্কে পৌঁছে যান। আমরা যারা খবর রাখি তারা জানি, ১০০ বছরের পুরনো কলকাতা শহরের এই প্রধান জলাধারটির স্বাস্থ্যের অবস্থা ভালো নয়। কাঠের কাঠামোর উপর দাঁড়িয়ে থাকা লোহা দিয়ে তৈরি এই ট্যাঙ্কের পরিষেবা গত একশো বছর ধরে সে আমাদের দিয়েছে । বলা হয় টাইটানিক জাহাজের সম মানের স্টিল দিয়ে তৈরি এই জলাধার। ১০০ বছরের এই ট্যাঙ্কটি রুগ্ন হয়ে পড়ার জন্য পুরসভা সম্প্রতি সংস্কারের কাজও শুরু করেছে। ২০