Posts

Showing posts from February, 2023

‘মাতৃ ভাষা রুপে খনি, পূর্ণ মণিজালে’

Image
দীপেন্দু চৌধুরী বেলা শেষের গান লিখতে বসেছি বলা যাবে না। বছর শেষের সংলাপ আবৃত্তি করছি সেটাও বলতে পারছি না। কারণ এই দিনে আমরা প্রতি বছর উচ্চারণ করব আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ভাষা নিয়ে বিতর্ক আজকের বিষয় নয়। ভাষাবিদরা টানা লম্বা এক বিতর্ক বাঁধিয়ে দিতে পারেন। ২০১৯ সালের কলকাতা বইমেলায় এসে বাংলা ভাষার বৈচিত্রের কথা বলে ছিলেন, ‘হাজার বছরের বাঙালির সংস্কৃতি’-র লেখক গুলাম মুর্শিদ। আমাদের পশ্চিমবঙ্গেই বাংলা ভাষার কত বৈচিত্রের প্রসঙ্গে তিনি আলোচনা করে গেলেন। বললেন বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলভেদে বাংলা ভাষার পার্থক্যের কথা। শব্দ চয়নের পার্থক্য, বাক্য গঠনের বৈচিত্র। আঞ্চলিক প্রকারভেদের প্রসঙ্গে তিনি বলে গেলেন। তার কথার বাস্তবতা পাওয়া যায় বিভিন্ন লেখায়। পূর্ববঙ্গ নামক একটি ভূখণ্ডের বৈচিত্রের একটি খন্ড ছবি উল্লেখ করা যাক। ‘বিক্রমপুরের ইতিহাস’-এ যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত লিখছেন, ‘’ ‘বাইদা’ বা বেদে নামক একশ্রেণীর পাবর্বত্য অসভ্য জাতীয় লোক বিক্রমপুরের বাণিজ্য-বন্দর সমূহের নিকটে নৌকা যোগে বসবাস করিয়া থাকে, ইহাদের স্ত্রী পুরুষ উভয় সম্প্রদায়ই ব্যাবসায়ে বিশেষ দক্ষ। ...ইহারা নদী, খাল, বিল হইতে অপর্যাপ্ত পরিমাণ ঝ

ভাষা সেতুর কারিগর তিনি

Image
দীপেন্দু চৌধুরী আমি আপনি যে বাংলা ভাষায় কথা বলছি, সেটা পরিবর্তন হতে পারে। ভাষার একটা ধাবাহিক পরিবর্তন ঘটে। গুণগত পরিবর্তনও হয়। ভাষা যখন একটা যুগ থেকে একটা যুগে যায়, তখন কাঠামোরও পরিবর্তন ঘটে।গুণগত পরিবর্তন হয়। আমরা যে বাংলা ভাষায় কথা বলছি, সেটা পরিবর্তন হতে পারে। ভাষা যখন একটা যুগ থেকে একটা যুগে যায়, তখন কাঠামোরও পরিবর্তন হয়। সেই সন্ধিক্ষণে ধ্বনি বদলে যায়। শব্দ বদলে যায়। বাক্য বদলে যায়। এক একটা স্তরে এই বদল আসে। ভাষাতো আগে লিখিত ছিল না। এ কথা আমরা সবাই জানি। তাই ভাষার গুণগত পরিবর্তন ছিল অবশ্যম্ভাবী। ভাষা বিঞ্জানীরা ভাগ করেছেন এমন ভাবে, ভাষা বৈদিক, ভাষা অবৈবিক। সামাজিক কারণেই ভাষার কাঠামোর পরিবর্তন হয়। কথাগুলি বলছিলেন ভাষা গবেষক অধ্যাপক মহীদাস ভট্টাচার্য।২৬ নভেম্বর ছিল আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের ১৩২ তম জন্মদিন।সেই উপলক্ষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে ‘আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় স্মারক বক্তৃতা’-য় মহীদাসবাবু এই কথাগুলি বলেন।স্মারক বক্তৃতার বিষয় ছিল ‘বাংলা ভাষার গুণগত পরিবর্তনঃ নবজাগরণের সুদৃঢ় বুনিয়াদ’ আমরা সেই সূত্র ধরেই দেশের ভাষা বিতর্কের সময়ে বাংলা ভাষার বিকাশের ধ

‘সৌরমুকুট’ উত্তর আরোহণী সম্মেলন

Image
  দীপেন্দু চৌধুরী  গত বছর অতিমারির অভিঘাতে বিপর্যস্ত জাতীয়-আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সবে ঢেউ উঠেছে।বাঙালি নতুন আঙ্গিকে সামাজিক মেলা-খেলা, আড্ডায় ভিড় করছে।বাবু-বিবিরা রেস্তঁরায় ছুটছেন, ক্লান্ত মনে রঙের উৎসবে ভাস্তে। ছেলে-ছোকরার দল   অঘোষিত মহামারির অচেনা ভয়-ভীতি কাটিয়ে চায়ের দোকানে ভিড় জমাচ্ছে।এই অবকাশে সামাজিকমাধ্যমে আমার সঙ্গে এক ভদ্রলোকের আলাপ হল। আলাপের পরে বুঝলাম আমি ‘কেউকেটা’ না হলেও তিনি আমাকে সাংবাদিক হিসেবে ভালোই চেনেন। এবং কিছুটা ঈর্ষাও করেন সম্ভবত।করতেই পারেন, তবে কিছুটা উন্নাসকিতায় থাকেন তিনি।ভদ্রলোকের চেহারায় ঞ্জানলব্ধ প্রতিষ্ঠার একটা প্রাচুর্য আছে।সেই সঙ্গে আছে মধ্যবিত্তসুলভ এক অপ্রয়োজনীয় অহংকার।মধ্যবিত্তের আনুষ্ঠানিকতায় যারা অভ্যস্ত। ভদ্রলোক নাকি সত্যজিৎ বিশেষঞ্জ। দেশে-বিদেশে চর্চিত ঞ্জানের জন্য আমন্ত্রণ পেয়ে থাকেন। না তিনি আমায় সামাজিক আড্ডায় বা ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় এই তথ্য দেননি।দেওয়ার মত উদারতা আদৌ কী আছে? এরা আদৌ কী সবান্ধব জীবন চর্চার কথা ভাবেন? সম্ভবত নিয়ন্ত্রিত শৃঙ্খলে থাকতে অভ্যস্ত।আমি ভদ্রলোকের সমাজমাধ্যমের লেখায় এই সত্য খুঁজে পেয়েছি।ভদ্রলোক গত বছর কেন জানি না, স