Posts

Showing posts from October, 2021

বিজেপিকে রুখতে গোটা দেশ কংগ্রেসের পুনরুত্থান চাইছে

Image
দীপেন্দু চৌধুরী বিগত সাত আট বছরে জাতীয় কংগ্রেস নামক দলটি কি নিজেদের শতাব্দীপ্রচীন ঐতিহ্য ভেঙে রক্ষণশীল হয়ে পড়েছে? প্রশ্নটা তুলেছেন, ভাস্কর পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক শ্রবণ গর্গ।দেশের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে কংগ্রেস নামক একটি জাতীয়তাবাদী দলের অতীতে যে লড়াই দেশের মানুষ দেখতে অভ্যস্ত সেই লড়াই আমরা দেখতে পাচ্ছি না।শ্রবণ গর্গ বলছেন, আসমুদ্র হিমাচল জুড়ে বিজেপি নামক একটি স্বৈরতান্ত্রিক শক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে একমাত্র জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস।নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় বসার পর থেকে উদার অর্থনীতিকে সামনে রেখে একের পর এক রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিক্রি করে দিচ্ছে।জাতপাতের রাজনীতিকে সামনে রেখে সমাজে অস্থিরতার সুযোগ তৈরি করে বিজেপি ভোটের মুনাফা লুটছে। বিশ্বায়ন উত্তর উদার অর্থনীতির সমর্থক প্রথম সারির অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, বিজেপি সরকারের বিলগ্নিকরণকে উদার অর্থনীতির শর্ত হিসেবে দেখলে আমরা ভুল করব। দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের মাধ্যমে সাত দশক ধরে ভারতীয় গণতন্ত্রের ভিত গড়ে উঠেছিল কংগ্রেস সরকারের নেতৃত্বে।আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ‘ডিজিটাল ভারত’ গড়ে তোলার স্

আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী চাই

Image
দীপেন্দু চৌধুরী ম্যানমেড বন্যা বলে কি কিছু হয়? ‘ম্যানমেড বন্যা’ শব্দবন্ধ শোনা যাচ্ছে এক দশকের বেশি সময় ধরে।ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গ।এই রাজ্যে বামফ্রন্ট(১৯৭৭-২০১১)আমলে তৎকালীন বিরোধী দলের নেত্রী বর্তমানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দাবি করেছিলেন। আমরা মনে করতে পারছি ১০-১২ বছর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা এই দাবি নিয়ে হাসি ঠাট্টাও হয়েছে।এবং এখনও হচ্ছে। সাংবাদিকতার সুবাদে তৎকালীন রাজ্য সরকারের প্রধান সচিবালয় মহাকরণে বসে আমরা হাসি ঠাট্টা শুনেছি। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে অতি বর্ষণের জন্য বিভিন্ন জেলায় মানুষ জলবন্দি হয়ে জলযন্ত্রণা ভোগ করেছেন। কলকাতা সহ কলকাতার উপকন্ঠের বিভিন্ন এলাকায় মানুষের জলজন্ত্রণা প্রতি বর্ষায় সহ্য  করতে হয়। পরিকল্পিত ও অপরিকল্পিত উন্নয়ন কি এর অন্যতম কারণ? সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষ ‘জলবন্দি’ থাকতে থাকতে এই ব্যবস্থাকে অনেক ক্ষেত্রে নিয়তি হিসাবে মেনেই নিয়েছেন। এই বছর হুগলীর খানাকুল, তারকেশ্বর সহ বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী।সেই সময় তিনি সংবাদ মাধ্যমকে আবারও বলেন, এই বন্যা ‘ম্যানমেড’  বন্যা। মমতা রাজ্যের পুরনো জলাধারগুলির সংস্কারের দাব

আগ্রাসী আক্রমণ রুখতে মননে শাণ দিচ্ছে বিশ্ব নাগরিক

Image
দীপেন্দু চৌধুরী নতুন শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে বিশ্বের আর্থরাজনৈতিক, আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এক নতুন পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। গত কুড়ি বছর একটানা জাতপাত, ধর্ম, সম্প্রদায়, ঘৃণার রাজনীতি, আমরা-ওরার কৃষ্ণ গহ্বরে আমাদের নিক্ষেপ করে রাখা হয়েছিল।বিশেষত ভারতীয় উপমহাদেশে সাধারণ মানুষকে নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষার ‘গিনিপিগ’ গবেষণা চলছিল। মানুষ রুখে দাঁড়ানোর জন্য সাহসে ভর করে এগিয়ে আস্তে আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাচ্ছিল না।একবিংশ শতাব্দীর প্রথমেই ‘টুইন টাওয়ার’-র পতন ছিল এক মেরু বিশ্বের আভিজাত্যে বড় রকমের অভিঘাত। তারপর সারা বিশ্বে নেমে এল অচেনা এক ধ্বংসাত্বক রাজনীতির টানাপোড়েন।ঠান্ডা যুদ্ধের অবসানের পর এক মেরু বিশ্বের কথা ইতিহাসে বিরল বিস্ময় হিসাবে লেখা আছে সম্ভবত । তারপর গত বিশ বছর আমরা গা হিম করা এক ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি । সন্ত্রাসবাদের কোথাও কোনও সীমানা প্রাচীর হয় না । সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশের ঘটনা আমাদের সতর্ক থাকতে আহ্বান করছে । একটি দুটি অবাঞ্ছিত ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের ঢল নেমেছে । সে দেশের ছাত্রযুব , অধ্যাপক , শিক্ষক , ব

শরৎ স্মৃতির ভেজা মাটির ছন্দ চেনা কবিতা

Image
দীপেন্দু চৌধুরী এখন নম্বর জেনে গেছে সত্যেন।স্মার্টফোনের নম্বর নয়। কলকাতার উপকণ্ঠে শহরতলির যে বাড়িতে থাকে ও সেই বাড়ির নম্বর, ১২/এ সিধু কানু লেন। সত্যম গঞ্জ শহরে যখন থাকত তখন বাড়ির নম্বর বলে কিছু ছিল না।বাড়ির মোড়ল গোছের কারও নাম দিয়ে সবাই বাড়ি চিনত। ঠিকানা খোঁজা মানে আগে পাড়ার নাম বলতে হবে। তারপর বাড়ি কর্তার নাম বললেই গ্রাম বা গঞ্জের লোক পথ চিনিয়ে দেবে। নগর সভ্যতার অধিকারে দৈর্ঘে প্রস্তে হাত পা ছড়িয়ে সত্যেনদের শহরের রাস্তার সংখ্যা বেড়েছে।জনসংখ্যা বেড়েছে।রাস্তার ধারের ল্যাম্প পোষ্টের টিম টিমে আলোগুলো স্পর্ধিত স্পর্ধায় রাস্তা আলোকিত করে দাঁড়িয়ে আছে।জানান দিচ্ছে সভ্যতার বিকাশের। দোকানগুলির ভরা যৌবন এসেছে। ঝলমলে আলোয় গারমেন্ট শপের মডেলের নিতম্ব জানান দিচ্ছে উছলে ওঠা যৌবনের উচ্ছাস। ওদের শহরে আধুনিক সভ্যতার ‘মল’ হয়েছে। সত্যেনের কাছ থেকে শুনেছি, ওদের গঞ্জ শহরে গত দশ বছর আগে সত্যেনকে যেতে হয়েছিল। সত্যেনের ভাষায় গঙ্গাজলে না মানে ‘ব্রাহ্মনী’ নদীর হাঁটু জলে শেষ ডুবস্নান দিয়ে কলকাতা ফেরা।কারণ দেশের মাটির বাড়িটা লোলুপ ছোট দাদা, ভাইপোদের ষড়যন্ত্রে বিক্রি করে দিতে হয়েছে। দু’টো ঘরের মাটির বাড়িটা কেউ না

লখিমপুর খেরিতে বর্বর রাষ্ট্রীয় আস্ফালনের মেজাজ!

Image
দীপেন্দু চৌধুরী    ওরা ভয় পেয়েছে। দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন এমন বহু মানুষ বুঝতে পারছেন ওরা ভয় পাচ্ছে। শ্রমিক-কৃষক, ছাত্রযুব-দের জোটকে ওরা ভয় পাচ্ছে।আমরা অনেকেই বলছিলাম, ভারতের ইতিহাস তৈরি করা কৃষক আন্দোলনকে কেন্দ্রীয় সরকার ভয় পাচ্ছে।বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সাম্প্রতিক কালে সব থেকে বড় ও দীর্ঘস্থায়ী কৃষক আন্দোলনকে ওরা ভয় পাচ্ছে। ভাগ কর ও শাসন কর নীতিতে বিশ্বাসী বিজেপি ভয় পাচ্ছে।কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলিকে জোটবদ্ধ হতে দিচ্ছিল না বিজেপি নেতৃত্ব। বিভিন্ন অছিলায় সঙ্ঘবদ্ধ বিরোধী জোটে ভাঙন ধরাতে এতদিন সক্ষম হয়েছে নাগপুর। মোদী-শাহ-র যুগলবন্দিতে বিজেপির কৌশলী নেতৃত্ব এই অভিযান চালিয়েছে।লখিমপুরের ঘটনায় সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব, আপের সাংসদ সঞ্জয় সিংহ, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরনজিৎ সিং চান্নি, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধিকে লখিমপুর জেলা প্রশাসন আটকে দিয়েছে।কয়েকজন বিরোধী নেতাকে বিভিন্ন ঘটনায় নজরবন্দি করে রাখা হচ্ছে। অথচ লখিমপুরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হল তৃণমূলের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সাংসদ সুস্মিতা দেবদের। এই কৌশল অবলম্বন করেই