Posts

Showing posts from January, 2023

‘ইউনিভার্সাল রিলিজিয়ন’ ও ভারতীয় সাধারণতন্ত্র

Image
  দীপেন্দু চৌধুরী ঐ চরকা-চাকায় ঘর্ঘর-ঘর    শুনি কাহার আসার খবর, ঢেউ দোলাতে দোলে সপ্তসাগর রে। ঐ পথের ধুলা ডেকেছে আজ সপ্তকোটি প্রাণ মেলে।         বাংলায় মহাত্মা, কাজী নজরুল ইসলাম         আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার, নাগরিক অধিকার, সংবিধান ইত্যাদি বিষয় নিয়ে গত কয়েক বছর বিভিন্ন বিতর্ক, আলোচনা হছে।আলোচনার মূল কেন্দ্রে রয়েছে ‘বহুত্ববাদী সমাজ’ থেকে জাতি গঠনের কাঠামো।যা ভারতীয় সংবিধানের আধারে নিহিত আছে। আলোচনার মূল বিষয় আমদের গণতন্ত্র তথা ভারতের সাধারণতন্ত্র।দেশের চুয়াত্তরতম প্রজাতন্ত্রদিবস ২৬ জানুয়ারি মাত্র কয়েকদিন আগেই আমরা উদযাপন করেছি। ইতিহাস দাবি করছে, ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের অঙ্গীকার ছিল ‘পূর্ণ স্বরাজ’।বিদেশী শাসকদের বিরুদ্ধে ১৯৩০ সালে অগ্নিগর্ভ সামাজিক এই অঙ্গীকার ঘোষিত হয়।দেশহিতৈষী  সংবিধান বিশেষঞ্জ তথা গণপরিষদের ৩০৮ জন সদস্য প্রায় তিন বছর আলোচনা করে সংবিধানটি রচনা করেন।১৯৪৬ সালের ৮ ডিসেম্বর যে সনদ লেখা শুরু হয়েছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার দু’বছর পরে ২৬ জানুয়ারি আমরা পূর্ণাঙ্গ সেই সংবিধান পেলাম।গণপরিষদের সদস্যরা প্রায় তিন বছর আলোচনা করেন। এবং ভারতীয় ঐতিহ্

প্রকৃতির আশ্রয়ে ফিরবে কী জোশীমঠ !

Image
  দীপেন্দু চৌধুরী সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে একটা বিতর্ক উন্নত জীব হিসাবে আমাদের মেনে নিতে হয়েছে। প্রকৃতির সঙ্গে বিঞ্জান ও প্রযুক্তির দ্বন্দ চিরকালীন। এই দ্বন্দের সঙ্গে ধর্ম-বর্ণ, জাত-পাত, সম্প্রদায় বিশেষে কোনও ফারাক করা যাবে না।প্রকৃতি ‘ধর্মেও আছে জিরাফেও আছে’। ‘উন্নয়ন’ নামক গালভরা শব্দের আড়ালে এক ভয়ানক সামাজিক উদাসীনতা আধুনিক রাষ্ট্রনায়ক তথা রাজনীতিবিদদের গ্রাস করে ফেলছে।জোশীমঠ বিপর্যয় সেই বাস্তব ছবি আমাদের সামনে এনে দিয়েছে।‘উন্নয়ন’-এর নামে পাহাড়ে আবাসন, ঘরবাড়ি, অভিজাত পাঁচতারা হোটেল তৈরির খেসারত দিতে হচ্ছে একটা প্রাচীন জনপদকে। সবুজ শ্যামলিমায় তির তির করে বয়ে যেত নদী।কুল কুল করে ছলাৎ ছল নদীর শব্দে ঘুম ভাঙত শান্ত নিবিড় এই পাহাড়তলি। গত কয়েক বছর নিঃশব্দ জনপদে শোনা যাচ্ছিল বোল্ডার ভাঙা ভারী হাতুড়ির শব্দ।ড্রিলিং যন্ত্রের দানবীয় শব্দ। অলকানন্দা ও সংলগ্ন নদীগুলিতে একের পর এক বাঁধ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।তৈরি হয়েছে জলাধার।স্রোতস্বিনী পাহাড়ি নদীর স্বাভাবিক গতিকে ব্যাহত করে প্রকৃতির আদিম গতিকে একরকম থমকে দেওয়া হয়েছে।    নতুন পুরনো গাছ কেটে বোল্ডার সরিয়ে, পাহাড় সভ্যতা খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে খুঁড়ে চওড়া করা হয়ে

জলবায়ু পরিবর্তন ও উপেক্ষিত মানবতা

Image
দীপেন্দু চৌধুরী একুশ শতকের উন্নয়নের গরিমায় গর্বিত সারা বিশ্বে রোজ রাতে প্রায় ৮২ কোটির বেশি মানুষ অভুক্ত অবস্থায় ঘুমোতে যান! কথাটা আমাদের বিশ্বাস করতে হচ্ছে? রাষ্ট্রসঙ্ঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম-র পরিসংখ্যান থেকে বেরিয়ে এসেছে গা হিম করা এই তথ্য।আরও তথ্য উঠে এসেছে উল্লেখিতপরি সংখ্যান থেকে। ৪৯টি দেশে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে। সারা বিশ্বের এই অনাহারের কারণ সম্পর্কে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, ক্ষুধার কারণ গুলি হচ্ছে, প্রথমটি যুদ্ধ ও রাজনৈতিক অশান্তি। দ্বিতীয়টি বিশ্ব উষ্ণায়ন। বিষয়টা আর কোনও গোপন বিষয় নয়। জলবায়ু পরিবর্তন সমাজ ব্যবস্থার প্রায় প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে প্রভাবিত করে ফেলছে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ক্ষতিকারক প্রভাবগুলি অকস্মাৎ আমাদের সামনে দেখা দিচ্ছে।এবং এই সব ক্ষতিকারক প্রভাবগুলি মানবজীবনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এই ঘটনার অন্যতম কারণ উন্নয়নের নামে সবুজ ধ্বংস করা। যে বিষয়টা ৬ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর মিশরের শর্ম এল-শেখ শহরে অনুষ্ঠিত সিওপি২৭ জলবায়ু সম্মেলনে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। একই সুরে সম্প্রতি আমাদের দেশের জাতীয় পরিব