Posts

Showing posts from December, 2022

প্রান্তিকতায় স্পর্শকাতর উচ্চারণ

Image
  দীপেন্দু চৌধুরী এই সেই অবসন্ন সকালবেলা। কম্পিউটার বেলা কি বলা যায়? বা ‘এরা অব সোশ্যাল মিডিয়া’-র ঘুমক্লান্ত একটা মেদুর   সকাল।স্বার্থ চেনা সামাজিকতায় ইংরেজি নতুন বছরের ‘আত্মচিত্র’ আঁকা নাগরিক শুভেচ্ছা।চেনা কন্ঠশ্বর মুঠো ফোনেও আর শোনা যায় না। আজ সবাই লেখক, সকলে কবি, সকলে সেলিব্রেটি।একুশ শতকী প্রযুক্তির আমন্ত্রণ! কে আপত্তি করবে? করলেই বা কার কি এসে যায়? স্মার্ট ফোনের পাতায়, ওয়ালে রোমান হরফে শব্দাক্রন্ত হতে সবাই অভ্যস্ত। তাতেও আমাদের আপত্তি নেই। প্রযুক্তি এই সমাজকে টানছে ভোগ, বিলাস, স্বাচ্ছন্দে। ‘খাও পিও জিও’-র সভ্যতা জানান দিচ্ছে কর্পোরেট সংস্কৃতি সর্বস্ব সামাজিকতায় খাগের কলম লাগে না। অক্ষর, বাক্য, ব্যকরণ, সাহিত্য জানার বা নিবিড় অনুশীলনের প্রয়োজন নেই।ভুল বানান আর স্বঘোষিত লেখক-সাংবাদিকদের একুশ শতকীয় ভাষা-আচার্যের ভাষা? না থাক আমরা বিশ্বজনীনতায় ‘উঠোন সভা’ চিনি।চর্বিত দেহ নিয়ে উবু হয়ে যদিও আর বসতে পারি না। বা বসতে চাই না।গার্হস্থ জীবন আনুষ্ঠানিকতা বর্জিত হলেও বাহ্যিক জীবনে নাগরিক সংস্কৃতির চর্চিত পরিবেশন।আজ ১৬ পৌষ, ১৪২৯।১ জানুয়ারি ২০২৩। কতবার উচ্চারিত হয়েছে। নাগরিক ফুটপাথ, নাগরিক সাংব

জলবায়ু পরিবর্তন ও জীবাশ্মমুক্ত ভারত!

Image
দীপেন্দু চৌধুরী  যারা দিল্লিতে থাকেন তাঁরা দীপাবলির সময়টা বেশ দুশ্চিন্তায় থাকেন।কারণ এই সময়টা সারা দেশের সঙ্গে দূষণের মাত্রা দিল্লিতে বেশি বাড়ে।এই বছর দীপাবলির সময় রাজধানীর কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের বসানো ৩৩টি মনিটরের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, ২০২১ সালের তুলনায় দূষণের মাত্রা দেশের রাজধানীতে কম ছিল। দীপাবলির সময় দিল্লির বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণার(পিএম ২.৫)মাত্রা কম হলেও সহনশীল ছিল বলা যাবে না।ওই দিন দিল্লির বাতাসে সূক্ষ্ম ধূলিকণার মাত্রা(প্রতি ঘনমিটারে ৬০ মাইক্রোগ্রাম)নিরাপদ মাত্রার থেকে বেশি ছিল।বহু আলোচিত বিষয়টা হচ্ছে, প্রাক শীতের মরসুমে দীপাবলির বাজি এবং দেশের রাজধানীর নিকটবর্তী রাজ্যগুলিতে ফসলের গোড়া পোড়ানোর ধোঁয়ায় তাপমাত্রা বাড়ে। উত্তর ভারতের ঠাণ্ডা হাওয়াও এই দূষণ কমাতে পারে না।পরিবেশ বিশেষঞ্জদের অভিমত দিল্লির পুসা অঞ্চলের বাতাসে পিএম ২.৫-র পরিমাণ অত্যন্ত বিপজ্জনক।এতদঞ্চলে দূষণের পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে ৪৪৮.৮ মাইক্রোগ্রাম মাত্রায় ছিল।বায়ুদূষণের সূচক(একিউআই)২৫১ থেকে ৩৫০-র মধ্যে অবস্থান করলে বাতাসের মান পরিবেশবান্ধব বলা হয় না।অক্টোব্রের হৈমন্তীবেলায় দিল্লিতে বায়ুদূষণের সূচক চলত

মুক্তচিন্তার সাংবাদিক গ্রাম-শহরে আজও হাঁটছে

Image
  দীপেন্দু চৌধুরী   এই লেখা যখন লিখতে বসেছি সেদিন ছিল ১০ ডিসেম্বর, ২০২১। ৭৩তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের দিন।১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর ভারত সহ ৪৮টি দেশ মানবাধিকারের সর্বজনীন সনদে স্বাক্ষর করে। এই ঘোষণাপত্রের ৩০টি ধারায় বর্ণিত অধিকারগুলি স্বাক্ষরকারী নাগরিকদের পাওয়ার কথা। সাংবাদিক হিসাবে আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে এই অধিকার আমরা পাচ্ছি কিনা সেসব দেখার। সেই বছরের কোভিড-১৯ অভিঘাত নিয়েই ১০ ডিসেম্বর নতুন করে আবৃত্তি করলাম, সংবিধানের ন্যায় ও নীতির কথা।সাংবাদিকতার আঙিনায় ধ্রুপদী দায়িত্ব পালনের জন্য ভারতীয় সংবিধানের নীতি-শৃঙ্খলা আমাদের বার বার পড়তে হবে।আমাদের আবৃত্তি করতে হবে, একজন সাংবাদিকের রক্ষা কবচের জন্য। একজন ভারতীয় নাগরিক হিসাবে এই দায়িত্ব আমাদের উপর এসে বর্তায়। মাৎস্যন্যায় কখনও ন্যায় হতে পারে না।সাংবাদিকদের লড়াই মাৎস্যন্যায়ের বিরুদ্ধে। এক কথায় বললে সত্যিইতো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরেই আমরা স্বাধীন হলাম। আমাদের দেশ স্বাধীনতা পেল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অনেক আগেই বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মানবতাবাদী কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী এবং সাংবাদিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল প