Posts

Showing posts from April, 2020

কাজ হারানো দলছুট মানুষ আবার পুরনো জীবীকার খোঁজে!

Image
দীপেন্দু চৌধুরী প্রসঙ্গ প্রথমেই যেটা মনে পড়ছে কোভিড-১৯ কয়েক কোটি পরিযায়ী শ্রমিককে কাজ থেকে বিচ্যুত করেছে। সম্প্রতি বিশ্বব্যাঙ্কের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, লকডাউনের কারণে ভারতে প্রায় ৪ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক চরম অনিশ্চয়তা এবং বেদনাদায়ক পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। ভারত সরকারের উচিত পরিযায়ী শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা। যেমন তাদের সবাইকে নগদ অর্থ দেওয়া, স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করা এবং সামাজিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।     আমাদের অভিঞ্জতা বলছে, যারা কাজের খোঁজে উন্নত শহরে সচ্ছল জীবিকার খোঁজে গিয়ছিল তাদের মতো সবাই নিজের গ্রাম ছেড়ে ভিন রাজ্যে যাননি। গত শতাব্দীর আশির দশকের প্রথমদিকে আমরা দেখেছি আমাদের রাজ্যের কৃষির উপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যরা নিজেদের অঞ্চলেই বিকল্প কাজ খুঁজে নিচ্ছে। অথবা বিকল্প কাজের প্রয়োজনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। যেমন ইলেক্ট্রিসিয়ান, দর্জির কাজ, প্যান্ড্যাল তৈরির কাজ ইত্যাদি। বিশেষঞ্জরা দাবি করে থাকে এটার অন্যতম কারণ প্রাথমিকভাবে  যেমন ভূমি সংস্কার, পরে অবশ্যই উদার অর্থনীতির প্রভাব। লক্ষ করলে দেখা যাবে সাম্প্রতিককালে ভূমি সংস্কারের

পুরনো ক্যানভাসের ছন্দে কে আবার আঁকবে?

Image
দীপেন্দু চৌধুরী  করোনা অতিমারি আমাদের কোথায় নিয়ে দাঁড় করাবে এই আলোচনায় এখন ব্যস্ত নেটিজনেরা। শুধুমাত্র নেটিজনেরা কেন? তামাম বিশ্বের অর্থনীতিবিদ, সমাজবিঞ্জানী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ধনী-গরিব দেশের রাষ্ট্রনায়করা। এক দশক আগেও নিম্নমধ্যবিত্তদের হাতে স্মার্টফোন ছিল না। তাই সাধারন মোবাইল ফোনেই সামাজিক আলোচনা করে নেওয়া যেত। অথবা ল্যান্ডলাইন ফোন ভরসা  ছিল । কিন্তু স্মার্টফোনের দৌলতে ফেসবুক, টুইটার (কিছুটা নিয়ন্ত্রিত) এবং হোয়াটসঅ্যাপে চটজলদি মতামত দিয়ে দেওয়া যাচ্ছে। কিছু মানুষ ব্যস্ত এখন ত্রাণ রাজনীতি নিয়ে। সেদিন সামাজিক মাধ্যমে একটা ছবি দেখলাম, একজন গরিব মহিলাকে এক কেজি চাল দিচ্ছে ন’জন স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তি। কোন দলের তা ঠিক জানি না। ত্রাণ দেওয়ার ছবি পরিপাটি করে সাজিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একজন কৌতুক করে লিখেছে, এক কিলোগ্রাম চাল দিতে ন’জন নেতাকর্মী? পাঁচ কিলোগ্রাম চাল দিতে তাহলে কতজন নেতাকর্মী থাকবে? এই সময় রসিকতাটা কতটা বাস্তব? আমি যে অঞ্চলে থাকি সেখানে কংগ্রেসের আঞ্চলিক নেতৃত্ব চাল, আলু, ডাল, গম হিসেবে ত্রাণের সামগ্রী বিতরণ করছে। নিজেদের হোয়াটসঅ্যাপ গো

‘মানবতা’ আদেশ দাও হে রুদ্র কথা কও কথা কও

Image
দীপেন্দু চৌধুরী অভিভাবকের মতই তোমরা দাঁড়িয়ে আছ! সবুজে সবুজ। সোনালী রোদের মখমলের আলোয় ঝলমল করছ। নীল আকাশের নীচে কত যুগ, কত বছর কতনা সময় ধরে আমাদের ছায়া দিয়েছ। আমাদের বাঁচার জন্য অক্সিজেন দিয়েছ। মানবসভ্যতা শক্তি পেয়েছে। গ্রীষ্মের প্রখর তপন তাপে হাত ধরে নিয়ে গেছ। তোমার ছায়ার তলায় বসতে আহ্বান জানিয়েছে। পথের পথিক বসেছে। হরবোলা পাখি বসেছে। জন্তু-জানোয়ার আজও আশ্রয় খোঁজে তোমার ছায়ায়। তোমার মায়ায়। কেউ আলাদা করে জানতে চায়নি তোমার বয়স কত? আজ আমার মনে হল একবার অন্তত একবার , তোমাদের সঙ্গে চুপি চুপি কানে কানে কথা বলি। জান আশির দশকে ‘বরাইবুরু’ বেড়াতে গিয়েছিলাম। হ্যা এই মুহূর্তে তোমার সঙ্গে কথা বলতে বলতে আমার মনে পড়ে গেল। যেমন জলান্ধ্রেরর মানুষ ২১৩ কিলোমিটার দূরের হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ে শ্বেতশুভ্র পাহাড় দেখতে পাচ্ছে। জান কয়েকদিন আগে দৈনিক কাগজে ছবিও প্রকাশ হয়েছে। আমার আজ ‘বরাইবুরু’ গভীর জঙ্গলের কথা মনে পড়ছে। আশির দশক অবিভক্ত বিহারের সীমান্তঘেঁষা পাহাড়ে পাকদন্ডি রাস্তা। পাশের রাজ্য ওড়িশা। আঁকা বাঁকা পাহাড়ি রাস্তার দুধারে তোমাদের সবুজের আয়োজন। সময়টা ছিল শরৎকালের শেষ আর হেমন্তের শুরু। বুন

বিপন্ন বিস্ময়ে নতুন বিশ্বমঞ্চের দামামা শুনতে পাচ্ছি

Image
দীপেন্দু চৌধুরী বিতর্ক থামল। হুমকি হোক অথবা দায়বদ্ধতা। ভারত তথা সারা বিশ্ব যখন ‘কোভিড-১৯’ মারণাস্ত্র নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত ঠিক তখনই আমেরিকার কাছে ভারতের আত্মসমর্পণ। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নিয়ে আমেরিকার প্রবল চাপের কাছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কার্যত আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে। এই ধরণের বৈদেশিক সিদ্ধান্ত আমাদের দেশের পূর্বতন প্রধানমন্ত্রীদের নিতে হয়েছিল কি-না সেই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। কেউ কেউ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কথা বলছেন। বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্র তৈরি হওয়া এবং সেই যুদ্ধে চিন-আমেরিকার ভূমিকার প্রসঙ্গ প্রাসঙ্গিকভাবেই আলোচনায় আসছে। সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভারতের লৌহমানবী ইন্দিরা গাঁধির কথা আপামর বিশ্ব জানে। নির্ভীক ব্যক্তিত্ব ইন্দিরা গাঁধির নেতৃত্বেই গড়ে উঠেছিল জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের অন্যতম মঞ্চ।     অবশ্যই বলতে হবে বিতর্কের প্রসঙ্গ যথার্থভাবেই তুলছেন আলোচকরা । ইন্দিরা গাঁধি, অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং মনমোহন সিংহয়ের মতো প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিরোধীদের অনেকেই বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওই মন্তব্যের

রক্তপাতহীন রণাঙ্গনে আমিও সৈনিক

Image
দীপেন্দু চৌধুরী দু’টি ছবি দু’টি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। ছবি দুটোই আসে সামাজিক মাধ্যমে। বর্তমান সময়ে সামাজিক মাধ্যমে আমরা সবাই নিয়ন্ত্রণহীন সামাজিক এবং অবশ্যই সাংবাদিক। বিদ্যুৎ না থাকলে টিভি চলবে না। খবরের চ্যানেল দেখা সম্ভব নয়। হাতে স্মার্টফোন আছে। সামাজিক মাধ্যমে অবিরত সংবাদ, সংবাদ বিষয়ক প্রবাহ বয়ে চলেছে সেই মুঠো ফোনে । সস্তার হোক বা দামি, সবার হাতে হাতে ঘুরছে। হাতে গরম ২৪ X ৭, রাজনৈতিক খবর, সামাজিক খবর, সাংস্কৃতিক খবর, পরিবেশ বিষয়ক খবরের প্রবাহ অনির্দিষ্ট সময়কাল ধরে চলতে থাকে। মুদ্রণমাধ্যম বন্ধ থাকলেও আমাদের নির্ভর করতে হয় একবিংশ শতাব্দীর সব থেকে জনপ্রিয় মাধ্যম ‘সমাজ মাধ্যম’-র ওপর। নোভেল করোনাভাইরাসের কারণে কেন্দ্রীয় সরকারকে সারা দেশে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করতে হয়। আমরা যেখানে থাকি সেখানে চারদিন সংবাদপত্র আসেনি। আমরা মেনে নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম ‘লকডাউন’ প্রত্যাহার হলে আবার খবরের কাগজ পাব। এই চারদিন আমরা টিভির খবরের থেকে সামাজিক মাধ্যমের খবর বেশি বেশি করে দেখেছি ।   সামাজিক মাধ্যমের সব খবর অথবা পোস্ট বিশ্বাসযোগ্য বা নির্ভরযোগ্য এমনটা দাবি করাটা অত্যন্ত বাতুলতা হবে। এবং অবশ্