Posts

Showing posts from December, 2019

নতুন সন্ধিক্ষণের সামনে বাংলা

Image
দীপেন্দু চৌধুরী গত এক দশক থেকে বাংলার মানুষ মিছিল খুঁজছে। যৌথ নেতৃত্বের মিছিল। আশ্রয় খুঁজছে যৌথ মঞ্চে। পশ্চিমবঙ্গ নামক রাজ্যে গত এক দশকে নতুন এক সমীকরণ তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রে বিজেপির নেতৃত্বে সরকার। এবং রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। কেন্দ্রের একের পর এক জনবিরোধী নীতি এবং কর্মসূচীর কারণে পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশে ছাত্র-যুব, শ্রমিক-কৃষক, বুদ্ধিজীবীরা রাজনৈতিক সামাজিক আন্দোলনে নেমেছে। প্রশ্ন উঠছে দেশের ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতি নিয়ে। ২০১৪ সাল থেকে দেশে বেকারত্বের রেকর্ডের প্রসঙ্গে আমরা ভালোই জানি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘তিন দাওয়াই’-য়ের নতুন গল্পকথা শোনাচ্ছেন তার ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দেওয়া নাগরিককে। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ বিলোপ, রামমন্দির এবং নাগরিকত্ব আইন সংশোধন। এই তিন কুমিরের বাচ্চাকে সামনে এনেছেন বিজেপির ভোট কুশলী ‘হিন্দু সম্রাট’ নরেন্দ্র মোদী। কারণ তাঁকে (পড়ুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে) সিএএ এবং এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের আওয়াজকে আড়াল করতে হবে। মোদী কী এই প্রথম বিরোধী শক্তিকে ভয় পাচ্ছেন? সেই কারণেই বিরোধীরা বলছে, দেশের উন্নয়নের স্লোগান এখন ঠান্ডা ঘরে। প্রতি

মানবাধিকার দিবসে কলকাতায় ভিক্টোরিয়া

Image
দীপেন্দু চৌধুরী ভারতে কেন সারা বিশ্বে সমস্ত আন্দোলন এখনও রাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করেই হয়ে থাকে। এই নিয়ে বৃহত্তর বিতর্কের মঞ্চেও কোনও দ্বিরুক্তি হবে না। কিন্তু আন্দোলন করলেই যে রাষ্ট্র উত্তর দিচ্ছে এমনটা প্রায় দেখতেই পাওয়া যায় না। রাষ্ট্র দলীয় বৃত্তের বাইরে এসে সার্বজনীন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এমনটা দেখতে পাওয়াটাও প্রায় অলীক স্বপ্ন। রাষ্ট্রশক্তি সামনে দাঁড়িয়ে নত মস্তকে গণতন্ত্রের স্বার্থে মানবতার কথা বললেও বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে। রাষ্ট্রের এইরকম রঙ বদলের চরিত্র বলে দেয় মানবাধিকার কতটা লঙ্ঘন হচ্ছে আমাদের দেশে। বিভিন্ন উদাহারণ টেনে আনা যায়। বর্তমান গণতন্ত্রে মানবাধিকার নির্ভর করছে ভোট ম্যানেজমেন্ট, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এবং মেসেজ ম্যানেজমেন্টের উপর।  ক্যালকাটা ন্যাশন্যাল মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী ঐশ্বী রায় যেমনটা বললেন, ‘গণতন্ত্রের বিশেষত্ব বাক স্বাধীনতা। এবং বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য। সরকারের অপছন্দের কারণে বাক স্বাধীনতা থাকে না। সরকারের পছন্দ না হলে দেগে দিচ্ছে ‘দেশদ্রোহী’ বলে। এই দেশে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ সম্ভব হচ্ছে না। সরকারি নিয়ন্ত্রণের কারণে। আইনের নিরপেক্ষতা অলীক কল্পনা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সম

ডিজিটাল সংবাদের কর্মশালা

Image
দীপেন্দু চৌধুরী বর্তমান সময়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে লেখা কিভাবে পরিবর্তন হচ্ছে? সংবাদ কিভাবে পরিবেশন হচ্ছে? আমাদের দেশে সামাজিক মাধ্যম (সোশ্যাল মিডিয়া) কিভাবে প্রভাব বিস্তার করছে বিষয়গুলি সকলের পক্ষে বোঝা সম্ভব হয়ে ওঠে না। যেমন ডিজিটাল সংবাদ মাধ্যমকে সরকারি নিয়ন্ত্রণে আনতে একটি নতুন বিল আনছে কেন্দ্র। সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমানে এতটাই শক্তি রাখে। যে শক্তির কথা আমরা জানি ভারত, আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশের সাধারণ নির্বাচনে এই মাধ্যমের ব্যবহার প্রসঙ্গে। সম্প্রতি একটি তথ্য থেকে জানা গেল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে  মুদ্রণ মাধ্যমের চাহিদা ৬০ মিলিয়ন থেকে ৩৫ মিলিয়নে নেমে এসেছে। পরিবর্তনের সূত্রায়নটা এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে। আমরা উপলব্ধি করতে পারছি সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহারের ক্ষমতা। একটি অনুজ্জ্বল উদাহারণ, হায়দরাবাদে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ভিডিও সম্প্রতি সার্চ হয়েছে গুগুলে সব থেকে বেশি। সাইবার বিশেষঞ্জরা বলছেন ইন্টারনেট আমাদের ব্যবহার পরিবর্তনে প্রভাব ফেলছে। এবং খবর তৈরির গ্রন্থনা এক্ষেত্রে বদলে যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার আগ্রাসী আমন্ত্রণে। সম্প্রতি কলকাতা প্রেসক্লাবে ‘ডিজিটাল জার্নালইজম’ বিষ

সরকারী আইন এবং প্রকৃতির সঙ্গে ওদের জুঝতে হয়

Image
দীপেন্দু চৌধুরী জল জঙ্গলের জীবনে মানুষ এবং প্রকৃতির যে ধরণের সম্পর্ক, সংঘাত সেটা বাস্তবে চোখে না দেখলে কিছুই দেখা হয় না। বর্ষায় মেঘে মেঘে যখন আকাশ কালো হয়ে জানান দেয়, মেঘ বলেছে যাবই যাব......। তখন শুধুমাত্র কী কবি, লেখক বা গীতিকার পুলকিত হয়? কৃষক এবং জেলেও গান ধরে, গাছপালা সতেজ হয়, ক্ষেতে ফসল ফলে। কিন্তু অতিবৃষ্টিতে প্লাবন হলে জীবজন্তু থেকে মানুষ সকলেই আতঙ্কিত এবং ক্ষতির মুখে পড়ে । মানুষ সভ্যতা শুরুর সময় থেকে যেমন চেষ্টা করেছে, নদীর বাঁধ বাঁধতে, তেমনি নদীর বহতা বিঞ্জানের সাহায্যে চিরস্থায়ী কল্যাণে লাগাতে। মানুষ এবং প্রকৃতির সম্পর্ক শুধুমাত্র সংঘাত নয়। কয়েক হাজার কয়েক লক্ষ মানুষের জীবনের না বলা, অথবা একসময় সাহিত্যের আঁচলে বলা উপাখ্যান। আজও সেই উপাখ্যান লেখা যায়। যে উপাখ্যান সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘পদ্মানদী’-র উপন্যাসে লিখে গেছেন। রাজেন তরফদারের ‘গঙ্গা’ ছবিতে আমরা মাঝি-মল্লাদের জীবন কাহিনী খুঁজে পাই। নভেম্বরের শেষ হেমন্তের ভেজা ভেজা নীল আকাশের নীচে পাঁচ-ছ’জন মহিলা মাছ ধরার জাল তৈরি করছে। কয়েকজন আবার পুরনো জালের ছেঁড়া-ফুটো সারাই করছে। কাকদ্বীপ ব্লকের প্রতাপাদি