Posts

Showing posts from July, 2023

ব্যহত জলতরঙ্গ -একটু জল পাই কোথায়?

Image
  দীপেন্দু চৌধুরী ‘একটু জল না পেলে আর চলছে না। সেই সকাল থেকে হেঁটে আসছি......। পথিক এক ঝুড়িওয়ালাকে জিগ্যেস করে, মশাই, একটু জল পাই কোথায় বলতে পারেন?’ সুকুমার রায়ের লেখা ‘অবাক জলপান’ রম্যরচনার কথাটা মনে পড়ছে? একুশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকে দাঁড়িয়ে আমাদেরও উচারণ করতে হবে হয়ত, ‘একটু জল পাই’ কোথায় বলতে পারেন? ২০১৯ সালের ‘নীতি আয়োগ’-র রিপোর্ট দাবি করছে, ভারত ‘জল-স্বল্পতায়’ ভুগছে। আমাদের দেশে জল ব্যবহারের ইতিহাসে এই অবস্থা আগে দেখা যায়নি। ‘ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক ওয়াটার রিসোর্স গ্রুপ’-র অনুমান যে হারে ভারতে জল ব্যবহার করা হয় এটা এক ধরণের অপচয়। একই হারে জল ব্যবহার করা হলে আমাদের দেশে ২০৩০ সালের মধ্যে জল সঙ্কট দেখা দিতে পারে। ‘জল সঞ্চয়’ এবং নিরাপত্তা বর্তমান সভ্যতার কাছে একটি চ্যালেঞ্জ। জল সঞ্চয় না করতে পারলে আগামী ভবিষ্যতে ‘জল-স্বল্পতা’ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসার পথ নেই। জল ব্যবহার সব থেকে বেশি হয় কৃষি, সেচ, সরকারি সংস্থা, বিভিন্ন কল কারখানা, বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এবং গ্রাম শহরের কলোনি-বস্তির মানুষ যে হারে জল ব্যবহার করে । এই খানেই রয়েছে জল অপচয়ের উৎস। একটি সমীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য থ

বন ও মাটির অধিকার অরণ্যবাসীর

Image
দীপেন্দু চৌধুরী সংশোধিত বন সংরক্ষণ বিল ২০২৩ সম্প্রতি আইনসভায় পেশ হয়েছে। কিন্তু সেটা সংসদের বিঞ্জান, প্রযুক্তি, পরিবেশ ও বন দফতরের সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। কেন স্ট্যান্ডিং কমিটিতে নয়? প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রাক্তন পরিবেশমন্ত্রী জয়রাম রমেশ সহ অন্যান্য বিরোধী দলের সাংসদরা । ১৯৮০ সালের বন সংরক্ষণ বিল সংশোধন করা হয়েছে। নতুন যে প্রস্তাবগুলি এই বিলে(২৯ মার্চ, ২০২৩)রাখা হয়েছে, সেই সব ধারায় দেশের বন সংরক্ষণ আদৌ কী সম্ভব?প্রস্তাবিত নতুন বন সংরক্ষণ বিল(২০২৩)বনাঞ্চলের আকরিক খনি শিল্প বা নির্মাণ পরিকাঠামো গড়ে তোলা আটকাতে পারবে না। কর্পোরেট সংস্থার থাবা বনাঞ্চলে যেমন ছিল তেমনি থাকবে। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, নতুন দিল্লির ‘সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ’-র আইনি গবেষক কাঞ্চি কোহলি। পাশাপাশি অনান্য বন সংরক্ষণ বিশেষঞ্জরা বলছেন, নতুন এই বিলে বনাঞ্চলে পরিবেশ বিধি ভেঙে উন্নয়নের নামে পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। ফলে বনাঞ্চলের পরিবেশে আরও দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রশ্ন তোলার অন্যতম কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। কেন্দ্রের সরকার বলছে, দেশে বনাঞ্চলের এলাকা বাড়িয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রীন হাউস গ্

ভারতে তাপপ্রবাহ ও আর্থসামাজিক চ্যালেঞ্জ!

Image
  দীপেন্দু চৌধুরী সম্প্রতি একটানা সারা দেশে তাপপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রশ্নটা উঠেই গেল। ভারত কী ২০৭০ সালের মধ্যে নেট জিরোতে পৌঁছেতে পারবে? কোপ২৭ জলবায়ু সম্মেলনের আগেই ভারত সরকার এই বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ‘ন্যাশনাল ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন’( NDCs)   নামে একটি ঘোষণাপত্রে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়। প্রাথমিক ভাবে ভারত নেট জিরোতে পৌঁছনোর সময়সীমা বেঁধে দিলেও পরিবেশ বিঞ্জানীরা সন্দিহান। তার অন্যতম কারণ তাপমাত্রা বৃদ্ধি। ভারত সহ সারা বিশ্বে ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং’ বেড়েই চলেছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণেই ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড়ের মুখে আমাদের পড়তে হচ্ছে। সম্প্রতি ‘মোকা’-র মতো খামখেয়ালি ঘূর্ণিঝড় আমরা প্রত্যক্ষ করলাম। ঘূর্ণিঝড়ের চরিত্র পরিবর্তনের অন্যতম কারণ হিসাবে বিঞ্জানীরা ক্রমবর্ধমান বিশ্বজনীন গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন। বিশেষ করে ভারত মহাসাগরের উপর গর্ভজাত ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে। জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ তাপমাত্রা বৃদ্ধি। মে মাসে এক সপ্তাহ টানা তাপমাত্রা বৃদ্ধির আগে চলতি বছরে এক টানা দশদিন বাংলা সহ দেশের একটা বিরাট অংশ তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছিল। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি খবর থেকে