Posts

Showing posts from January, 2019

ওটা ভিক্ষা নয় আমাদের জীবীকা

Image
দীপেন্দু চৌধুরী একুশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশক। যে অবিভক্ত বাংলা থেকে নব জাগরণ শুরু হয়েছিল সেই বাংলার মানুষ আমরা কতটা সংস্কারমুক্ত? উন্নয়নের প্রয়োজনে নতুন নতুন আইন হচ্ছে, আফিসে বড়বাবু, ছোটবাবু আধুনিক বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লবের নেশায় মশগুল। কিন্তু ধর্ম, জাতি এবং তথাকথিত সংস্কার বিষয়ে আমরা আজও উদাসীন কেন? সমাজের মূলস্রোতের মধ্যেই জাতপাত নিয়ে এখনও বিভ্রান্তি কাটেনি। তারপর ‘অপর’ একটি সম্প্রদায়ের কথা? বলতে হবে? শুনতে হবে? পড়তে হবে? হ্যাঁ সেই রকম দাবি সম্প্রতি উঠে এল একটি অন্যমাত্রার সাহিত্য উৎসব থেকে। উদ্যোক্তাদের নিজেদের ভাষায় ‘চেনা সমাজের মধ্যে অচেনা কিছু স্বর। একটি সমাজ যেটি এখনও সাদা কালো পর্দায় মুড়ে সযত্নে রেখে দিয়েছে সাধের পিতৃতন্ত্র। এই অটুট চিরস্থায়ী নিয়মাবলী আমাদের রঙবেরঙের চাওয়া পাওয়াকে ধুয়ে মুছে সাফ করে দিতে চায়। যখনই আমরা আমাদের চারপাশে তাকাই পৃথিবীকে চেনার প্রাথমিক সূত্র যে সাহিত্য, চিত্রকলা, চলচ্চিত্র তার দিকে তাকিয়ে প্রাণপণে খুঁজে যাই আমাদের ইচ্ছা, বাসনা, আকাঙ্ক্ষা, কামনা। কিন্তু যারই পাতা উল্টাই না কেন দেখি কেবল মাত্র উচ্চ বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ যৌনতার গল্প কবিতা না

স্বীকৃত জ্যোৎস্নায় বিতর্কিত সেলুলয়েডের জীবন

Image
দীপেন্দু চৌধুরী  যে দেশটাকে নিয়ে আজও বিতর্ক থামে না সেই দেশের প্রকৃতি এত সুন্দর হতে পারে? দেশটার অতীত দেশটাকে থামতে বলেনি। আক্ষেপ করতেও বলেনি। সমাজ উন্নয়নের সঙ্গে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, চলচ্চিত্রের যে আত্মিক সম্পর্ক, এই কথা আমাদের আবার মনে করতে হয়। পাশ্চাত্যের শিল্পের জাদুকাঠির ছোঁয়ায়। আবার একবার অনুভব করলাম কয়েকদিন আগে। সেলুলয়েডের পর্দায় দেখে বিশ্বাস হচ্ছিল না। ক্যামেরার লেন্সের স্পর্ধিত অভিজাত ভাষা আমাদের নাৎসি জার্মান, বার্লিন প্রাচীর, আগ্রাসী সোভিয়েত ইউনিয়ন, পূর্ব জার্মানি, পশ্চিম জার্মানি এই সব বিষয় ভুলে যেতে বলল। জার্মানের সযত্নলালিত অকৃত্রিম প্রকৃতির মোহময় আবিলতা আমাদের চোখ, মন, মনন সব কিছু উথাল পাথাল করে দিচ্ছিল। প্রেম,ব্যাক্তিক দ্বন্দ, সেলিব্রেটি অভিনেত্রীর বিতর্কিত জীবনের অধ্যায় পরতে পরতে খুলে দিচ্ছিল পরিচালকের মুনশিয়ানা। সাগরের শান্ত ঢেউ, যত্নে এবং প্রযত্নের সৃষ্টিশীল ঝড়ো হাওয়া একসময়ের অস্থির জার্মান নামক দেশটির ইতিহাস আমাদের সামনে আছড়ে পড়ছিল। মনে হচ্ছিল সিনেমা দেখছি না প্রকৃতির ক্যানভাসে আঁকা রঙের বর্ণনা পড়ছি। ইতিহাস পড়ছি, সভ্যতাকে জানছি নতুন ভাষায়। একুশ শতাব্দ

আগামীর কথা ওরা বলবে

Image
দীপেন্দু চৌধুরী সময় চলে গেছে দূর সুদূরের পানে। সময় ডাকে কালের নিয়মে। বর্তমান খুঁজতে থাকে অতীতের ধ্রুবতারা। অনালোকিত সময়ের আকাশে আলোর খোঁজে তারুণ্যের ভাষা আজও ছুয়ে দেখতে চায়, প্রশ্ন করে বলতে চায় তোমা ছাড়া, তোমাদের ব্যতিত বাংলা সাহিত্য, বাংলার সংস্কৃতি, বাঙালির কৃষ্টি আজও পথহারা পথিক। আমদের তারুণ্যের ঔদ্ধত্য যতই থাক তবু আমরা হতে চাই উত্তর প্রজন্ম। আজ দিগন্ত রেখা অনেকটা অনেকটা বদলে গেছে। বর্তমান জীবনযাত্রা, মূল্যবোধ, সেদিনের অন্বয়ের সঙ্গে মেলে না। তথাপি আমাদের যেতে হয় । সান্তনা খোঁজার জন্য শুধুমাত্র নয়, আমাদের যেতে হয় সামগ্রিক জীবনের কথা যারা বলতে চেয়েছেন তাঁদের কাছে। আজও যখন আমাদের মন কেমন করে আমরা চলে যাই রবি ঠাকুরের কাছে, জীবনানন্দের কবিতায় এবং বিভূতিভূষণের ঘাটশিলায়। ১২ জানুয়ারি সেই শিকড়ের খোঁজে জড়ো হলেন কলকাতা সহ কলকাতার উপকন্ঠের একদল সাহিত্য মনন নাগরিক। সংস্কৃতি সচেতন কলকাতার নাগরিক। এদিন দেজ প্রকাশনা আয়োজন করেছিল ‘নবনীতা ৮১’ শিরনামে লেখিকার জন্মদিনের অনুষ্ঠান। নবনীতা দেবসেনের জন্ম ১৯৩৮ সালের ১৩ জানুয়ারি। দক্ষিণ কলকাতার দক্ষিণের বারান্দা আর্ট গ্যালারির ‘আকার প্রকার’-এর খো

ঋণ মকুব না ভারতীয় কৃষকের চাই আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামো

Image
দীপেন্দু চৌধুরী মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকার গঠনের পরে পরই রাজ্যের কৃষকদের ঋণ মকুব করল । কিন্তু তাঁর পরেও কি কৃষকের আত্মহত্যা বন্ধ হল ? মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ ঋণ মকুবের ঘো ষণা র করার পরে পরেই এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল। ২২ ডিসেম্বর মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া জেলার পান্ধানা বিধানসভা ক্ষেত্রের আতারিয়া গ্রামের আদিবাসী কৃষক গাছে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কমলনাথের সরকার ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কৃষিঋণ মকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আত্মঘাতী আদিবাসী কৃষক ২০১৮ সালের ৩১ মার্চের পরে কেন্দ্রীয় সরকার অধিগৃহীত ব্যাঙ্ক এবং সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ৩ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিল। তাঁর পারিবারিক জানিয়েছে, সরকারি ঘোষণা শুনে তিনি মুষড়ে পড়েন। তার পরেই আত্মহত্যা। মাথাপিছু আয়ে যে রাজ্যগুলি ধনী সেইসব রাজ্যে কৃষক আত্মহত্যা সব থেকে বেশি। ২০০১ সালের সেন্সাস রিপোর্ট থেকে প্রাপ্ত কৃষক পরিবারের সংখ্যার পরিসংখ্যান ব্যাখ্যা করলে দেখা যায় কেরলে প্রতি লক্ষ কৃষকের মধ্যে ১৬৩ জন আত্মহত্যা করেছিল । কৃষক আত্মহত্যার হারের পরিসংখ্যান ছত্তিষগড় ৩৩ . ০৯, মহারাষ্ট্র ৩২ . ৬০, কর্ণাটক ৩১ . ৬২, অন্ধ্রপ্রদেশ ২৬ . ০১,পশ্চিমবঙ্গ ১৯.৬৮, তামিলন

ঋণ মকুব না ভারতীয় কৃষকের চাই আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামো

Image
দীপেন্দু চৌধুরী মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকার গঠনের পরে পরই রাজ্যের কৃষকদের ঋণ মকুব করল । কিন্তু তাঁর পরেও কি কৃষকের আত্মহত্যা বন্ধ হল ? মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ ঋণ মকুবের ঘো ষণা র করার পরে পরেই এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল। ২২ ডিসেম্বর মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া জেলার পান্ধানা বিধানসভা ক্ষেত্রের আতারিয়া গ্রামের আদিবাসী কৃষক গাছে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কমলনাথের সরকার ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কৃষিঋণ মকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আত্মঘাতী আদিবাসী কৃষক ২০১৮ সালের ৩১ মার্চের পরে কেন্দ্রীয় সরকার অধিগৃহীত ব্যাঙ্ক এবং সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ৩ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিল। তাঁর পারিবারিক জানিয়েছে, সরকারি ঘোষণা শুনে তিনি মুষড়ে পড়েন। তার পরেই আত্মহত্যা। মাথাপিছু আয়ে যে রাজ্যগুলি ধনী সেইসব রাজ্যে কৃষক আত্মহত্যা সব থেকে বেশি। ২০০১ সালের সেন্সাস রিপোর্ট থেকে প্রাপ্ত কৃষক পরিবারের সংখ্যার পরিসংখ্যান ব্যাখ্যা করলে দেখা যায় কেরলে প্রতি লক্ষ কৃষকের মধ্যে ১৬৩ জন আত্মহত্যা করেছিল । কৃষক আত্মহত্যার হারের পরিসংখ্যান ছত্তিষগড় ৩৩ . ০৯, মহারাষ্ট্র ৩২ . ৬০, কর্ণাটক ৩১ . ৬২, অন্ধ্রপ্রদেশ ২৬ . ০১,পশ্চিমবঙ্গ ১৯.৬৮, তামিলন