Posts

Showing posts from July, 2020

শুধুমাত্র বামপন্থা নয় ভারতীয় গণতন্ত্রের ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব তিনি.........

Image
দীপেন্দু চৌধুরী   ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আমরা প্রথম থেকেই দেখতে পাব বামপন্থীদের ভূমিকা ছিল ভীষণ রক্ষণশীল। অবিভক্ত ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির জন্মলগ্ন থেকে এই বিতর্ক শুরু হয়েছিল। কমিউনিস্ট পার্টি সংসদীয় গণতন্ত্রে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না? যতদূর জানি এই বিষয়ে অবিভক্ত ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির নীতিগত ঐক্য হয়নি। ১৯৬৪ সালে সিপিআই ভেঙ্গে সিপিএমের জন্ম যেমন চিন এবং সোভিয়েত রাশিয়ার মধ্যেকার দ্বন্দকে সামনে এনে দিয়েছিল, পাশাপাশি ১৯৬৯ সালের সিপিএম থেকে সিপিআই(এম-এল) গঠনের সময় অত্যন্ত গুরুত্ব পেয়েছিল ভারতীয় সংসদীয় গণতন্ত্রের ভূমিকা। এবং কমিউনিস্ট পার্টির অংশগ্রহণ । সিপিআই , সিপিএমের সঙ্গে আড়াআড়ি পার্থক্য লক্ষ করা গেছে সদ্যগঠিত ভারতীয় কমিউনিস্ট বিপ্লবী পার্টি সিপিআই(এম-এল) দলের। পরে এই দলটি ভেঙ্গে বিভিন্ন শাখা উপশাখা হয়েছে। সেই সব গোষ্ঠী সশস্ত্র বিপ্লবের নীতিতে বিশ্বাস রাখলেও ভারতীয় সংসদীয় গণতন্ত্রে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আমাদের দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দগুলিকে গণতন্ত্রপ্রিয় ভারতীয় নাগরিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সংসদীয় গণতন্ত্রের পক্ষে সিদ্ধান্

দায়বদ্ধ ছায়াপথের প্রতিশ্রুতি দায়বদ্ধ সমাজে

Image
দীপেন্দু চৌধুরী  সরকারে থাকলে বিরোধী দলের সাদাকালো অভিযোগ সব সরকারকে শুনতে হয়। ভারতে ব্রিটিশ আমলে প্রচার মাধ্যমের এতটা রমরমা ছিল না। তখন রাজাবাদশাহ নবাবদের মত করে ঢেঁড়া পিটিয়ে মহল্লা মহল্লায় সরকার বাহাদুরের প্রচার করতে হত। ব্রিটিশ সরকারের সুচতুর ধূর্ত আমলারা রাজকর্মচারীদের দিয়ে সরকার বাহাদুরের ‘জো-হুজুর’ প্রচার করিয়ে নিতেন। করোনা আবহে ‘তথ্যপ্রযুক্তি’ শিল্প যে কোনও প্রচারের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সহায়ক শিল্পের দায়িত্ব পালন করছে। যতনা করোনা বিষয়ক তার থেকে অনেক বেশি রাজ্যগুলির এবং কেন্দ্রীয় সাফল্যের জয়গাঁথা। অর্থাৎ ‘জো-হুজুর’ প্রচার। আমাদের দেশ ভারতে প্রায় সাড়ে তিনমাস করোনা ভাইরাসের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং অপ্রত্যক্ষভাবে আমরা লড়াই করছি। চিকিৎসা বিঞ্জানের শিক্ষকদের আন্তরিক দাবি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনাকে সঙ্গে নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। সামাজিক হই অথবা অসামাজিক । এইডস -র রোগের থেকেও অনেক মারাত্মক করোনা নামক মারণরোগকে সঙ্গে নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে । এই দাবির সঙ্গে একমত হয়েই আমাদের ভাবতে হচ্ছে ‘জনস্বাস্থ্য নীতি’-র কথা। ইতিহাস ঘাটলে জানা যাচ্ছে, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের আলমা-আ

শীত-গ্রীষ্ম-বৃষ্টিতে ভেজা নায়কের খোঁজে

Image
দীপেন্দু চৌধুরী  যে আমাকে চায় আমি তার কাছে যাব গলায় খেলে না সুর তবু আমি গাইব গান মৃদঙ্গ বাজাব বৃষ্টি এলে বাইরে বেরোব ভিজতে নদী যদি পারে যেন আমাকে ডোবায় আমি যেতে চাই না তীর্থে পুণ্যে নেই লোভ কেন ডাকো মন নেই যাব না সভায়।। (যাব না সভায়, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, পরিচয় শারদীয় সংখ্যা, ১৯৭৬) নায়ক ছবিতে সত্যজিৎ রায় আমাদের দেখিয়েছেন ছবির বা চলচ্চিত্রের একজন প্রতিষ্ঠিত নায়কের ‘আত্মনুসন্ধান’। টাকার পাহাড়ে নায়ক ডুবে যাচ্ছেন। কিন্তু তার জীবনে সুখ নেই। শান্তি নেই। আবেগ নেই। অনন্ত দিগন্তহীন নেইয়ের আকাশে নায়ককে বাস্তবের জীবনেও অভিনয় করতে হয়। মনের শুকনো আবেগ মুখের স্মিত মৃদু হাসিতে লুকিয়ে নিতে হয়। গাদা গাদা ফুলের তোড়া হাতে অনুরাগীদের ভিড়। মনে শান্তি নেই তবু তিনি নায়ক। এই গল্প শুরু হয়েছিল মানব সভ্যতার উজ্জ্বল উত্তরণের সময়কাল থেকেই। নায়ক সিনেমার গল্পে থাকলেও আসলে দার্শনিক পরিভাষায় বুঝে নেওয়া যায় ঝা চকচকে সভ্যতায় ‘নায়ক’ হয়ে ওঠাটাই একটা অতি বাস্তবতা। সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে থাকতে একসময় মনে হয়, প্রতিষ্ঠা পাওয়ার আশায় জীবন থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি। বিংশ শতাব্দীর গল্প, উপন্যা