Posts

Showing posts from May, 2020

গোষ্ঠী উত্তরণের কথা আমাদেরই বলতে হবে

Image
দীপেন্দু চৌধুরী হ্যা সবাই বলছেন, পাঁচ পাঁচটা দিন কেটে গেল না উত্তর পাওয়া গেল না। না উত্তর আমরা পেলাম না। ধাঁধা রয়েই গেল। সংবাদ মাধ্যমও প্রশ্ন তুলছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের মধ্যে কেন্দ্রের সরকারি খরচের পরিমাণ কতটা? সরকার কত টাকা দিচ্ছে? করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের এই টাকা কতটা ছোট ব্যবসায়ী, খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজে লাগবে? আমরাও প্রশ্নটা তুলছি, আগামীদিনে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকস্তরের অর্থনীতিবিদেরা ব্যাখ্যা খুঁজবেন। আমাদের বলবেন। ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করতে পাঁচদিন সময় নিলেন। খুব সম্ভবত সঠিক সিদ্ধান্ত, কারণ ভারতীয় উপ মহাদেশে পঞ্চ প্রদীপ, পঞ্চ জবা (মাঙ্গলিক অর্থে ব্যবহার হয়), পঞ্চ নারী যথা সতী, সাবিত্রী, বেহুলা, অহল্যা এবং দ্রোপদী। আমরা বাঙ্গালিরা পঞ্চব্যঞ্জন বলি। সেই অর্থে ভারতের অর্থমন্ত্রী সাতদিন বা দশদিন নয় পাঁচ দিন সময় নিয়ছেন । ২০ লক্ষ কোটি টাকা ত্রাণ প্রকল্পের ধ্রুপদী ব্যাকরণ বোঝাতে। এটা কি ভেবে চিন্তেই নিলেন তিনি? বিজেপি পরিবার এবং ঘরানার সঙ্গে

ভাঙা পাল্কী দেখা গোধূলিবেলার আত্মস্মৃতি

Image
দীপেন্দু চৌধুরী   বর্তমান সমাজে থেকেও ব্যক্তিক সীমাবদ্ধতা নিয়ে তর্পণ করার মত গঙ্গাসাগর খুঁজে পাওয়াটা হয়ত বিড়ম্বনা হয়েই থেকে গেল। এই বিষয় নিয়ে কিছু লেখার আগে নিজের কাছে প্রশ্ন করা উচিৎ। নারী বিষয়ক বিশেষত নিপীড়িত নারীর সামাজিক বিষয়ে লিখতে চাইছি কেন? গত তিন দশকের নোনা ঘামের স্বাদ বারে বারে ফিরিয়ে নিয়ে যায় কয়েকজন সুবিধাবাদী ব্যক্তি এবং তাঁদের সম্পৃক্ত সমাজের কাছে। খুব সম্ভবত তারা অপেক্ষায় থাকে নতুন কোনও ছিদ্র পথে আঘাত হানার। এঁদেরকেই কি বলে ‘বাঙ্গালি কাঁকড়া?’ এরাই কি সেই ‘আত্মঘাতী বাঙ্গালি’দের প্রতিনিধি? আমাদের এই সব খ্যাতনামা বন্ধুরা আছেন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়, ‘পারলে একবার মালদা এসো’ বাক্য আজও ‘বিন্দুবাসিনী’ পাহাড়ের আকাশে বাতাসে গুমরে কাঁদছে। রবীন্দ্রনাথের ‘পলাতকা’ কাব্যগ্রন্থের ‘নিষ্কৃতি’ কবিতায় মঞ্জুলিকা পুলিনকে বিয়ে করে ফরাক্কাবাদ চলে গিয়েছিল। বাস্তবের এক মঞ্জুলিকা সমাজ পরিবারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে বারান্দার গ্রিলটা ভাঙ্গতে পারলেও মা এবং কৌশলী দাদার হুকুমকে উপেক্ষা করতে পারেনি। তাই চোখের জলে বয়সে অনেক বড় দোজ বরকে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিল। আর পাঁচজন গ্রাম বাংলার সাধারণ ম

স্তুতি শুভেচ্ছা নয় জনান্তিকে জয়পত্র

Image
দীপেন্দু চৌধুরী আমরা মেনে নিলাম। আমরা স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি হলাম। প্রাক স্বাধীনতার আগে কত কতজনকে রাজনৈতিক কারণে গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে। না ঠিক গৃহবন্দি বলা যাবে না। নজরবন্দি বলতে হবে। স্বাধীনভারতেও অনেক রাজনৈতিক কর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মী নজরবন্দি থেকেছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা স্বেচ্ছায় মেনে নিয়েছি সরকারের অনুশাসন। আমরা গৃহবন্দি। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও একাধিক উদাহারণ রয়েছে। নজরবন্দি থাকার। রাষ্ট্র মনে করলেই রাষ্ট্রবিরোধী গণতান্ত্রিক লেখক, শিল্পী, রাজনৈতিক কর্মী এবং নেতৃত্বকে গৃহবন্দি তথা নজরবন্দি করে রেখেছেন।     রাজনৈতিক সংগঠক, কর্মী যারা, তারা গৃহবন্দি থাকতে চাইবেন না। সংস্কৃতি জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র যারা তাদের প্রসঙ্গ বললে বলতেই হবে, তারা গৃহবন্দিত্বকে আশীর্বাদ হিসেবে গ্রহণ করেন । রাষ্ট্রের রক্তচক্ষুকে একরকম উপেক্ষা করেই গৃহবন্দিত্ব মেনে নেয়। কারণ গৃহবন্দিত্ব এক প্রকার একাকীত্ব এনে দেবে। সৃষ্টির আনন্দে সাবলীল প্রাচুর্যের ভাষায় উঠে আসবে মুঠো মুঠো খেরোর খাতা। সারা বিশ্বের অনুসন্ধানী পাঠক ক্রান্তিকাল আবহে নিজের সঙ্গে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আজ । অখন্ড অবসর , একাকীত্ব, উদ্বেগ তবু

আত্মীয়ের আহবানঃ আমরা করব জয়

Image
দীপেন্দু চৌধুরী গত বেশ কিছুদিন থেকে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক এবং মৃত্যু নিয়ে আমরা ভারতীয়রা অত্যন্ত উদ্বেগে আছি। সারা বিশ্বের সঙ্গে সৌভাতৃত্ব অনুভবে। আমাদের দেশে লকডাউন ইতিমধ্যেই ১৭ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ৪ মের পর থেকে আরও দু’সপ্তাহ। লাল, সবুজ, গোলাপী রঙ্গে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলকে চিহ্নিত করে কেন্দ্র এবং রাজ্য কল কারখানা, দোকান-বাজারহাট খুলে রাখার ক্ষেত্রে কিছু  ছাড় ঘোষণা করেছে। কোভিড-১৯ উত্তর অর্থনীতি নিয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব বেসরকারিস্তরে উঠে আসছে। এসবের মধ্যেও পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে শুরু হয়েছে বিভিন্ন চাপানউতোর। রাজনীতির দড়ি টানাটানি। করোনা আক্রান্ত ভারতের এই বিষয়টি আন্তর্জাতিকস্তরেও আলোচনার অন্যতম বিষয় হয়ে উঠেছে। বিশ্বব্যাঙ্ক ‘পরিযায়ী’ শ্রমিকদের বিষয়ে ইতিমধ্যে ভারত সরকারকে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছে। সারা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্রায় ৪ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক কাজ হারিয়ে আটকে রয়েছে ঘরে ফিরতে পারছে না। অত্যন্ত অমানবিক অবস্থায় এই সব শ্রমিকরা আটকে রয়েছেন। তারা নিজের গ্রামে, নিজের দেশে নিজেদের আত্মীয়ের কাছে ফিরে আস্তে চাইছেন। সুস্থ থাকার অধিকারে তারা বাড়ি ফিরতে চাইছে আত্মীয়ের আহ্বানে।