Posts

Showing posts from March, 2020

শতাব্দীর পর শতাব্দী আধাঁর কেড়ে নেয় আমাদের দৃষ্টি

Image
দীপেন্দু চৌধুরী ‘দি আইজ অব ডার্কনেস’ উপন্যাসটা আমি পড়িনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দু’টি পোস্ট নজরে পড়েছে। সম্প্রতি একটি বাংলা দৈনিকে এই বিষয়ে একটি লেখা পড়লাম। নিজের চোখের চিকিৎসার কারণে কয়েক মাস অথবা কয়েকটা বছর গভীরভাবে পড়াশোনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছি। গবেষণামূলক পড়াশোনা এবং লেখালেখি থেকে কিছুটা গুটিয়ে ছিলাম নিজেকে । গত ৪০-৪৫ বছর আমরা অনেকেই ‘দি আইজ অব ডার্কনেস’ সময়ের মধ্যে নিজদের জীবনযাত্রা বেঁধে রাখতে বাধ্য হয়েছি। এর মূল কারণ অবশ্যই দৃশ্যমান রাজনীতি এবং না দেখা না চেনা, অচেনা রাজনীতির মার প্যাঁচ। আমার প্রসঙ্গ এলেও সেটা সম্পূর্ণ ভাবে নিজস্ব তদুপরি ব্যক্তিগত ব্যাপার। ‘চাল বাড়ন্ত ঘরে জন্মে’ লড়াইটাকে লড়াই বলেই মেনে নিতে হয়। জ্ঞান হওয়ার পর থেকে রাজনীতির এরিনায় ‘দাস সমাজ’ ব্যবস্থা থেকে যান্ত্রিকভাবে অবশ্যই উন্নত হয়েছে উত্তর বিশ্বায়ন তথা তথ্যপ্রযুক্তি সমৃদ্ধ উন্নত বিশ্ব ও উন্নতশীল বিশ্ব। শিল্প বিপ্লবের পর ইউরোপ যে আধুনিকতার আলো দেখেছে তারপর থেকে সভ্যতা কখনও মন্থর গতিতে এগিয়েছে। কখনও জেড গতিতে। প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটের অধিকার, নারীর ভোটাধিকার, নারীর কাজের স্বাধীনতা, শ্রমিকের আট ঘণ্টা

সংবেদনশীল সমাজের অংশীদার হতে চাই

Image
দীপেন্দু চৌধুরী লাইনে দাঁড়াতে চাই কিন্তু কোন লাইনে? গত সপ্তাহে স্থানীয় একজন জানতে চাইছিলেন, বাজার বন্ধ কতদিন থাকবে? ভদ্রলোকের পাড়ায় একটা দোকান আছে। বেশ চালু দোকান। লটকোনার জিনিস, মণিহারী, আলু, পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা সব কিছু পাওয়া যায়। আমাদের রাজ্যের যে কোন জেলার কোনও গঞ্জ শহরে গেলে এই ধরণের দোকানের খোঁজ পাওয়া যাবে। এইসব দোকানকে উন্নত দেশের উন্নত সভ্যতার ‘ ডিপার্টমেন্টাল স্টোর’ আখ্যা দেওয়া যেতে পারে। রাজ্যে ‘লক ডাউন’ ঘোষণা হওয়ার আগেই অতি সচেতন মানুষ আগে খবর পেয়ে যায় কি করে? কোন সূত্রে? দেশের সরকারের কোনও বড় সিদ্ধান্তের আগে কিছু মানুষ আগাম অনুমান করে নেয়। এদিনের অভিঞ্জতা সেই কথা বলে হয়ত।  সেদিন আমি সেই ভদ্রলোকটিকে ভরসা জুগিয়েছিলাম। রাজ্যে সাড়ে চার দিনের জন্য ‘লক ডাউন’ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। ২২ মার্চ রবিবার ‘জনতা কার্ফু’ ছিল। সকাল ছ’টা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত কার্ফু ছিল। ‘জনতা কার্ফুর’ দিনে রাস্তা ছিল সুনসান। শুধুমাত্র বিকেল পাঁচটার সময় দেশের ‘অনুশাসন’ ছিল হাততালি দিতে হবে এবং কাঁসরঘণ্টা বাজাতে হবে। দেশের নব্য ঘরানার নাগরিকদের। সোমবারের (২৩ মার্চ) বাংলা দৈনিকের পাতায় ছবি ছিল,

চেতনার মান এই শতাব্দীর ভাঙ্গা মানের চেতনা

Image
দীপেন্দু চৌধুরী উচ্চকোটি বাঙালির যে দর্প ছিল, গর্ব ছিল, ‘জীবে প্রেম করে যেইজন সেজন সেবিছে ঈশ্বর’। বাঙালি সমাজ মানেই সংস্কৃতি, আভিজাত্য, ‘বার ঘর এক উঠোন’। সংস্কারমুক্ত সমাজ, মুক্তমনা পরিবার, যুক্তিবাদী সমাজ।   গাজন মেলা, পঞ্চরসের আসর, আলকাপের গান, ভাদুর গান। কবিগানের লড়াই, চণ্ডী মণ্ডপ, অবাধ মেলামেশা। যৌথ-পরিবার, যৌথ-সমাজ। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা ছিল। পাশাপাশি আর্তের সেবায় বাঙালি সমাজের ঐকান্তিক আত্মনিবেদন পণ্ডিত বিদ্যাসাগরের পথেই বাঙালি চেনে। অবিভক্ত বাংলা ‘প্লেগে’-র মতো মহামারি দেখেছে। শরৎচন্দ্রের গল্প উপন্যাসে আজও জ্বল জ্বল করছে। চেনা অচেনা প্লেগ রুগীর সেবায় আপামর মানুষ সেদিন ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বেশিদিন আগের কথা নয়, গত শতাব্দীর আশির দশকের (সম্ভবত) শেষ দিকের একটি ছবির কথাও মনে পড়ছে। বিশ্ব বরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ছবি ‘গণশত্রু’। প্রোমোটারের কায়েমি স্বার্থের সঙ্গে একজন সমাজ সচেতন ডাক্তারের লড়াই। ‘পথের পাঁচালী’-র পরিচালক আমাদের আবারও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন সমাজকে জাগতেই হবে। কিন্তু বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে আমাদের বলতে হচ্ছে এ কোন সমাজে এসে আমরা পৌঁচেছি?   একবিং

শাহিন বাগের দাদিদের মনে রেখে

Image
দীপেন্দু চৌধুরী এই বছরের নারী দিবসের প্রাক্কালে এবং নারী দিবসের দিন দিস্তা দিস্তা লেখা প্রকাশ হবে। বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি সহ বিভিন্ন ভাষায়। কোনও লেখায় নতুন নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), এনআরসি বাতিলের দাবিতে শাহিন বাগ, কলকাতার পার্ক সার্কাস সহ ভারতের বিভিন্ন শহরের মহিলাদের সমাবেশ আমাদের মনে করিয়ে দেবে,  মনে করিয়ে দেবে প্রাক স্বাধীনতা আন্দোলন। হাজারে হাজারে শিক্ষিত-অশিক্ষিত মহিলার দল  ভারতের স্বাধীনতার লড়াইয়ে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিল সেই সময় । বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায় মহাত্মা গাঁধির আন্দোলনে। সশস্ত্র বিপ্লবে, মাস্টারদা সূর্য সেনের সঙ্গে। আজাদ হিন্দ ফৌজে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে। এবং পরে বামপন্থী আন্দোলনেও । ভারতীয় নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা ইতিহাসবিদরা লিখে গেছেন। সেইসব বিষয় বেছে নেওয়া হয়েছে ওই সব লেখায়।  সে সময়ের নারীদের বিভিন্ন ভূমিকা মাথায় রেখে। পুরুষ শাসিত সমাজ ব্যবস্থায় নারীদের স্বাধীনতা কতটা ছিল? সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি। নারীরা সামনে থেকে আন্দোলন করলেও তাদের ক্ষমতায়ন কতটা ছিল সেই প্রশ্ন আজ থেকে ৭৩ বছর আগেও ছিল বর্তমানেও আছে। এই সাত দশকে প্রাপ্তি বলতে ইন্দিরা গাঁধ