Posts

Showing posts from May, 2021

পরম্পরাগত আর্থসামাজিক নীতির কথা ভাবতে চাইছে কংগ্রেস

Image
দীপেন্দু চৌধুরী দেশের আর্থরাজনৈতিক তথা আর্থসামাজিক সমাজব্যবস্থা গত কয়েক বছরে এক বিতর্কিত বাঁকে এসে দাঁড়িয়েছে। যেটা সহিষ্ণু সমাজের কাছে অত্যন্ত ঝুঁকিরও বলা যায়। স্বাধীনতার পর থেকে প্রায় ৭০ বছর ধরে গড়ে ওঠা ভারতীয় সভ্যতার চিরায়ত সংস্কৃতি এবং শক্ত-অটুট সামাজিক বন্ধনটা কেমন যেন নড়বড়ে দেখাচ্ছে। ভারত আজ এক চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। অসহিষ্ণুতা, জাতপাত, সাম্প্রদায়িকতার বীজ, বিভাজন সংস্কৃতি, মানবতার প্রতি অবিচার এবং ঘৃণার রাজনীতি, সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সুপরিকল্পিতভাবে বহুদলীয় ব্যবস্থা ভেঙে এক দল, এক ভাষা, এক রাষ্ট্রের মতাদর্শের প্রচার চলছে। আমরা ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সচেতন নাগরিক এই সংকীর্ণ  দর্শনকে কি মেনে নেব? না বিপড়িত দিকে দাঁড়িয়ে ভারতীয় চিরায়ত সংস্কৃতি, উদার গণতন্ত্রের পক্ষে জনমত গড়ে তুলব? বহু বিতর্কিত  হিন্দুত্ববাদী এই আদর্শের বিপড়িতে আছে কংগ্রেস ঘরানার পরম্পরাগত ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি এবং বহুস্বরের সংস্কৃতি। বহুদলীয় ব্যবস্থার অনুমোদিত স্বীকৃতি। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের বার্তা ছিল সনাতন ভারতের এক আকাশ অহংকার। ২০১৫ সালের ১৪ নভেম্বর দিল্লির আইজিআই স্টেডিয়ামে তাঁর মূল্যবান

তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ মমতার

Image
  দীপেন্দু চৌধুরী গত দু’বছরের তুলনায় এবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হল অত্যন্ত অনাড়ম্বরভাবে। এবছরই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী মমতা শপথ নিলেন রাজভবনের থ্রোন রুমে। চার দেওয়ালের মধ্যে হাতে-গোনা কয়েকজন অতিথির সামনে তিনি শপথ নিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে এই অনুষ্ঠান ছিল অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত এবং অনাড়ম্বর । তুলনায় ২০১১ এবং ২০১৬ সালের মুখ্যমন্ত্রী মমতার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল অনেক আড়ম্বরপূর্ণ। প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মমতা ২০১১ সালে শপথ নিয়েছিলেন রাজভবনের লনে। ২০১৬ সালে দ্বিতীয়বারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়েছিল রেড রোডে জাঁকজমকপূর্ণভাবে। সরকারি নিয়ম এবং প্রথা মেনে ৫মে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে শপথবাক্য পাঠ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে সাংবিধানিক কিছু আচার সম্পন্ন করে রাজ্যের তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ‘’আমাদের অগ্রাধিকার কোভিডকে নিয়ন্ত্রণ করা। সব রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন, শান্তি, শৃঙ্খলা, সংহতি, বজায় রাখুন। বাংলা অশান্তি পছন্দ করে না। আমি নিজেও করি না । প্রত্যেককে বলব , কোথাও যাতে কোনও হিংসার ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এটা আমার দ্বি

নির্ভীক সাংবাদিকদের জন্য ভারত নিরাপদ দেশ নয়

Image
  দীপেন্দু চৌধুরী ‘গোদী মিডিয়া’ শব্দ বন্ধের সঙ্গে আমাদের বাংলা সহ সারা দেশ বর্তমান সময়ে পরিচিত। ভারতে প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিক, এডিটর, সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করে বসে আছে। এমন যন্ত্রণাদায়ক অভিযোগ কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। একটি সংবাদমাধ্যমের পরিচালকমণ্ডলী বা মালিকপক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে বিঞ্জাপন সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার বিনিময়ে অনৈতিকভাবে তাদের সহযোগিতা করছে। ইউপিএ সরকারের আমলে ২০১২ সাল থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল অতি ধীর লয়ে। ২০১৯ সালের পর এক শ্রেণির সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ প্রকটভাবে নজরে পড়ছে। সাংবাদিক মানে সাধারণ খেটে খাওয়া গরিব মানুষের পাশে থাকবে। তাদের সম্মান, মর্যাদার পক্ষে কথা বলবে। মানবতার জন্য লড়াই করবে। এটাই হচ্ছে সাংবাদিকদের এথিক্স। ভারতীয় সংবিধানের চতুর্থস্তম্ভের দায়বদ্ধতা। কিন্তু চিরায়ত এই সত্যকে অস্বীকার করে, মানবতার সঙ্গে সমঝোতা করে মোটা অর্থের লোভে একজন সাংবাদিক তথা একটি সংবাদ মাধ্যমের পুরো পরিচালকমণ্ডলী বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আলোচ্য বিষয়ের সত্যতা সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার রিপোরটেও প্রকাশ হয়েছে। ২০২১