Posts

Showing posts from January, 2020

সামাজিক তর্পণে বর্তমান সময়েও গাঁধীজী চিরন্তন

Image
দীপেন্দু চৌধুরী  ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন তথা কংগ্রেস নামক দলের ইতিহাসে সবচেয় গুরুত্ব দিতে হয় তিনজন প্রথম সারির ব্যক্তিকে। তিনজন ব্যক্তি ছিলেন মোহনদাস করমচাঁদ গাঁধী, জওহরলাল নেহরু এবং সুভাষচন্দ্র বসু। মা ডাকতেন- মনিয়া। বাবা বলতেন মনি । সেই মনি বা মনিয়া হয়ে উঠলেন মহাত্মা , বন্দিত হলেন দেশের পিতা হিসেবে। বর্তমান একুশ শতাব্দীতেও তিনি সমান প্রাসঙ্গিক। নিঃসন্দেহে হিংসার প্রশ্নে তাঁর চিন্তাধারা আজও সমান প্রাসঙ্গিক । নিম্নবর্ণের মানুষ আক্রান্ত হলেই জেনে হোক অথবা না জেনে তাঁর চিন্তাধারায় আশ্রয় খোঁজে। ওই অর্ধনগ্ন দেহের একজন মানুষের কাছে ছুটে ছুটে যায়। আমার এক স্কুলের শিক্ষক আমাকে বলেছিলেন, ‘ভেবে দেখেছিস কখনো? গাঁধীজী একজন ব্যারিস্টার মানুষ। যেমন তেমন ব্যারিস্টার নন। বিলেত থেকে পাশ করে আসা ব্যারিস্টার। সেই মানুষ, হেটো ধুতি পড়ে হাতে একটা লম্বা লাঠি নিয়ে দেশের এপ্রান্ত থেকে সে প্রান্ত ছুঁটে চলেছেন। কি করে সম্ভব? ভেবে দেখ।’ আমি সত্যি সত্যি আজও ভাবি। ভারতের আত্মা চিনে ছিলেন তিনি। আউল, বাউল, ফকির, সুফি, সাধুসন্ন্যাসীদের দেশ ভারতবর্ষ। তৎকালে দেশের নিম্নবর্ণের মানুষ বছরে একবার অথবা দু’বার জামা প

বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাগার গড়ে তুলবে গিল্ড

Image
দীপেন্দু চৌধুরী আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা যে বৈভব এবং ব্যতিক্রমী আভিজাত্য নিয়ে পাঠকদের আমন্ত্রণ জানায় সেটা কটা দেশে পাওয়া যাবে? বাঙালির বারমাসে তের পাবনের তালিকায় এসে গেছে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। কলকাতার বইমেলায় বাংলা ভাষাসহ একাধিক ভারতীয় ভাষার প্রকাশকদের ভিড় থাকে। বিদেশ থেকেও নামীদামী প্রকাশকদের ভিড়ে সত্যিই এক আন্তর্জাতিক আঙিনায় আমাদের পরস্পরের দেখা হয়। আমরা ঢেউয়ের পরে ঢেউয়ে ভাসতে থাকি। দুই বাংলার সম্মেলনে সম্মিলিত ঐকতান শোনা যায় সারা বিশ্বের ধর্ম, বর্ণ, জাতপাত নির্বিশেষে বৃহত্তম এক মূরচ্ছনার। আকাশ বাতাস উদ্বেল করে বিচ্ছুরিত রঙিন সামিয়ানার নীচে মহামানবের সাগর তীরে বই আমাদের আহ্বান জানায়। আন্তর্জাতিক সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টির অন্যতম মাধ্যম ছাপার অক্ষরে বই। আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার সঙ্গে তুলনা করা হয়, নিউ দিল্লি ওয়ার্ল্ড বুক ফেয়ার, বাংলাদেশ একুশে বইমেলা, লন্ডন বইমেলা, আবুধাবি আন্তর্জাতিক বইমেলা এবং জার্মানির ফ্রাঙ্কফুট বইমেলা। জার্মানির অর্থনৈতিক রাজধানী হল ফ্রাঙ্কফুট। ফ্রাঙ্কফুটের আরও একটি নাম আছে। সেটা হচ্ছে ব্যাংকফুট। তবুও বলতে হয় জার্মানির সবচেয়ে পরিচিত বাণিজ্যমেলা হল

দুয়ার খুলে জেগে আছে পাড়া

Image
দীপেন্দু চৌধুরী নতুন বছর ২০২০ নাকি একটা নতুন যুগের সূচনার বছর। এমনই দাবি জ্যোতিষবিঞ্জানীদের। ডিসেম্বরের বড় দিনের উৎসবের পরে সারা বিশ্ব অপেক্ষায় থাকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যরাতের জন্য। সন্ধ্যে থেকে শুরু হয়ে যায় রঙিনআলোয় উদ্ভাসিত রাস্তায় ভিড়, গির্জার ঘণ্টাধ্বনি, হোটেল-রেস্তরায় অপেক্ষা। ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ উন্মাদনার।   পুরনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনের আহ্বান। নতুন বছরকে আলিঙ্গন করে নতুন পরিকল্পনা, নতুন স্বপ্নে বিভোর হয়ে ছোট্ট শিশুরমতো হাঁটতে শেখা। কিন্তু আমাদের দেশ ভারতে নতুন বছর এল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের শঙ্খনাদ বাজিয়ে। এই বছর ১ জানুয়ারি ইন্ডিয়া গেটে খোলা আকাশের নীচে আয়োজন হয়েছিল নতুন এক অচেনা সুরের বর্ষবরণের আয়োজন। সংবিধান ছুঁয়ে তাকে রক্ষা করা, ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোকে রক্ষা করার শপথ নিলেন কয়েকশো ধনী-দরিদ্র, ছাত্র-যুব, এরা নির্দিষ্ট কোনও ধর্মকে আশ্রয় করে বাঁচতে আগ্রহী নয়। এই দলে হিন্দু মুসলিম সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। তারা স্লোগানে স্লোগানে ইন্ডিয়া গেট মুখরিত করেছে ‘হম কাগজ নেহি দিখায়েঙ্গে’, ‘তানাশাহি নেহি চলেগা’। এই জনস্রোতের ভিড়ে