Posts

Showing posts from April, 2019

বৃহত্তর গণতন্ত্রের বিতর্ক চতুর্থস্তম্ভের মঞ্চে

Image
দীপেন্দু চৌধুরী আমাদের রাজ্যে গত কয়েক দশকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কাদের সঙ্গে আছে? দলগতভাবে কংগ্রেস কি দাবি করতে পারবে সংখ্যালঘুরা কংগ্রেসের সঙ্গে আছে? প্রশ্নটা এসেছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের কাছে। ২৪ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল কলকাতা প্রেস ক্লাব লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজন করেছিল ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানের। তিনদিনে কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম এবং তৃণমূল কংগ্রেস চারটে দলের পক্ষ থেকে চারজন নেতা বক্তব্য রাখেন। এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তাঁরা । প্রথম দিন ২৪ এপ্রিল ছিল কংগ্রেসের জন্য বরাদ্দ। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘হ্যা আমাদের দুর্বলতা আছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিল। তবে তাঁরা আবার আমাদের দলে ফিরে আসছে। আলোচনা করলে বলতে হয় ‘সাচার কমিটি’ কারা করেছিল? বিজেপি আমাদের আক্রমণ করে বলে আমাদের দল সংখ্যালঘুদের গুরুত্ব দিয়ে থাকে বেশি।’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির টেনে আনা সাচার কমিটির প্রসঙ্গ ধরে যদি আমরা একবার ফিরে দেখি। তাহলে দেখব ১৯৯০ সালে কেন্দ্রীয় সরকার প্রথম ওবিসি-দের জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু করে। কিন্তু সে

আদালতের রায়ের পরেও পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের প্রশ্ন কেন উঠছে?

Image
  দীপেন্দু চৌধুরী সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে আমাদের রাজ্যের ৪২টা আসনে ৭৮, ৭৯৯টি বুথে গণতন্ত্রের মহোৎসবে অংশ নিচ্ছেন রাজ্যের আমজনতা। রাজ্যের সব বুথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকবে। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা নিয়ে আশ্বস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু প্রথম দফার ভোট মিটতেই বিরোধীরা সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে সরব হয়েছে। সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য শমীক লাহিড়ী বছরওয়ারি হিসেব দিয়ে বলছেন তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির বোঝাপড়া আছে। ‘মোদী-দিদি’ একই মুদ্রার এপীঠ ওপীঠ । তার মতে আমি একটা হিসেব দিচ্ছি। লোকসভা কেন্দ্রের নাম আমি এখনই বলছি না। সময় মতো বলে দেব। দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার একটি লোকসভা কেন্দ্রে ২০১৪ সালে তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী পেল ৫ লাখ ৮ হাজার ৪৮১টি ভোট। সে বছর বিরোধীদের সর্বমোট ভোট ছিল ৭ লাখ ১ হাজার ৮৮টি। নির্দলরা পেয়েছিল ৯৮৪টি ভোট। নির্দলদের ভোট ধরা হয়নি। পাশাপাশি ওই একই কেন্দ্রে ২০১৬ সালে বিধানসভা যদি ধরা হয়, মোট ৭টা বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট প্রাপ্তি ছিল ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৯৯৬ টি। সেখানে বিরোধীদের সম্মীলিত ভোট ছিল ৬ লাখ ১২ হাজার ৩১টি। এই হিসেব ধরলে বিরোধীদের সম্মিলিত

তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর গণতন্ত্র বনাম ভারতীয় সংসদীয় গণতন্ত্র

Image
দীপেন্দু চৌধুরী  একটা করে বছর যাচ্ছে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী ভারত’ নামক দেশটি আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে। আমরা যে দেশে থাকি সেই দেশের ‘আর্থ-সামাজিক’ বিকাশ এবং শ্রীবৃদ্ধি হলে কেউ কি আপত্তি করবে? দারিদ্রসীমার (বিপিএল) নীচের মানুষেরা যদি উপরের সারিতে উঠে আসে তা হলে কে আপত্তি করবে? আর কেনই বা করবে? আহাম্মকেরা আপত্তি করে থাকে। দেশ আর্থিকভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলানামূলক আলোচনায় তৃতীয় আর্থিক    শক্তি হিসাবে সম্ভ্রান্ত শ্রেণীতে উঠে আসার দাবি করছে। হয়ত সমালোচকরা এবং সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রামাণ্য এবং নির্ভরশীল তথ্য উল্লেখ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চাকরি প্রভৃতি ক্ষেত্রে ভারত কতটা আধুনিক হয়েছে সেই প্রশ্ন তুলছেন। আদৌ কি আধুনিক এবং সমৃদ্ধশালী দেশ ভারত? আমার যেমন এই বছর ২৬ জানুয়ারিতে একটা কথা মাথায় এসেছিল । আমাদের দেশে আগে ১৫ অগস্ট ভারতের স্বাধীনতার দিন এবং ২৬ জানুয়ারি গণতন্ত্র দিবসে বিতর্কে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ (Republic Day) – এর দিন ভারতে রাজনৈতিকবন্দি, প্রবীণ বন্দিদের কয়েকজন প্রশাসনের মানবিক সিদ্ধান্তে মুক্তি পেত। কিন্তু গত বছর ১৫ অগস্ট এবং এই বছর ২৬ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গে কতজন মুক্তি পেয়েছেন? নাম প

World Bank is ready to help West Bengal government For tackle air pollution

Image
Dipendu Chowdhury This is too difficult to place my thought or views on environment in the short term in English version, because I am not from convent school or college. But being a ‘Shramajibi Journalist’ I am also responsible for our bright Nation for polluted air free community, my State of ‘Egie Bangla’ (advanced Bengal) and also I have great feelings our neighbour country which means I am responsible to say for Global environment.   It’s truth that Kolkata city of cultural heritage. City of Joy of West Bengal of India’s environment health is not good. According to news sources, The World Bank is going to help the West Bengal government for tackle air pollution.  I would like to put few information, as follows, the ‘Uthapatal’ (unparallel) cyclone was ‘Aayla’ on 2009, we have had been faced this disaster. This unknown storm has had been destroyed topographical sky of the Bengal of ‘Sundarban’ area. There approximately 15 Lakh citizen shifted their permanent addre

অনালোকিত সাঁওতাল গ্রাম সমাজের উপাখ্যান

Image
দীপেন্দু চৌধুরী ভারতে পাহাড়ি উপত্যকায় যেসব আদিবাসী এবং জনজাতিরা থাকেন তাঁরা কেমন আছেন? একুশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে এসে তাঁরা শিক্ষার আলো কতটা পেয়েছেন? বুনিয়াদি শিক্ষা (লিখতে-পড়তে পারা এবং গণিত শিক্ষা) আমাদের দেশে মূলত চলে বিদেশী আর্থিক সাহায্যপ্রাপ্ত সর্বশিক্ষা মিশন প্রকল্পের মাধ্যমে। এর বাইরে আছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এবং এছাড়াও আছে বিভিন্ন বেসরকারি অভিজাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মুক্তি মূর্মু (নাম পরিবর্তিত) বীরভূম জেলার রাজনগর ব্লকের একটি প্রত্যন্ত গ্রামের আদিবাসী মেয়ে। ঝাড়খন্ড-বীরভূম লাগোয়া সবুজ ঘেরা গাছ গাছালি। শাল-সেগুন, শিমূল, পলাশ, মহুয়া গাছের শ্যামল ছায়া। সবুজ শুকনো হয়ে ঝড়ের ডাক দেয়। পাখ-পাখালি আর লালমাটির প্রত্যন্ত গ্রামের সহজ সরল মেয়ে মুক্তি। আর্থিক অভাবের কারণে স্কুলে পড়া চালিয়ে যেতে পারেনি। স্কুলের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে মুক্তি পড়াশোনায় খুব একটা খারাপ ছিল না। কিন্তু বাড়িতে আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে বাবা-মা মেয়েকে আর পড়াতে চায়নি। মা-বাবার ইচ্ছে মেয়ে ‘ফুটবল’ খেলা শিখুক। তাহলে একটা সরকারি চাকরি পাবে। মুক্তির মা আশা। গ্রামের জমিতে কৃষি মজুর হিসেবে কাজ করেন আশা।

সমৃদ্ধ ধ্রুপদী আলোর খোঁজে

Image
দীপেন্দু চৌধুরী গত কয়েক বছর কলকাতা শহরে নাগরিক সমাবেশে যাওয়ার আমার সুযোগ হচ্ছে। উল্লেখিত অনুষ্ঠানগুলির আমন্ত্রণ পেয়ে আমি গর্বিত। অতি ধীর লয়ে কলকাতা শহরের আর্থ-সাংস্কৃতিক পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছি। আমার অহংকার হয় অভিজাত কলকাতার সভাঘ্রে উপস্থিত থাকতে পেরে। উচ্চকিত নয় কিন্তু উন্নত ঘরানার অনুষ্ঠান এগুলি। এখানে সেমিনার এবং বই প্রকাশকে কেন্দ্র করে তর্কপ্রিয় বাঙালির সভা-সমাবেশ হয়। ভারতীয়, এশিয়ান, আমেরিকান এবং ইউরোপিয়ান রাজনীতি, সাহিত্য, সঙ্গীত, সংস্কৃতি, সামাজিক, ট্রান্সজেন্ডার, নাটক, চলচ্চিত্র বিভিন্ন বিষয়ের মতবিনিময় সভা এগুলি। কলকাতায় বিভিন্ন বিদেশী কনসাল জেনারেল যেমন আয়োজন করে। পাশাপাশি কলকাতা জাদুঘর, সাহিত্য অ্যাকাডেমি এবং ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এইসব অনুষ্ঠানগুলি আয়োজন করে থাকে । এই ধরণের অনুষ্ঠান ব্রিটিশ উপনিবেশ সময়কাল থেকেই কলকাতা শহরে হয়ে আসছে। নাগরিক শহরের পিতৃতান্ত্রিক সমাজের প্রথমসারির বিদগ্ধজনেরা উপস্থিত থাকেন। এইসব সভায় মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার শহরের উন্নাসিক নাগরিকদেরও ভীড় নজরে পড়ে। কলকাতার মা, মাসি, কাকিমা, দিদি, বোন এবং আমাদের বন্ধুস্থানীয়রা উত্ত