Posts

Showing posts from April, 2022

হাতির গলায় দড়ি নয় জিপিএস যুক্ত রেডিও কলার

Image
দীপেন্দু চৌধুরী ও তোমরা গেহিলে কি আসিবেন/ মোর মাহুত বন্ধুরে……… বিখ্যাত এই গানটি একটি গোয়াল পড়িয়া লোকগীতি। অসমীয়া ‘হস্তিব কন্যা’ ছবিতে গানটি গেয়েছিলেন প্রতিমা বড়ুয়া। পরে পশ্চিমবঙ্গেও গানটি জনপ্রিয় হয়। হাতি পোষ্য হিসেবে আমাদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। বিশাল বপু নিয়ে তার চলন এবং ভাষা বোঝে একমাত্র মাহুত বন্ধু।হাতি শিশুদের কাছেও খুব জনপ্রিয়। কিন্তু লোভী মানব সভ্যতা জঙ্গলের হাতি মেরে লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যবসা করছে। প্রবাদেও আছে মড়া হাতির দাম লাখ টাকা।শিকারি মানুষের হাত থেকে বন্য হাতিকে বাঁচাতে, এবং বন্য হাতির আক্রমণ থেকে মানুষের মৃত্যু কমাতে আগ্রহী অসম বন দফতর।সেই উদ্দেশ্যে সম্প্রতি পরীক্ষামূলক ভাবে হাতির গলায় রেডিও কলার লাগান হয়েছে।বিগত বছরের ডিসেম্বর মাসে পাঁচটি বন্য হাতির গলায় জিপিএস যুক্ত হার পড়ানো হয়েছে।এই কাজ অসম রাজ্য বন দফতর এবং অসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ড(WWF)-ইন্ডিয়ার উদ্যোগে সোনিতপুর জেলায় প্রথম করা হয়েছে। যৌথ এই উদ্যোগের মূল উদ্দ্যেশ্য, বনবস্তির মানুষ এবং বন্য হাতির মধ্যে যে সামাজিক সংঘাত আছে তাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনা।সংঘর্ষপ্রবণ বনবস্তিগুলিকে বাসযোগ্য করে গড়ে তোলার চ্যালেঞ

রাস্তায় বসবেন না সংসদ ঘেরাও করতে চান কৃষকেরা

Image
দীপেন্দু চৌধুরী ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে এই সত্যতা আমাদের মানতেই হবে যে, ইংল্যান্ড বা পশ্চিম ইউরোপে শিল্প বিপ্লবের পরেই শিল্পায়ন অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছিল। একইরকম ভাবে অন্যান্য কৃষিভিত্তিক দেশেও শিল্পায়ন একটি ‘ঐতিহাসিক অনিবার্যতা’ হিসেবে দেখতে পাওয়া যায়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে একুশ শতকের প্রথম দশকে বিভিন্ন দেশী-বিদেশী শিল্পগোষ্ঠী শিল্প স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল। সেই সময় শিল্পপতিদের সুযোগ করে দিতে ‘সেজ’(SEZ)নামে এক প্রকল্পও এনেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেজ বা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ছিল ছোট কৃষকের জমি আত্মসাৎ করারই এক ধরনের জমিগ্রাস প্রকল্প।সেই পর্বে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে বিপুল ক্ষোভ-বিক্ষোভ হয়েছিল। ‘সেজ’ প্রকল্পের নামে শিল্পায়নের জন্য জমি জোগাড়ের সামাজিক দায়বদ্ধতার দায় পুরোটাই চাপানো হয়েছিল কৃষিজীবী ভারতবাসীর উপর। যাঁদের অধিকাংশই ছিল অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ভাবে দুর্বল। কৃষি ক্ষেত্রের দুর্বল মানুষগুলি এই প্রকপ্ল মেনে নিতে পারেননি।তারা এই প্রকল্প একরকম প্রত্যহার করেছিল। নিজেদের লাভ বা ক্ষতি তারা বোঝেন বলেই সরকারের আনা এই জমিগ্রাস সেজ প্রকল্প ভারতীয় কৃষকরা মেনে নিতে পারেনি।ফলে কর্পোরেট সংস্থাগুলির

আমরা খুঁজছি সভ্যতার মানবিক করিডর

Image
দীপেন্দু চৌধুরী শত্রুপক্ষ যদি আচমকা ছোঁড়ে কামান- বলব, ‘বৎস! সভ্যতা যেন থাকে বজায়। সুভাষ মুখোপাধ্যায় সভ্যতা! গত কয়েক দশকের অভিঞ্জতায় সমাজ সচেতন মানুষ যেন হাঁপিয়ে উঠেছে। ব্যক্তিগত ক্ষমতা, গোষ্ঠী কেন্দ্রিক ক্ষমতা দখলের আদিম নেশায় মানবসভ্যতা আজও পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে।ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কতটা মর্মান্তিক সত্য হতে পারে এই তথ্য? খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা-স্বাস্থ্যের দাবি যেখানে চিরন্তন, সেই অবস্থান থেকে দেখলেও নিষ্ঠুর বিশ্বের ছবি আমরা দেখতে পাব।বর্তমান সময়েও সারা পৃথিবীতে ৮ কোটি মানুষ ঘুমোতে যান খালি পেটে।প্রতি তুলনায় একটি যুদ্ধ সভ্যতার কাছে কতটা ভয়াবহতা আনতে পারে? রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ চলছে দু’সপ্তাহের বেশি। কত দিন চলবে তা আমাদের জানা নেই।ইউক্রেনের অভিযোগ ছিল, সুমির আবাসিক অঞ্চলে ৫০০ কেজি ওজনের একটি বোমা ফেলেছে রুশ বিমানবাহিনী। বোমার আঘাতে দু’টি শিশু-সহ অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সমানে সমানে হোক অথবা অসম যুদ্ধ।এই যুদ্ধে কৌশলী বাকচাতুরতার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে যুদ্ধবাজ দু’টি দেশের রাষ্ট্রনায়করা। ইউক্রেন দাবি করেছে, এই যুদ্ধে রাশিয়ার ১১ হাজার সেনার ম