Posts

Showing posts from November, 2021

ভারতে নির্বাচিত স্বৈরতন্ত্রকে রুখতে বিরোধীরা প্রস্তুত হচ্ছে

Image
দীপেন্দু চৌধুরী কেন্দ্রের মোদী সরকারের গত সাড়ে সাত মাসের শাসনে দেশবাসীর কাছে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠছে, বর্তমান সরকার সংসদীয় গণতন্ত্র মানতে আগ্রহী নয়। সম্প্রতি জোড়া অধ্যাদেশ জারি করে সিবিআই ও ইডি-র ডিরেক্টরদের পাঁচ বছর পর্যন্ত স্বপদে বহাল থাকার আইনি ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র। বিরোধীদের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দুটি প্রথমসারির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার প্রধানদের কার্যকালের মেয়াদ এক ধাক্কায় পাঁচ বছর বাড়িয়ে নিয়েছে সরকার। বিরোধীদের আরও অভিযোগ, সংসদকে এড়িয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে মোদী সরকার একটার পর একটা অধ্যাদেশ জারি করে গণতন্ত্রের প্রক্রিয়াকে একরকম ধ্বংসের পথে নিয়ে এসেছে। গত ১৫ নভেম্বর জোড়া অধ্যাদেশ জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার সিবিআই ও ইডির প্রধানদের পাঁচবছর পর্যন্ত শীর্ষপদে থাকার ব্যবস্থা করেছে। এই নতুন অধ্যাদেশ আনার আগে যে ব্যবস্থা ছিল, উল্লেখ করা যাক সরকারের সেই আইন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সাল থেকে প্রতিরক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইবি ও র’-প্রধানের মেয়াদ দু’বছরের জন্য বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই দু’টি দফতরের কার্যক্রমের গোপনীয়তা রক্ষা একট

ফেসবুক-র ব্যবসাবুদ্ধি সামাজিক বিভাজন বাড়াচ্ছে!

Image
দীপেন্দু চৌধুরী ঘটনা বছর দু’য়েক আগের। আমার এক সাংবাদিক বন্ধুর অভিঞ্জতা।মলয়ের স্ত্রী আমাকে ফোন করে অনুরোধ করল ওদের বাড়ি যাওয়ার জন্য। আমি কারণ জানতে চাইলে বলেছিল, আপনার বন্ধু একটি ঘটনায় খুব বিভ্রান্ত। আমরা ভয়ে ভয়ে আছি। ঠিক বুঝতে পারছি না কী করব! আমি ফোন পেয়ে সেদিনই মলয়দের বাড়ি গেলাম।আমদের অঞ্চলেই থাকে। মলয়ের থেকে যেটা জানতে পেরেছিলাম সেই অভিঞ্জতা তুলে দিচ্ছি।মলয় সামাজিক মাধ্যমে বেশ পরিচিত নাম। বিশেষত ফেসবুকে। দু’বছর আগে মানে ২০১৯ সালে, সেই বছর লোকসভার ভোট ছিল। মলয়ের ফেসবুকে কিছু অনুভূতিপ্রবণ পোস্ট করা হচ্ছিল অপরিচিত প্রোফাইল থেকে।ধর্মীয় সুরসুরি দেওয়ার একটি মেসেজ দেখে মলয় খুব মুষড়ে পড়েছিল। হিন্দু ধর্মে যারা বিশ্বাস করে তাঁদের কাছে রাম-সীতা, হনুমান মহাকাব্যের চরিত্র হলেও ভগবানের মর্যাদা পায়।ইসলাম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন প্রতিটি ধর্মেই এই সব চরিত্ররা আছেন।তাঁদের নিয়ে অশ্লীল ছবি প্রকাশ হওয়া মানে অঞ্চলে পরিকল্পিতভাবে ঘৃণা-বিদ্বেষ ও বিভাজনের রাজনীতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়।মলয়ের ফেসবুকে এই ধরণের প্ররোচনামূলক পোস্ট ধারাবাহিকভাবে আসছিল। সেই কারণে ও অত্যন্ত মুষড়ে পড়েছিল।চিন্তিত হয়ে বাক

ভোটের আগে জ্বালানি তেল নিয়ে বিজেপির ভোট রাজনীতি

Image
  দীপেন্দু চৌধুরী ভ্যাট কমিয়ে পেট্রল-ডিজেলে দাম কমানোর জন্য মোদী সরকার সম্প্রতি রাজ্যগুলির কাছে আহ্বান জানিয়েছে।এই আহ্বান জানানোর পরে বেশ কিছুদিন হয়ে গেলেও অধিকাংশ বিরোধী শাসিত রাজ্য ভ্যাট কমাতে রাজি নয়।বিরোধী শাসিত রাজ্য সরকারগুলির যুক্তি, কেন্দ্র উৎপাদন শুল্ক কমানোর জন্য পাল্লা দিয়ে সমানে রাজ্যের ভ্যাটের পরিমাণ কমছে। তার পরে আরও ভ্যাট কমাতে গেলে রাজ্যের কোষাগারে অর্থের টান পড়বে। আগামী বছর পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের আগে বিজেপি চাইছে প্রতিটি রাজ্যেই ভ্যাট কমিয়ে মানুষকে আরও সুরাহা পাইয়ে দিতে।বিজেপির রাজনৈতিক এই কৌশলের অন্যতম কারণ সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যের লোকসভা ও বিধানসভা(মোট ৩০টি)কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দল ধাক্কা খেয়েছে।উপনির্বাচনে বিজেপি লক্ষণীয়ভাবে আসন খুঁইয়েছে।দলের অভ্যন্তরে জ্বালানি তেল, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে ক্ষোভ দেখা দেয়। কোনও কোনও বিজেপি শাসিত রাজ্যের নেতৃত্ব সাংবাদিক সম্মেলন করে পেট্রপণ্যের দাম বাড়ার বিষয়টা উপনির্বাচনে হারার অন্যতম কারণ হিসাবে উল্লেখও করেন। তার পরেই ৩ নভেম্বর তড়িঘড়ি নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এনডিএ সরকার পেট্রল-ডিজেলে উৎপাদন শুল্ক কমানোর সিদ্ধান

বাংলায় দল বদলু রাজনীতিতে আরও এক নতুন অধ্যায়

Image
দীপেন্দু চৌধুরী বাংলার রাজ্য রাজনীতির কুরুক্ষেত্রের লড়াই শেষ হয়েছে।নতুন ময়দানে নতুন শারীরিক ভাষা। ‘ দল বদলু’-দের সামনে কেন জানি না সামাল সামাল রব। ‘দল বদলু’ নেতাদের কুস্তির লড়াইয়ে রাজনীতির আখড়া সরগরম। ‘মাৎসন্যায়’ রাজনীতিতে বিশ্বাসী কতিপয় নেতা নিজেদের আখের গোছাতে মঞ্চ বদলে ফেলছে। চলছে দোষারোপের চাপানউত ো র। ‘মুই ভাল না তুই ভালো’-র এক সম এবং অসম প্রতিযোগিতা। আসল উদ্দ্যেশ্য নিজের গোষ্ঠীর কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা। কেউ চাইছে নিজের পীঠ বাঁচাতে এবং বৈধ-অবৈধ খাজানার সরকারি নিরাপত্তা। কেউ বা চাইছে নতুন খাজানার নতুন হালখাতা  খুলতে। বিগত বছরের ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভামঞ্চে তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারী সহ ১০ জন বিধায়ক, একজন সাংসদ এবং একজন প্রাক্তন সাংসদ দল বদল করে বিজেপি দলে যোগ দিয়েছ িলে ন। ১২ জনের মধ্যে এক জন এ সেছি লেন সিপিএম দল থেকে। এক জন সিপিআই, বাকিরা সব শুভেন্দুর এক সময়ের স্বপ্নের দল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে। বাংলায় ‘দল বদলু’ রাজনীতির বা সংস্কৃতির প্রচলন ছিল না বললেই চলে । তৃণমূল আমলে এই ঘরানা শুরু হয়েছে। সেই কারণেই কি বিজেপির তৎকালীন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় বলেছ িলে ন, দলবদল রাজন