Posts

Showing posts from June, 2019

‘অজগর ক্ষুদিত হলে আরসুলা খায়না’

Image
দীপেন্দু চৌধুরী  আমি যখন কলকাতা থেকে শহরতলির রেল স্টেশন হয়ে বাড়ি ফিরি তখন ট্রেনের জানলা থেকে দেখি বালিগঞ্জ স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটি ১০-১১ বছরের মেয়ে ‘মাদারিকা’ খেল দেখাচ্ছে। আমি কোনদিন প্ল্যাটফর্মে বসে পুরো খেলা দেখি। আবার যাদবপুর, অথবা সোনারপুর স্টেশনকেও মেয়েটি বেছে নেয় খেলা দেখাবার জন্য। আগে ওদের বাবা-মা-য়েরা ধর্মতলায় খেলা দেখাত। মনুমেন্ট অর্থাৎ অধুনা শহীদ মিনারের তলায় আগে মাদারিকা খেল দেখা যেত। আমার নিজের জীবনওতো আজও বেদুইনদের মতোই। তাই ‘বোম্বে টু গোয়া’ না হোক। ‘শিয়ালদহ টু বারুইপুর’ সপ্তাহে পাঁচদিন মানুষের কলরবে মিশে থাকি। অবঞ্জা, অবহেলা, অপমান, মিথ্যে অপবাদের আড়ালে নিত্য যাত্রীদের উৎসাহ দেখি। এক একটি পরিবার, এক একজন ব্যক্তির জীবন সংগ্রাম, হকারদের লড়াই সব কিছু একাকার হয়ে যায় ‘পাখি সব করে রব/ রাত্রি পোহাইল’-এর অবকাশে।     খুব অল্প সময়ের জন্য ‘মাদারিকা খেল’-এর এই খেলা মেয়েটি তার ভাইকে সঙ্গে নিয়ে দেখায় । ভাইয়ের বয়স সাত আট বছর। ১ নম্বর বা ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের সঙ্কীর্ণ একটু জায়গা বেছে নিয়ে ছোট ছোট দুটো বাঁশের লাঠি দু’প্রান্তে আড়াআড়ি জুড়ে পাটের শক্ত দড়ি দিয়ে

RIP 1989 - কে বলে গো সেই প্রভাতে নেই আমি - Hemanta Mukherjee

Image

লোকসভা অধিবেশন শুরুর পরেই কি ধর্মঘট প্রত্যাহার?

Image
দীপেন্দু চৌধুরী রাজা আসে যায় রাজা বদলায় নীল জামা গায় লাল জামা গায় এই রাজা আসে ওই রাজা যায় জামা কাপড়ের রং বদলায়......                   দিন বদলায় না! রাজা আসে যায়, বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আজ মনে পড়ছে বিগত  শতাব্দীর আশির দশকের কথা। স্মৃতি থেকে স্মরণ করি। আশির দশকে দু’বার জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্ঘবদ্ধ প্রতিবাদ আন্দোলন আমাদের নজর কেড়েছিল। আশির দশকের প্রথমার্ধ এবং শেষার্ধ দু’দফায় এই আন্দোলন হয়। মনে রাখতে হবে মসনদে তখন বামফ্রন্ট সরকার। গরিবদরদী, কৃষক শ্রমিক শ্রমজীবী মানুষের সরকার। সেই সরকারের স্বাস্থ্যনীতি তথা রাজ্যে স্বাস্থ্যপরিষেবার বিঞ্জানসম্মত পরিকাঠামো গড়ে তোলা, ইন্টার্ন, জুনিয়র ডাক্তারদের ভাতা বৃদ্ধি, নিরাপত্তা সহ একগুচ্ছ দাবিতে ওই আন্দোলন হয়েছিল। আমি নিজে একটি গণসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে ওই সময়টা কিছু ডাক্তারদের কাছাকাছি ছিলাম। আজকের বাস্তবতায় খুব মনে করতে পারছি, আশির দশকের ‘জুনিয়র ডাক্তার’ আন্দোলনের একটা গোপন আদর্শ ছিল। এবং একটা সুনির্দিষ্ট দিশা ছিল। যে দিশা অবশ্যই মানবসেবা। যে আদর্শ পরবর্তীতে রাজ্যে কয়েকটি ‘শ্রমজীবী হাসপাতাল’ গড়ে তুলতে পেরেছে। মানবসেবাকে সাম

উদ্বৃত্ত জমিতে চটকল মালিকরা সহায়ক শিল্প করলে রাজ্যের আপত্তি নেই

Image
দীপেন্দু চৌধুরী ভারতে সপ্তদশ নির্বাচন হয়ে গেল। নির্বাচনের আগে বিরোধিদের তোলা প্রধান ইস্যু ছিল বেকারত্ব। নোট বাতিলের পরে দেশে বেকারির হার বেড়ে হয়েছে ৬.১ শতাংশ। যে হার গত ৪৫ বছরে সবথেকে বেশি। ন্যাশন্যাল স্যাম্পল সার্ভে অফিসের প্রকাশিত রিপোর্ট থেকেই এই তথ্য উঠে এসেছে। ভোটের আগে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার এই তথ্য প্রকাশ করেনি। ভোট মিটতেই কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানমন্ত্রক বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। চাকরি না পাওয়া বেকারদের সংখ্যা গ্রামীণ অঞ্চল থেকে শহরাঞ্চলে অধিক। আমরা এর আগে একটি নিবন্ধে উল্লেখ করেছি যে গ্রামে বেকারত্বের হার ৫.৩ শতাংশ তুলনায় শহরে এই হার ৭.৮ শতাংশ। গত কয়েক দশকের পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখে বাজারে যে চাকরি নেই এই সত্য রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকারও মেনে নিয়েছিল। বামফ্রন্ট আমল থেকেই আমাদের রাজ্যের বন্ধ কারখানার বিতর্কিত জমিতে নতুন শিল্প গড়ে তোলা যায় কিনা এই নিয়ে অনেক অনেক আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মত উঠে এসেছে।   সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন ২৫ এপ্রিল দুর্গাপুরে একটি জনসভায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ব কারখানা রাজ্য সরকারে

উদ্ভাবনী কৌশল এবং অনমনীয় ব্যক্তিত্বের অন্বেষণ

Image
দীপেন্দু চৌধুরী ‘খাবারের জন্য কাউকে পিটিয়ে খুন করা হলে বা ব্যঙ্গচিত্রের জন্য কার্টুনিস্টের জেল হলে সংবিধানটাই ব্যর্থ হয়।’ বলেছিলেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বম্বে বার অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে সংবিধানের মূল্যবোধ ব্যখ্যা করেন তিনি। এক্ষেত্রে দেশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ করেন তিনি। চলতি বছরের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে ২০১৪ সালের থেকেও বেশি আসন নিয়ে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ জুটি বিজেপিকে মসনদে বসাতে সক্ষম হয়েছেন। ভোট চলাকালীন এবং ভোট পরবর্তী সময়ে ইভিএম কারচুপি, নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় তোলা ইত্যাদি অভিযোগ স্বাভাবিক নিয়মেই উঠেছে। তবু বলতে দ্বিধা নেই ভারতীয় গণতন্ত্রে রাজনৈতিক পরিসর বেড়েছে। নেতা-নেত্রীরা ভোট চলাকালীন যে সব শব্দ এবং বাক্য ব্যবহার করেছেন সেটা ইতিপূর্বে এই মাত্রায় দেখা যায়নি । কখনও কখনও চর্চিত ভারতীয় গণতান্ত্রিক সৌজন্য এবং শালীনতা ছাপিয়ে গেছে। তারপরেও সপ্তদশ লোকসভা ভোটের উৎসব শেষ হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সরকার গঠন হয়েছে। ভোটের ফলাফলের পরে দেখা যাচ্ছে কংগ্রেসের নেতৃত্বে আঞ্চলিক দলগুলি মুখ থুবড়ে পড়েছে। কংগ্র