Posts

Showing posts from February, 2020

কয়েকজন বিদ্বজ্জনের বিদ্যাসাগর বিষয়ক অন্বেষণ

Image
দীপেন্দু চৌধুরী বাংলার নবজাগরণের পথিকৃৎ তিনি। অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার অখ্যাত বীরসিংহ গ্রামের ব্রাহ্মণ টোলের পরিবার থেকে বাবা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কলকাতায় এসেছিলেন। সে সময় সুদূর বীরসিংহ গ্রাম থেকে কলকাতায় যাতায়াতের পরিবহণ ব্যবস্থা বলতে কিছুই ছিল না। কেবলমাত্র পালকি করে যাতায়াতের ব্যবস্থা ছিল। আর ছিল গরুর গাড়ি। বিদ্যসাগরদের পরিবারের তখন পালকি বা গরুর গাড়ি রাখার মতো আর্থিক স্বচ্ছলতা ছিল না। কথিত আছে, তাই পায়ে হেঁটে মাইলস্টোন গুনতে গুনতে কলকাতায় আসেন বিদ্যাসাগর । ইতিহাস লেখার আগে ইতিহাস হয়ে উঠতে থাকে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা ‘বর্ণপরিচয়’-র গোপাল-রাখালের গল্প। ঋজু এবং দৃঢ় চরিত্রের ব্যক্তি বিদ্যাসাগর অন্যায়ের সঙ্গে কোনওদিন সমঝোতা করেননি। বিদ্যাসাগরের জন্মের ২০০ বছর পরে আজ আমরা আরও বেশি করে উপলব্ধি করতে পারছি তাঁর জীবনব্যাপী কর্মের গুরুত্ব। অনুভব করতে পারছি তাঁর সমাজ সংস্কার বিষয়ে আন্তরিক পদক্ষেপ।      ১৩২৯ সালের ১৭ শ্রাবণ বিদ্যাসাগর স্মরণসভায় রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘’আমাদের দেশের লোকেরা একদিক দিয়ে তাকে শ্রদ্ধা ঞ্জাপন না ক’রে থাকতে পারেননি বটে, কিন্তু

উত্তর আপনাকে এবং আপনাদের দিতে হবেই

Image
দীপেন্দু চৌধুরী আমরা প্রস্তুত আপনাকে অভিনন্দন জানাতে। স্বাগত জানাতে। ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানে আপনাকে সহিষ্ণু ভারতের সামিয়ানার নীচে, বহুবর্ণ প্রাঙ্গণে পুষ্পবৃষ্টি সহযোগে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত সরকার। ট্রাম্প সাহেব আপনাকে বলছি। আমরা ৭০ লক্ষ কেন কয়কে কোটি ভারতবাসী আপনার মত ব্যক্তিত্বকে সাদরে এবং সসম্মানে বরণ করে নিতে প্রস্তুত। কারণ আমরা ভারতীয়রা ঐতিহ্যগতভাবে অতিথিবৎসল। মোদিজি আপনাকে ভারতের তিনটে বিশেষ স্থানে নিয়ে যাবেন। গাঁধিজির স্মৃতি মন্থন করতে আপনাকে নিয়ে যাবেন সাবরমতি আশ্রমে। আপনি যাবেন আগ্রায়। প্রেমের স্মারক সমাধী তাজমহল দেখতে। এবং দিল্লিতে কেজরিবাল সরকারের পরিচালনায় একুশ শতাব্দীর ভারতে সরকারি স্কুল দেখতে যাবেন আপনি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যে, আপনি ভারতের সঙ্গে ‘বাণিজ্য চুক্তি’ বাতিল করতে চাইলেন কেন? ভারতে এমনিতেই চাকরির আকাল। আপনারা বিনিয়োগ করলে আমরা চাকরি পাই। এই বিষয়টা একবারও আপনি বা আপনার উপদেষ্টামণ্ডলী ভেবে দেখলেন না। আপনার বাণিজ্য সচিব আপনার সফরের আগে প্রস্তাবিত ভারত সফর বাতিল করলেন কেন? এসব প্রশ্ন তোলাটা কি অন্যায় হবে? বাতুলতা হবে? দক্ষিণপন্থী বিজেপি সরকার বর্তমান

তুমি কি সেই আগের মতোই আছ?

Image
দীপেন্দু চৌধুরী তুমি কি সেই আগের মতোই আছ? মান্না দের গানটা মনে পড়ছে। কাকে বলব? কার কাছে জানতে চাইব? সময় হ্যা সময় চলে যায় সময়ের মান দন্ডে। আক্ষেপ হয়। কে বা কারা যেন আমাদের অন্তঃপুরের আড়াল থেকে মুচকে হাসে। কতদিন, কত কাল কত বছর হয়ে গেল। পারিবারিক কর্তব্য, সামাজিক দায়বদ্ধতা, টালমাটাল রাজনীতির মিছিল থেকে ‘আবেগ ঘন’ অন্বেষণ শেষে যখন বুঝলাম আমার পথ হারিয়ে গেছে। তাই বলি তুমি বা তোমরা কি আগের মতই আছ? ‘লক্ষ্মীবুড়ি দোলায় চেপেছে’ গল্পে অমলেন্দু চক্রবর্তী লিখছেন, ‘’মৃদু বাতাসে গাছপালার পাতায় পাতায় ঝির ঝির শব্দটা আবার স্পষ্ট হয়ে উঠতেই কাছে দূরে পাখিরা ডাকছে, পুকুরপারে খানাখন্দে ব্যাঙের ডাক। এতক্ষণ এরা ছিল, এতধ্বনি, বোঝা যায়নি কিছুই। এবং আদ্যিকালের প্রাচীন ধ্বনিগুলি ধীরে ধীরে জেগে উঠতেই, ঘরবাড়ির আনাচে-কানাচে, ফাঁকে-ফুকুরে ঘরের বৌ-ঝিরা। যারা দাঁড়িয়ে ছিল তারা ঘোমটা টেনে, আঁচলে চোখ মুছতে মুছতে ঘরের দিকে পালায়। ...............যারা মিছিলে যায়নি, যেতে পারেনি, হঠাৎ নিজেদের খুঁজে পেয়ে ঝিম মেরে যায়।‘’ এই স্মৃতি মন্থন একটা ছবি। না ঠিক ছবি নয়, একটি পোস্টার। সিপিএম-কংগ্রেসের যৌথ জনসভা বীরভূমের নলহা

নাগরিক মিছিলের শঙ্খনাদ আহ্বান

Image
                                                                                                                    দীপেন্দু চৌধুরী    সম্প্রতি তৃণমূলকংগ্রেসনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীকে আবারও মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, সিপিএম এবং কংগ্রেস একজোট হওয়ার কারণে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম হয়েছিল । ইতিহাস এই অভিযোগ অথবা এই সত্য আগেও মেনে নিয়েছে বর্তমানেও মেনে নেয়। ভবিষ্যতেও মানবে। ভারতের রাজনৈতিক সমাজ অথবা রাজনীতি সচেতন নাগরিক এই তথ্যের সঙ্গে একমত। কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে তৃণমুল কংগ্রেস গঠনের প্রাক সময়কালটা একটু পিছন ফিরে দেখা যাক। সালটা ১৯৯৭। প্রদেশ কংগ্রেসে তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দের আঁচ দিল্লিতে হাইকমান্ডের কাছে পৌঁছেছে। তৎকালীন ভারতীয় ১১৩ বছরের কংগ্রেস দলের অভ্যন্তরেও চলছে গোষ্ঠীদ্বন্দ। রহস্যমাখা দুর্বোধ্য অবস্থান  থেকে এগিয়ে আসছেন সনিয়া গাঁধি। এই ধরণের ঘটনা যে ঘটতে পারে ১৯৯৭-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত কংগ্রেস দলের কেউ বুঝতে পারেননি। অন্তত আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দে অন্তঃপুরবাসিনী সনিয়া গাঁধী সরাসরি হস্তক্ষেপ করবেন এটা বাংলারও কেউ অনুমান করতে পারেননি। স্বভাববিরোধী