কয়েকজন বিদ্বজ্জনের বিদ্যাসাগর বিষয়ক অন্বেষণ
দীপেন্দু চৌধুরী বাংলার নবজাগরণের পথিকৃৎ তিনি। অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার অখ্যাত বীরসিংহ গ্রামের ব্রাহ্মণ টোলের পরিবার থেকে বাবা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কলকাতায় এসেছিলেন। সে সময় সুদূর বীরসিংহ গ্রাম থেকে কলকাতায় যাতায়াতের পরিবহণ ব্যবস্থা বলতে কিছুই ছিল না। কেবলমাত্র পালকি করে যাতায়াতের ব্যবস্থা ছিল। আর ছিল গরুর গাড়ি। বিদ্যসাগরদের পরিবারের তখন পালকি বা গরুর গাড়ি রাখার মতো আর্থিক স্বচ্ছলতা ছিল না। কথিত আছে, তাই পায়ে হেঁটে মাইলস্টোন গুনতে গুনতে কলকাতায় আসেন বিদ্যাসাগর । ইতিহাস লেখার আগে ইতিহাস হয়ে উঠতে থাকে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা ‘বর্ণপরিচয়’-র গোপাল-রাখালের গল্প। ঋজু এবং দৃঢ় চরিত্রের ব্যক্তি বিদ্যাসাগর অন্যায়ের সঙ্গে কোনওদিন সমঝোতা করেননি। বিদ্যাসাগরের জন্মের ২০০ বছর পরে আজ আমরা আরও বেশি করে উপলব্ধি করতে পারছি তাঁর জীবনব্যাপী কর্মের গুরুত্ব। অনুভব করতে পারছি তাঁর সমাজ সংস্কার বিষয়ে আন্তরিক পদক্ষেপ। ১৩২৯ সালের ১৭ শ্রাবণ বিদ্যাসাগর স্মরণসভায় রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘’আমাদের দেশের লোকেরা একদিক দিয়ে তাকে শ্রদ্ধা ঞ্জাপন না ক’রে থাকতে পারেননি বটে, কিন্তু