Posts

Showing posts from November, 2019

পরিবেশ বান্ধব সবুজ বিশ্বের ছবি

Image
দীপেন্দু চৌধুরী ছবি দেখার ছবি, ছবি শোনার ছবি। গত কয়েক দশকের অভিঞ্জতা থেকে বলা যায় আমাদের দেশে যারা সিনেমার চিত্রনাট্য লেখেন, পরিচালনা করেন তারা মূলত বেছে নেন গ্রামের মহাজন, শহরের চালের ব্যবসায়ী, আন্ডার ওয়ার্ল্ডের খলনায়ক এবং একজন প্রতিবাদী নায়ককে । বাণিজ্যিক মুন্সিয়ানায় এই সব ছবি তৈরি করা হয় বাংলা এবং সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে। ব্যতিক্রম অবশ্যই থাকে। আর্ট ফিল্ম অথবা সমান্তরাল ছবির ক্ষেত্রে। ১৯৫৯ সালের একটি প্রবন্ধে সত্যজিৎ রায় আক্ষেপের সঙ্গে লিখেছিলেন, ‘’চলচ্চিত্র শিল্প কিনা তা নিয়ে এখনও বিতর্ক ওঠে।‘’ বিশ্ববরেণ্য ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালকের মনে হয়েছিল, ‘’আসলে গোলমাল ওই শিল্প কথাটাকে নিয়েই। শিল্প না বলে যদি ভাষা বলা হয়, তাহলে বোধ হয় চলচ্চিত্রের স্বরূপটা আরো স্পষ্ট হয়, এবং তর্কেরও আর অবকাশ থাকে না।‘’ এই কথা সত্যজিৎ রায় বলার পরে আমরা প্রায় ৬০ বছর পেরিয়ে এলাম। সিনেমা এখন আর তিন ঘণ্টা, দু’ঘণ্টা অথবা এক ঘণ্টা থিয়েটার হলে বসে দেখার প্রয়োজন নেই। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এবং ইউ টিউবের মাধ্যমে আমরা স্মার্টফোন হাতে যে কোন সময় পছন্দমতো ছবি দেখে নিতে পারি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন, বি

ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আইপিসিসি বিষয়ক অভিনব কর্মশালা

Image
দীপেন্দু চৌধুরী একসময় কলকাতা শহরকে পুকুরের শহর বলা হত। বা জলাশয়ের শহর (সিটি অব পন্ডস) হিসেবে প্রখ্যাতি পেয়েছিল কলকাতা। সময়টা ব্রিটিশ শাসনের সময়কাল। ব্রিটিশ আমলে আমাদের এই শহরের জগৎজোড়া এমনই খ্যাতি ছিল। ‘ন্যাশন্যাল অ্যাটলাস অ্যান্ড থিম্যাটিক ম্যাপিং অর্গানাইজেশন’ (ন্যাটমো)-র রিপোর্ট বলছে, কলকাতা শহরে কয়েক দশক আগেও ৮৭০০-র বেশি জলাশয় ছিল। প্রায় ৪০ শতাংশ বিগত দু’তিন দশকে ভরাট হয়ে গেছে। বর্তমান সময়ে রাজ্যের জলাভূমির ছবিটা হচ্ছে, স্থায়ী বা ক্ষণস্থায়ী বড়ো এবং ছোটো মাছ ধরার পুকুর, মাছচাষ ব্যবস্থা, লবণাক্ত জলাভূমি, ম্যানগ্রোভস, অগভীর হ্রদ, স্বাদু বা নোনা জলের অগভীর হ্রদ, নিকাশী ব্যবস্থার জল দ্বারা পুষ্ট জলাভূমি, জলের গর্ত, নদী উপত্যকা, পার্বত্য জলধারা, নদী-উপনদী, ব-দ্বীপ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জলাভূমি সংক্রান্ত বাস্তুতন্ত্র গড়ে উঠেছে। গঠন এবং জল সংক্রান্ত বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জলাভূমিকে চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। (১) গাঙ্গেয় পলিসমৃদ্ধ সমতলের জলাভূমি, (২) সমুদ্র তীরবর্তী জলাভুমি, (৩) রাঢ় অঞ্চলের জলাভুমি এবং (৪) হিমালয়কেন্দ্রিক জলাভূমি। পশ্চিমবঙ্গের ৫৪টি প্রাকৃতিক এবং ৯টি মান

গ্রন্থাগারিক সভা এবং শিশু সাহিত্যের খোঁজে

Image
দীপেন্দু চৌধুরী সাহিত্য বলি অথবা সমাজের চলচ্চিত্র বা চালচিত্র । আজ থেকে ২৫০০ বছর আগে মানুষ তালপাতার পুঁথিতে হাতে লিখে রেখে গেছে। তৎকালীন সাহিত্য, সংস্কৃতি, সভ্যতার ইতিহাস এবং সামাজিক লোকাচারের কথা। সাহিত্যের মানের কথা মাথায় রেখেই সে সময় থেকে বিংশ শতাব্দীর শেষ দশক পর্যন্ত লেখকরা লিখেছেন, প্রকাশক বই প্রকাশ করেছেন, গ্রন্থাগারিক পাঠাগারে বই সংগ্রহ করেছেন। সভ্যতার প্রথম যুগে অধিকাংশ মানুষ ছিল শিকারি এবং পশুপালক। এর পরে এল কৃষি আরও পরে আসে শিল্প-বাণিজ্য । স ৃষ্টি হয় বুদ্ধি দিয়ে কাজের পরিবেশ। গুরুত্ব বাড়ে ‘বুদ্ধি নির্ভর’ কাজের। কায়িক শ্রমের তুলনায় বুদ্ধির কাজ বা মাথা খাটিয়ে কাজ করাটা হয়ে ওঠে জটিল থেকে জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ। ভারতে যেমন রামায়ন, মহাভারতের কথা আমরা জানি, পাশাপাশি ইউরোপ, আমেরিকায় তেমনি বাইবেল, মধ্য প্রাচ্যে কোরানের প্রসঙ্গ এসে যায় বা আরও প্রাচীন সাহিত্য পুঁথি ইত্যাদির প্রসঙ্গ এসে যায়। এই সব ধর্মগ্রন্থ এবং বিঞ্জান, চিকিৎসা বিঞ্জান, ইতিহাস, সাহিত্য বিভিন্ন বইয়ের জন্য প্রয়োজন হয়ে পরে গ্রন্থাগারের। যেমন বাগদাদের কথা বলা যায়। বাগদাদ একসময় ছিল ইসলামিক রাজধানী। এই শহরে বিখ্যাত

সমাজ বদলতো সংবাদপত্রই করবে

Image
দীপেন্দু চৌধুরী কিছুদিন আগে পর্যন্ত সংবাদপত্রের বা গণমাধ্যমের ইতিহাস নিয়ে যারা চর্চা করেছেন তাঁদের দাবী ছিল, সারা বিশ্বে মোট যে ১৯২ টি দেশ আছে তার মধ্যে ১১৭টি হল গণতান্ত্রিক দেশ। উল্লেখিত ১১৭ টি দেশের মধ্যে আবার মাত্র ৬০টি দেশে স্বাধীন সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদ পত্রগুলি স্বাধীন চরিত্র ধরে রাখলেও প্রকাশিত সংবাদ পত্রের গঠন এবং চরিত্র একরকম নয়। এই প্রসঙ্গে বলা যায় দেশে দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ক্ষেত্রেও তারতম্য আছে। এতদসত্বেও এরমটা দাবী করা যায় যে, তারা স্বাধীন সংবাদপত্রের ভূমিকা পালন করে চলেছে। গণতন্ত্রের চরিত্র অনুযায়ী একেক দেশে একেক রকম সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পেয়ে থাকে । আমরা বলতেই পারি সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার যে চেহারা সেটা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট দেশের গণতন্ত্রের চেহারার উপরে। এবং বলতেই হবে ২৩৭ বছর ধরে টানা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মঞ্চের খোঁজে যে অনুসন্ধান, সেটা আজও সমানভাবেই সচেষ্ট রয়েছে। একটি দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সমস্ত সিদ্ধান্তই গ্রহণ করা হয় ধারাবাহিক বৌদ্ধিক বিতর্ক এবং আলোচনার মাধ্যমে। কোনও একজন ব্যক্তি অথবা কিছু তালেবর গোষ্ঠীর গৃহীত সিদ্ধা