Posts

Showing posts from July, 2019

সুন্দরী গাছের সামাজিকতায় ওরা থাকে

Image
দীপেন্দু চৌধুরী  সালটা সঠিকভাবে মনে পড়ছে না। খুব সম্ভবত ২০০৩ সাল হবে। আমি তখন সাংবাদিক হিসেবে ‘জি নিউজ’-এর বাংলা শাখা ‘আলফা বাংলা’ নিউজ চ্যানেলের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার দায়িত্বে। অফিস থেকে আমাকে জানানো হল, সুন্দরবনে বাঘশুমারি(বাঘগণনার)-র কাজ হচ্ছে, খবর করতে যেতে হবে। বনদপ্তর এবং সুন্দরবন উন্নয়ন দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ‘সুন্দরবন’-এর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করতে আমরা দেখেছি। আজ থেকে ১৬ বছর আগে সুন্দরবনের তখনও এতটা উন্নয়ন হয়নি। সমতলের সঙ্গে ১০২ টি দ্বীপের যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল অপ্রতুল। ক্যানিং থেকে বাসন্তি যেতে হলে মাতলা নদী হেঁটে পার হয়ে ও পাড়ে গিয়ে ভ্যান রিক্সা করে বাসন্তী রোডে গিয়ে বাস ধরতে হত। আমরা সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে খবর করতে যেতাম বাস, অটো, ভ্যান রিক্সা নৌকা, ভুটভুটি  এবং মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে। এতটাই প্রত্যন্ত ছিল সেই সময়ের সুন্দরবন অঞ্চল। তৎকালীন দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সদর ছিল আলিপুর। আলিপুর থেকে বাসে করে সরকারি উদ্যোগে  আমাদের বাসন্তী নিয়ে যাওয়া হয় ২০০৩ সালের বাঘ গণনার দিন । বাসন্তী থেকে আমরা লঞ্চে করে গোসাবার দু’তিনটে অঞ্চলে যাই। জুতো খুলে রেখে, লঞ্চ থেকে নেমে প্যা

সোনভদ্র কংগ্রেসের কাছে ‘নান্দীমুখ’ আলো

Image
  দীপেন্দু চৌধুরী হা হা মাঠ পান্ডু শুয়ে মৃৎবৎসা নারীর মতন, ত্বকে তার দ্রোণকাঁটা মাঝে মাঝে গো-ক্ষুরের দাগ চক্রাকারে ঘুরে গেছে। তার কাছে দুঃখীর প্রার্থিত সাবেক দুধেল শস্য বাষ্প হয়ে অশ্রুর প্রথায় উবে যায় ফি-বছর অভিঞ্জতা, আঁকিবুকি কেটে। (জমিসংক্রান্ত চতুর্দশপদী, অমিতাভ দাশগুপ্ত) ঘোড়া কেনা বেচা শেষে সহিস ঘরে ফিরে গেছে। উন্নয়নশীল ভারতে একটি অঙ্গ রাজ্যের ক্ষমতার সিংহাসন আবারও দখল করা হয়ে গেছে। নির্বাচন, আদালত, দলাদলি, দলবদলু অবশেষে কর্নাটকের আস্থাভোটে হেরে গিয়েছে জেডিএস-কংগ্রেস জোট। সত্যমেব জয়তে, সত্যমেব বিজেপি। আমি দুর্যোধন, জাতি শ্রেষ্ঠ। জয় হোক সংসদীয় গণতন্ত্রের। কংগ্রেস বলছে, কর্নাটক নাটক শেষ হলে কংগ্রেস স্বমহিমায় ফিরবে। দলে সঙ্কটকালের শুরু,  কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধি সপ্তদশ লোকসভা ভোটে বিজেপির কাছে গোহারান হারের পর পদত্যাগ করে দিয়ে বসে আছেন। বেমক্কা তিনি পদত্যাগ করে ‘গোঁ’ ধরে বসে আছেন। তিনি ‘সভাপতি পদ’ উজ্জ্বল করতেও পারবেন না। কলঙ্কিত করার দায়িত্বও নিজের কাছে রাখবেন না। অতএব? কাঁধে বাঁশ রেখে পিছনে থাকা নেতারদল গত শতাব্দীর নব্বই দশকের ভ্রুকটি দেখছেন। সনিয়া গাঁধ

মানবতার খোঁজে পাঁচজন বিদ্যোৎসাহী

Image
  দীপেন্দু চৌধুরী উন্নয়নশীল বর্তমান ভারতে গণতন্ত্রের পরিসর খুঁজছেন তাঁরা। বাকস্বাধীনতা, লেখার স্বাধীনতা, শিক্ষার অধিকার, তথ্য জানার অধিকার, খাদ্যের, সুস্বাস্থ্যের অধিকার, স্বচ্ছ ভারতের অধিকার, পরিবেশ ভারসাম্যের অধিকার, প্রতিবাদের পরিসর, রাষ্ট্র তথা শাসকগোষ্ঠীর ভুলত্রুটির গঠন মূলক আলোচনার পরিসর খুঁজছেন তাঁরা। যদিও বেসরকারি পুঁজির নিয়ন্ত্রকগোষ্ঠী এবং বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি উন্নয়নশীল ভারতে উন্নয়ন এবং বিকাশের ধারা অব্যাহত আছে। এবং ভারতের সব স্তরের মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করছে। আমাদের দেশে প্রত্যেকটি নাগরিকের সমান সাংবিধানিক অধিকার স্বীকৃত। ১৯৪৬ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল ভারতের সংবিধান রচনা। ৩০৮ জন সদস্যের গণপরিষদ প্রায় তিন বছর সময় নিয়ে ভারতের সংবিধান রচনা করেন। এটাই ছিল সে সময়ের পৃথিবীর দীর্ঘতম লিখিত সংবিধান। ভারতে সম্পত্তির মালিকানা অর্জনে যেমন কোনও নিষেধাঞ্জা নেই। মালিকানা দখল করার কৌশল যাই হোক, একবার সম্পত্তির মালিকানা দখল হয়ে গেলে তা হস্তান্তর করার ক্ষেত্রেও কোনও সমস্যা হয় না। বর্তমান উদার অর্থনীতি তথা বাজার অর্থনীতিতে সরকারের আইন আরও সহজ হয়েছে। লাইসেন্সপ

কলকাতার ‘হেরিটেজ’ রক্ষায় নীরব এবং সরব ভাষার রেখাচিত্র

Image
দীপেন্দু চৌধুরী কলকাতা লন্ডন হয়েছে কি হয়নি এই বিতর্ক চলতেই থাকবে। ২০১১ সালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কলকাতা একদিন লন্ডন হবে। তারপরে আটটা বছর কেটে গেছে। কলকাতা শহর বাহ্যিকভাবে সুন্দর হয়েছে। হারিয়েছে অতীতের স্থাপত্য, ঐতিহ্য। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, কলকাতার ‘হেরিটেজ’ রক্ষার ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভা লন্ডনকে অনুসরণ করতে চায়। যার প্রাথমিক কাজ হচ্ছে, কলকাতা পুরসভার বর্তমান হেরিটেজ তালিকা বাতিল করে নতুন ভাবে তৈরি করা। লন্ডন শহরের ‘হেরিটেজ’ যেভাবে তৈরি করা হয়েছে সেই গাইডলাইন মেনে কলকাতায় এই তালিকা তৈরি করতে চাইছেন পুরকর্তারা। ২০০৯ সালে কলকাতা পুরসভা ১২০০ স্থান এবং ভবনকে চিহ্নিত করে হেরিটেজ তালিকা প্রকাশ করেছিল। এই তালিকায় ‘গ্রেড ওয়ান’, ‘গ্রেড টুএ’ এবং ‘গ্রেড টুবি’ পর্যায়ভুক্ত করেই হেরিটেজ কমিটি নিজেদের দায়িত্ব পালন করে। এবং পেন্ডিং তালিকায় ৩১০টি ভবনকে রাখা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার ওয়েব সাইটে হেরিটেজ তালিকা দেখতে চাইলে পরিষ্কার ছবি পাওয়া যায় না। এক লাইনে ভবনটির উল্লেখ থাকে মাত্র। যেটা থেকে হেরিটেজ ভবন সম্পর্কে উৎসাহী ছাত্র-ছাত্রী, গবেষকরা কিছুই

ব্রেক্সিটের সিদ্ধান্তে ব্রিটেন অটল থাকলে ‘আত্মহত্যার’ সামিল হবে

Image
  দীপেন্দু চৌধুরী দিনটা ছিল ২ জুলাই, ২০১৯ । স্থান ফ্রান্সের স্ত্রাসবুর্গ শহর। এই শহরেই ইউরোপীয় পার্লামেন্টের উদ্বোধনী অধিবেশন অনুষ্ঠানে একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনার সঙ্গে সম্প্রতি আমাদের পরিচয় হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের সৌজন্যে। সেদিন ওই অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সঙ্গীত ‘অ্যান্থেম অব ইউরোপ’ বাজানোর সময় ব্রিটেনের ব্রেক্সিট পার্টির ২৯জন সদস্য পিছন ফিরে দাঁড়িয়েছিলেন। এই আচরণের জন্য তাঁদের ভৎর্সিত হতে হয়। ব্রেক্সিট পার্টির ২৯জন সদস্যকে ভৎর্সনা করে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিয়ো তাইয়ানি বলেছেন, ‘’আপনারা ইইউ ছেড়ে যাওয়ার পক্ষে হতেই পারেন। কিন্তু ইইউকে এ ভাবে অপমান করতে পারেন না।‘’ ব্রিটেন সহ সারা বিশ্বে ‘ব্রেক্সিট’ আজও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ২০১৬ সালে কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য লর্ড মাইকেল অ্যাশক্রফট (Lord Michel Ashcraft) ১২, ৩৬৯ জন ব্রিটিশ নাগরিকের মধ্যে একটি সমীক্ষা করেন। এইসব নাগরিকদের ৬৯ শতাংশ মনে করে ইউকে-এর পরিবেশ রক্ষার জন্য ব্রেক্সিটের প্রয়োজন আছে। ওই সব নাগরিকদের অভিমত ইইউ-এর সদস্য হওয়ার কারণে ‘’গ্রীন মুভমেন্ট’’ ব্রিটেনে দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং দূষণের পরিমাণ বাড়ছে। আর এক