Posts

Showing posts from August, 2020

অবরুদ্ধ শশ্মানে সৃষ্টির আহ্বান

Image
দীপেন্দু চৌধুরী একদিকে যেমন ভাঙে প্রকৃতি আবার ফিরিয়েও দেয়। করোনা পরিবেশে এ বছর আমাদের দেশের তথা আমাদের বাংলার বর্ষাভাগ্য ভালো বলতে হবে। দীর্ঘ তিনমাস সাড়ে তিনমাস লকডাউন থাকার জন্য বাস,গাড়ি, অটো চলেনি। বায়ুদূষণের মাত্রা অনেক অনেক কম। জলবায়ু পরিবর্তনের সংযোজিত অংশ বলা যায়। দূষণ কম হওয়ার কারণ হোক অথবা প্রকৃতির উদারতা, বর্ষা এই বছর বর্ষার কবিতা, গল্প, উপন্যাস, পত্রসাহিত্য, ছেলেবেলা, বর্ষাবেলার স্মৃতি ফিরিয়ে দিল। জল পড়ে পাতা নড়ে। টাপুর টুপুর বৃষ্টি পড়ে/ নদেয় এল বান......। বৃষ্টির ছন্দের আনন্দে বুলবুলি পাখির একটানা শিষ । চেনা পাখিদের বৃষ্টিস্নান শেষে সন্ধ্যায় গাছভেজা নীড়ে ফেরা। শীত গ্রীষ্মের ঘুম ভেঙ্গে ব্যাঙের গ্যাঙর গঙ, গ্যাঙর গঙ একটানা আওয়াজ। কখনও একক ছন্দে, আবার কখনও বা সমবেত কন্ঠে। যেন ফিরে পাওয়া নিজেদের সভ্যতার আনন্দ । চেনা সভ্যাতা চেনা ঋতুতে। ওদের ক রোনা ভাইরাসের চিন্তা নেই। ওরা থাকে ওদের গোষ্ঠীবদ্ধ সামাজিকতায়।           করোনা ভাইরাসের মৃত্যুমিছিল ব্যক্তি ‘আমি’-কে পরিবার সমাজ নতুন ভাষায় চিনতে শেখাচ্ছে। সমাজ পরিবারকে প্রতিবেশীদের চিনতে জানতে বলছে। কোথাও কোভিড রুগীকে সামাজিক ভাবে প্রতিব

সার্বভৌমত্বের বৃহত্তর গণতন্ত্র আবার সাবেক পথ চেনাবে!

Image
  দীপেন্দু চৌধুরী   ইতিহাস দাবি করছে, প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের সময় তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট উডরো উইলসন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লয়েড জর্জ নিজেদের কূটনৈতিক দ্বিধা দ্বন্দ মেটাতে শান্তি আলোচনায় বসেন। কিন্তু সেই আলোচনা ব্যর্থ হয়। শুরু হয় নতুন বিশ্বের ভারসাম্য। তথা দ্বিতীয় বিশ্বের মঞ্চ। গত একশ বছরে দ্বিতীয় বিশ্বের ভারসাম্যে বিস্তর টাল মাটাল হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ঠান্ডা যুদ্ধের যুগ শুরু হয়েছিল। দুই মেরুর বিশ্ব। তারপরে এক মেরু বিশ্বে আমেরিকান হেগেমনি সারা বিশ্ব দেখেছে। সারা বিশ্ব জুড়ে মার্কিন আধিপত্য। বিংশ শতাব্দীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল প্রথম শ্রেণীর অর্থনীতির দেশ। পরিমাপে ছিল আগের থেকে অনেক বড় মাপের। উনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নতুন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়। গ্রাম নির্ভর একটি সামন্ত কৃষিপ্রধান রাষ্ট্র থেকে শিল্পসমৃদ্ধ দেশ হয়ে ওঠে। কয়লা, ইস্পাত, বাস্পশক্তি এবং রেলপথকে মাধ্যম করে এক উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করে নেয় । সারা বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশের সঙ্গে প্রতি তুলনায়। শিল্পোন্নত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম কারিগর ছিলেন, প্রেসিডেন্ট অ্য

‘মানুষের মধ্যে একটাই সত্য, ভাগ্যটাই মায়া’

Image
  দীপেন্দু চৌধুরী   আমাদের ক্ষুদিরাম ওদের...............। শহীদ ক্ষুদিরামের আত্মবলিদানের দিন। এই ধরণের একটা স্লোগান সহ পোস্ট সম্প্রতি দেখা গেল সামাজিক মাধ্যমে। বড্ড দেরি হয়ে গেল বন্ধু। ভারতে ক্ষুদিরাম, কানাইলাল, ভগত সিংদের নিয়ে ব্যপক প্রচার কয়েক দশক আগে থেকে ধারাবাহিকভাবে করে যাওয়াটাই ছিল আমাদের দায়িত্ব। স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের জানাটা অত্যন্ত প্রয়োজন। গত কয়েক দশক ধরে ধারাবাহিকভাবে উগ্র এক অতি দক্ষিণপন্থী সাংস্কৃতিক আগ্রাসন সুপরিকল্পিতভাবে শুরু হয়েছিল, সেটা কংগ্রেস সহ ভারতের অন্যান্য গণতান্ত্রিক শক্তি এবং   বামপন্থীরা হয় টের পায়নি, না হলে এই বিষয়ে উদাসীন থেকেছে। যার মূল্য আজ দিতে হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক নাগরিকদের। ভারতের অংশীদারি গণতন্ত্র আজ আক্রান্ত। ব্যাপক পরিসরে এক অশুভ শক্তি ঘিরে ফেলতে চাইছে। স্যার সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এদের এখন আমাদের বড় বেশি প্রয়োজন। গাঁধিজী লিখছেন, ‘ব্যারাকপুরে স্যার সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জীর বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করার সৌজন্য আমার হয়েছিল। আমি শুনেছিলাম, উনি অসুস্থ এবং বার্

মর্মরিত শুকনো পাতার দামামা আজও শুনতে পাই

Image
  দীপেন্দু চৌধুরী স্বাধীনতার ৭৩ বছর পরে ওরা কেমন আছে? আনুষ্ঠানিকতায় ওদের যতটা আপ্যায়ন থাকে সামাজিক পরিসরে,   সত্যিই কি ওরা মূল স্রোতের অধিকার অর্জন করতে পেরেছে? আজকের বর্তমানকে নিয়ে হৈ চৈ করার গণতান্ত্রিক অধিকার আমাদের আছে। একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে প্রায় হারিয়ে যেতে চাওয়া মানবাধিকার থেকে চুঁইয়ে পরা আলো ঠিকরে বেরিয়ে আসছে আমার চোখে, আমার মনে, আমার আত্মশক্তিতে। আত্মনির্ভর ভারতীয় সমাজের সমাজবাদী চেতনার মানদন্ডে। সংখ্যালঘু, দলিত মানুষের সঙ্গবদ্ধ শক্তিতে, আদিবাসী মানুষের মুষ্ঠিবদ্ধ হাতের ভরসায়। শ্রমজীবী মানুষের ঐকতান সুরে। ওই মানুষগুলো। হ্যা, ফেলে আসা অতীতের ওই উপজাতি মানুষগুলোর মাঝে অতীতের সারল্য, নীমতেল মাখা কালো কুচকুচে চামড়ায় আজকের সমাজেও খুঁজে পাওয়া যায়। পাহাড়ে পাহাড়ে, পাহাড়তলিতে প্রতিধ্বনি শোনা মানুষেরা আজও জঙ্গলমহলের আত্মীয়। শাল, সেগুন, মেহগনি, মহুল গাছের সবুজ সামাজিকতায় ওরা পাকদন্ডি রাস্তায় চলতে অভ্যস্ত। বিশ্বায়ন সভ্যতার নিওন আলো, এলইডি আলোর ঝলকানি ‘বাবু সমাজ’-র মলে ওদের ভিড়তে অধিকার দিলেও ‘জলচল’ ওরা নয়। ওরা আদিবাসী, ওরা উপজাতি । ওদের অতীত ইতিহাস আছে। ইতিহাসবিদরা জানাচ্ছেন, আ

সচেতন চেতনা নব জাগরণের দ্যোতনা জাগায়

Image
দীপেন্দু চৌধুরী  ৬ অগস্ট ২০১৯, প্রভাতি সংবাদপত্রের প্রথম পাতার শিরোনাম ছিল ‘রাজ্য নয় কাশ্মীর’। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করার প্রস্তাব তার আগের দিন অর্থাৎ ৫ অগস্ট পাস করিয়ে নেয় মোদী সরকার। পরেরটা ইতিহাস। প্রায় একবছর আগে ওই দিন হাতে গোপন নথি নিয়ে হাসি মুখে সংসদে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অন্যতম বিশ্বাসযোগ্য সুহৃদ অমিত শাহের মুখে সত্যিই সেদিন এক বিজয়ীর হাসি ছিল। ভাবটা এরকম ‘আমি জয়ী’ । আমাদের জয় হয়েছে। আমরা পারি। দেখ আমাদের সমালোচকরা । আমরা সংসদীয় পথে আজ জয়ী। হ্যা, সত্যি সত্যি জয় আস্তে বেশি সময় লাগেনি। বিল লোকসভায় পাশ হয়ে ৩৭০ ধারার বিলোপ হয়েছে। বিশেষ মর্যাদার অধিকার হারিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। ওই রাজ্যকে ভেঙে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয়েছে। এটা একটা অধ্যায়। এই অধ্যায়ের শুরুতেই জম্মু-কাশ্মীরের দুজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে আটক করে ‘গৃহবন্দি’ করে রাখা হয়। একবছর পরে জম্মু-কাশ্মীরের অর্থনীতির কি হাল? সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাশ্মীর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সেখ আসিক আহমেদ জানিয়ে