Posts

Showing posts from December, 2020

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রাজ্যের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা

Image
দীপেন্দু চৌধুরী উচ্চ প্রাথিমিকে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য সরকারের শিক্ষা দফতর গত সাত-আট বছর ধরে কলকাতা হাইকোর্টের সমালোচনা শুনছে। সম্প্রতি আবারও একটি মামলায় ধাক্কা খেয়েছে। সেই আবহের মধ্যেই একগুচ্ছ দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলনে নামল প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা। প্রশাসনিক বদলির নামে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অন্যায়ভাবে বদলি বন্ধ করা, করোনা যোদ্ধার স্বীকৃতি না পাওয়া, শিক্ষা বহির্ভূত কাজে নিযুক্ত রাখা, প্রশাসনিক বদলির নামে শাস্তি বন্ধ করা সহ একাধিক দাবিতে রাজ্যের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকারা রাস্তায় নেমে সম্প্রতি অবস্থান বিক্ষোভ করে প্রতিবাদ জানাল। ১০ ডিসেম্বর স্টেট ফোরাম অব হেডমাস্টার-হেডমিস্ট্রেসেস সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির ৫০০ জন সদস্য বিক্ষোভ দেখায়। ১০ ডিস্মেবরের বিক্ষোভ আন্দোলনের কর্মসূচীতে রাজ্যের ২৩ টি জেলার প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকারা অংশগ্রহণ করে। রাজ্যে এই প্রথম স্কুল এবং মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা শিক্ষা দফতরের বঞ্চনার প্রতিবাদে নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে ময়ূখ ভবনের সামনের ফুটপাথে ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তির নীচে ধর্নায় বসল। সংগঠনের মূল দাবি গুলোর মধ্যে আছে, প্রশাসনিক বদল

কৃষক আন্দোলন ভাঙার বিভিন্ন কৌশল নিচ্ছে মোদী সরকার

Image
দীপেন্দু চৌধুরী কেন্দ্রের আনা তিনটি কৃষি আইন বাতিলের আন্দোলনের শুরু থেকেই তিনি ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন। সম্প্রতি তার নিজের রাজ্য গুজরাতে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে একই অভিযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি একটি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘’দিল্লির পাশেপাশে কৃষকদের বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে। আমি কৃষক ভাই-বোনদের বলছি, তাঁদের যে কোনও আশঙ্কা দূর করতে সরকার ২৪ ঘণ্টা তৈরি।‘’ প্রধানমন্ত্রী ষড়যন্ত্রের গন্ধ দেখলেও আন্দোলনরত কৃষক নেতৃত্বের দাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে রাজ্যের মাটিতে দাঁড়িয়ে ষড়যন্ত্রের কথা বলে এলেন সেই রাজ্যে নিজেই কৃষকদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছেন। যে কথা তার ‘গোদী মিডিয়া’ প্রচার করছে না। গুজরাতের কচ্ছের তালুকা অঞ্চলে ১৫ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী একাধিক বৈঠক করেছেন। তারমধ্যে ওই অঞ্চলের কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের কথা গুজরাত সরকারের তরফে প্রচার মাধ্যমকে জানান হয়। রূপানী সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দফতর থেকে কচ্ছের তালুকা অঞ্চলের কৃষকদের আমন্ত্রণপত্র পাঠান হয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তাঁদের আমন্ত্রণ জানান হয়। ‘গোদী মিডিয়া’ এই অনুষ্ঠানের প্রচার ঢক্কানিনাদ সহ প্রচার করলেও আসল তথ্য চেপে গেছে। কারণ প্রধানমন্ত্র

কোর্টের রায়ে কী আমাদের ভবিষ্যৎ খুঁজে পাব, প্রশ্ন হবু শিক্ষকদের

Image
দীপেন্দু চৌধুরী সেদিন ছিল ১২ ডিসেম্বর। ফোনটা পেলাম। সুবীর মণ্ডল (নাম পরিবর্তিত) নামে একজন ফোন করেছিল। আমি সুবীরকে ভুলেই গিয়েছিলাম। মনে রাখার কথাও নয়। কারণ সে তিন-চার বছর আগে একদিন আমার বাড়ি এসেছিল। সঙ্গে আরও দু’জন ছিল।  সুবীর ফোনে বলল, ‘দাদা এখন আপনি বিশ্বাস করছেন তো? হাইকোর্টের রায়ের পরে। আমরা যখন আপনাকে বলতে গিয়েছিলাম আপনি হয়ত বিশ্বাস করতে পারেননি। আপনার মনে আছে? আমি আরও দু’জনকে সঙ্গে নিয়ে আপনার বাড়ি গিয়েছিলাম। প্রাথমিক স্কুলে চাকরির জন্য আমারা ঘুষ দিয়েও চাকরি পাইনি।’ সুবীরকে বলেছিলাম, খবরটা পড়লাম। আমি মনে করতে পারছি বছর চারেক আগে সুবীর দু’জনকে সঙ্গে নিয়ে আমার কাছে এসেছিল। যদি ওদের জন্য আমি কিছু করতে পারি। সুবীরদের অনুযোগ বা অভিযোগ ছিল ওরা বছর চারেক আগে স্থানীয় এক নেতাকে প্রাথিমক স্কুলে চাকরির জন্য কয়েক লক্ষ টাকা দিয়েও চাকরি পায়নি। দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের ওরা ১০-১২ জন যৌথভাবে টাকা দেওয়ার অভিযোগ করে। শাসক দলেরই এক মাঝারিস্তরের নেতা ওদের থানায় অভিযোগ জানাতে বলে। ওরা থানায় গেলে অফিসার বলেন, আপনারা ঘুষ দিয়ে আবার থানায় এসেছেন অভিযোগ জানাতে? সুবীররা কয়েকদিন পরে ফের আবার থানায়

উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগঃ এক যুগ আগের লড়াই আজও চলছে

Image
দীপেন্দু চৌধুরী এক যুগ আগের কথা, আমি বেশ মনে করতে পারছি একটি জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলের ব্যস্ত সাংবাদিক হিসেবে ঘন ঘন ফোন পেতাম ওদের কাছ থেকে। ওরা ‘পিটিটিআই’ প্রশিক্ষণের পরে চাকরি পাচ্ছেন না। পিটিটিআই আন্দোলনের নেতা কর্মী। নামগুলো আর উল্লেখ করছি না। বিশেষত দু’জন নেতার নাম। যারা সামনের সারিতে ছিলেন। তারা বর্তমানে রাজ্যের শাসকদলের নেতা এবং সুপ্রতিষ্ঠিত। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তারা তাদের অতীত হয়ত ভুলে গেছেন। যে সময় তারা ‘পিটিটিআই’ আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিলেন। আমার সঙ্গেও তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। বামফ্রন্টের শেষ দশক। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকরা কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় আন্দোলন করছে। আমারা সংবাদ মাধ্যমে খবর করছি। কয়েকটি অবাঞ্ছিত আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটে। তারপর ‘পরিবর্তন’-র সরকার এল। সেই আন্দোলনের সামনের সারির নেতারা নিজেদের মত করে গুছিয়ে নিলেন কিন্তু তাদের পরের প্রজন্ম যে তিমিরে থাকার সেই তিমিরেই থাকলেন। সম্প্রতি বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ ২ ডিসেম্বর শীত ঋতুতে রাত একটার সময় আন্দোলনরত কয়েকজন কর্মপ্রার্থীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে শিয়ালদহ স্টেশনের সামনে নামিয়ে দেয়। উচ্চ প্রাথমিকে শিক

ভিক্ষা নয় কৃষকরা সম-মর্যাদা চায়

Image
দীপেন্দু চৌধুরী বুধবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা গড়াতেই টুইটারে প্রথম ব্রেকিং পাওয়া গেল, ক্রান্তিকারী কিসান ইউনিয়নের সভাপতি দর্শন পালের কাছ থেকে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা সরকারের দেওয়া সমঝোতা প্রস্তাব খারিজ করছি।’ অবস্থান বিক্ষোভস্থল থেকে  আন্দোলনের নতুন স্লোগান উঠেছে ‘’সরকার কি আসলি মজবুরি-আদানি, আম্বানি জমাখোড়ি’’। তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে প্রবল শীতে ১৪ দিন ধরে টানা দিল্লির পথ অবরোধ করে রেখেছে ভারতীয় কৃষকদের ৫০০ সংগঠনের কয়েক লাখ কৃষক। তিন কৃষি আইনের ২০ পৃষ্ঠার যে পোশাকী সংশোধনী মোদী সরকারের তরফে ৯ ডিসেম্বর দেওয়া হয়, তাতে দেখা যায় সরকার নতুন কথা কিছু বলেনি। আইনে সংশোধন করতে সরকার রাজি বলে গত কয়েকটি বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর এবং খাদ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল জানিয়েছিলেন। কিন্তু রিপোর্ট আসার পরে দেখা যায়, কৃষকদের দাবি সমূহের কোনও কিছুই মোদীর সরকার নতুন সংশোধনীতে সংযুক্ত করেনি। এমএসপি-র থেকে কম দামে বহুজাতিক সংস্থার প্রতিনিধিই হোক অথবা ফোড়ে পণ্য কিনতে পারবে না। এদিন সরকারের পাঠানো পোশাকী প্রস্তাবেও এই বিষয়টা আইনে নথিভুক্তি করতে সরকার রাজি হয়নি। নতুন আইনবলে প্যান কার্ড থাকলেই যে কেউ ব্যবসা করতে

ব্যক্তিকেন্দ্রিক জীবন দর্শনে বিশ্বাস করতেন না

Image
দীপেন্দু চৌধুরী শিল্পের জন্য জীবন না জীবনের জন্য শিল্প? এই বিতর্ক মানবসভ্যতা যতদিন থাকবে বিতর্কও ততদিন থাকবে। পণ্যসংস্কৃতি গতিশীল জীবনের হাতছানি দেয়। আলোআঁধারী মায়াবী এক পরিচ্ছেদ খুলে রাখে নতুন শিল্পীদের জীবন অধ্যায়ে। সিনেমা, নাটক, সাহিত্য প্রতিটি শাখায় এই প্রলোভন বিপুল অর্থের, সামাজিক প্রতিষ্ঠার ঝলমলে আকাশ খুলে দেয়। হয়ত তারপর মোহ ভাঙে। কারও ক্ষেত্রে ভাঙে কেউ কেউ তথাকথিত ঝলমলে আলোয় পেন্ট করা জীবনের রঙিন মঞ্চকেই নিজের মঞ্চ বলে মেনে নেয়। এবং মান্যতা দেয়। না প্রকৃত যারা শিল্পী তারা বাণিজ্যিক সিনেমা বা নাটকে অভিনয় করলেও ‘মানুষের জন্য শিল্প’ এই মূল্যবোধে বিশ্বাস হারান না। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় হচ্ছেন সেই ‘মানুষের জন্য শিল্প’ এই মূল্যবোধে বিশ্বাস করা শিল্পী। তিনি আমৃত্যু এই বিশ্বাস নিয়ে যাপন করেছেন । সেইজন্যই সৌমিত্র বলেছিলেন , ‘আমি ঘোষিত বামপন্থী’! এই প্রসঙ্গে আমরা আবারও ফিরব। ব্যক্তিগতভাবে আমার সঙ্গে তেমন পরিচয় ছিল না। আমি আজ থেকে ৩৮ বছর আগে ‘বাংলার অপু’কে সামনে থেকে দেখি। তখনও তিনি সারা ভারতের ‘ফেলুদা’ হয়ে ওঠেননি। ‘ক্ষিদ্দা’ হবেন আরও অনেক অনেক পরে। এবং সত্যি করেই সৌমিত্র অনেক সীমাবদ্ধতা নি