Posts

Showing posts from August, 2021

রাজ্যের আবেগপূর্ণ আমলা শিক্ষামন্ত্রী কতটা মানবিক!

Image
দীপেন্দু চৌধুরী বিপুল জনাদেশ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার আবারও রাজ্য পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে। মনোনীত(এখনও নির্বাচিত নন)মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করেছে তাঁদের দল। ‘দুয়ারে সরকার’, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ রাজ্যের ইত্যাদি জনদরদী প্রকল্পে সরকার বিপুল সাড়া পাচ্ছে। জনমোহিনী এই সব প্রকল্পের জনপ্রিয়তায় দলগতভাবে তৃণমূল নেতৃত্বের ‘আত্মতৃপ্তি’-ও পরিলক্ষিত হচ্ছে। কিন্তু এটাও দেখা যাচ্ছে, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য এই দুটি দফতর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সম্ভবত সব চাইতে বেশি বিব্রত। এসএসকে বা শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষিকারা স্থায়ীকরণের দাবি ও বদলির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন।পাঁচ জন শিক্ষিকার এই আন্দোলনে সারা রাজ্যের মানুষ হতবাক।২৪ অগস্টের প্রতিবাদ আন্দোলনের পরে অযৌক্তিক বদলি আটকাতে কয়েকজন এসএসকে-র শিক্ষিকা মামলা করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।এর আগে সারা রাজ্য জুড়ে গত সাত-আট বছর শিক্ষক নিয়েগে ‘বহু চর্চিত অস্বচ্ছতা’-র কথা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শিক্ষক নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে দফায় দফ

শক্তিশালী বিরোধী ঐক্য বদলে দিতে পারে ২০২৪-র নির্বাচনী পরিসর

Image
দীপেন্দু চৌধুরী গণতান্ত্রিক ভারতের মানুষকে যারা বোকা বানাতে চাইছে, তাঁরা হয় ইতিহাসের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন না। অথবা শুনতে চাইছেন না। একটা দেশের ৭৫ বছরের পুরনো স্বাধীন ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামো মাত্র সাত বছরে বদলে গেছে? অথবা বদলে দেওয়া সম্ভব? এই ভাবনার গোড়ায় গলদ আছে ধরে নিতে হবে! বিগত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে পূর্ব ইউরোপের কয়কেটি দেশ একটা ব্যবস্থা ত্যাগ করে অন্য একটা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। সেই ব্যবস্থা বেশি দিন টেকেনি।সেই সব দেশের নাগরিক সমাজ ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। ভারতের ক্ষেত্রেও একই অভিঞ্জতার প্রসঙ্গ নিয়েই আমাদের আলোচনা। স্লোগান উঠে এসেছে ‘এক না হয়ে উপায় নেই’। এই স্লোগানের মৃগয়াভূমি তৈরি হয়েছে সদ্য মুলতুবি হয়ে যাওয়া সংসদের বাদল অধিবেশনে। বেশ কিছু দিন পরে বাদল অধিবেশনে সংসদের দু’টি কক্ষে বিরোধী জোটের ঐক্যবদ্ধ বা যূথবদ্ধ লড়াই আমাদের নজরে পড়েছে। সংসদীয় ঐক্যের সেই সুর-তাল-লয় ছন্দের পথেই বিরোধী শিবির সম্প্রতি মোদী সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে সংগঠিত আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তই আগাম বলে দিচ্ছে মোদী সরকারের নেতৃত্বে দেশের সংবিধ

উন্মেচিত হোক ব্যাক্তি স্বাধীনতার শৈশবঃ

Image
দীপেন্দু চৌধুরী যখন মনে পড়ে আমার শৈশব, আমার কৈশোর, আমার যৌবন। এই পরিত্যাক্ত আত্মীয়-স্বজনহীন, নির্বান্ধব-   বন্ধুহীন জীবনে শুধু আত্মীয়-খুঁজি, বন্ধু খুঁজি।পথভোলা পথিকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে ইচ্ছে জাগে। সমাজ খুঁজি। এই বাংলায় ছদ্ম আদর্শের মৌলতন্ত্রের অভিভাবকরা স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল স্বাধীন ভারতের অসংখ্য শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীদের। অসংখ্য সৃষ্টিশীল ব্যক্তি, গণ-নাট্যআন্দোলনের, স্বাধীনতা আন্দোলনের ঋত্বিকরা মুক্তির পথ খুঁজেছেন। স্বাধীনতার আলো খুঁজেছেন অসহায়ের মতো। দু‘একটা নাম উচ্চারণ করা যাক।জর্জ দা। দেবব্রত বিশ্বাস। থেকে গেলেন। তিনি আজও আছেন রবীন্দ্র সঙ্গীতের ধ্রুবতারা হয়ে। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। তার গানে তাকে আমরা আমাদের হ্রদয়ের ‘আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন খুঁজি তারে’ ভাষায় খুঁজছি।ঋত্বিক ঘটক।কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়। মায় রামমোহন, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, অবনীন্দ্রনাথ কেউ তথাকথিত সমাজপ্রভুদের আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাননি। তারা মুঠো মুঠো স্বাধীনতা নিয়ে আমার বাঙলায়, আমার ভারতে, আমাদের বিশ্বে চিরায়ত এবং আন্তর্জাতিক। তারাই আমাদের পথ চেনাচ্ছেন।সাহস যোগাচ্ছেন। অপপ্রচারকে চিনতে শেখাচ্ছেন। লোকায়ত বাংলা

ব্রিটিশদের রাষ্ট্রদ্রোহ আইন আজ কতটা প্রাসঙ্গিক:

Image
দীপেন্দু চৌধুরী লেখা যখন আলোর মুখ দেখবে তার এক-দু’দিন পরে ভারতের স্বাধীনতা দিবস সাড়ম্বরে উদযাপন হবে। আশা করা যায়।১৯৪৭-২০২১, ১৫ অগস্ট। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক তথা প্রজাতান্ত্রিক দেশের সচেতন নাগরিক আমরা। তাই প্রতিটি স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আমি বা আমরাও শিহরণ অনুভব করি। দেশের আরও পাঁচজন সহিষ্ণু দেহাতি মানুষের মতই বুঝে হোক অথবা রাষ্ট্রীয় আয়োজনের সহ-নাগরিক অনুভূতিতে। আচ্ছা একটা ছোট্ট প্রশ্ন দিয়ে শুরু করার অনুমতি চাইছি। গত কয়েক বছর দেশের স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এই প্রশ্নটা আমার মাথায় ঘুরপাক খায়। এই বছর ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের আগে দেশের কতজন রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে? যেমনটা আমরা জানি ইউপিএ সরকারের আমলে সমাজকর্মী বিনায়ক সেনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ কারা দফতর সূত্রে খবর, ২০১৯ সালে ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে মানবিক কারণে রাজনৈতিক বন্দি গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী এবং প্রফুল্ল চক্রবর্তীকে মুক্তি দেয় রাজ্য সরকার। তবু আলোচনার বিষয় হিসেবে থেকে যায়, স্বাধীন ভারতে কতজন রাজনৈতক বন্দি মুক্ত পেয়েছেন? ৩০-৪০ বছর বা ৫০ বছর জেলে আছেন এমন কতজন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে রাজ্য সরকার অথবা কেন্

স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে গেরুয়া বাহিনীর তাণ্ডব

Image
  স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে গেরুয়া বাহিনীর তাণ্ডব :  দীপেন্দু চৌধুরী   প্রথমে দিল্লি পুলিশ বলেছিল, ৮ অগস্ট দিল্লিতে ‘ভারত জোড়ো আন্দোলন’-এর সমর্থকরা খুনের হুমকি দিয়ে স্লোগান দিয়েছে কিনা পুলিশ জানে না! পুলিশের অন্যতম এক কর্তা দীপক যাদব দাবি করেছিলেন, ‘’সভার অনুমতি ছিল না। তাই পুলিশ জানত না।‘’ প্রশ্ন উঠছে তাহলে দিল্লি পুলিশকে যন্তর মন্তরের সভা থেকে সাম্প্রদায়িক স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করতে হল কেন? উত্তর খুব পরিষ্কার, সংবাদ মাধ্যমের চাপ, কংগ্রেস সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিবাদ। দেশের বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মী সেদিন ইউ টিউবের ন্যাশন্যাল দস্তকের সাংবাদিক আনমল প্রীতমের সঙ্গে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নেতৃত্ব যে আচরণ করেছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি সংসদে বাদল অধিবেশন চলছিল। তিন কৃষি আইন বাতিল, পেগাসাস কান্ড ইত্যাদি বিষয়ে সরকার এমনিতেই সাঁড়াশি চাপে আছে। বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ সামলাতে না পেরে সরকার সংসদের বাদল অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করে দিয়েছে। এর থেকে বোঝাই যায়, দেশের ৭৫-তম স্বাধীনতা দিবসের আগে দিল্লিতে আর সাম্প্রদায়িক উত্তেজন চাইছে না বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

সর্বজন গ্রাহ্য মুক্ত সমাজের অন্বেষণে

Image
  দীপেন্দু চৌধুরী  নতুন করে শুনতে হচ্ছে কি আমাদের, নতুন ভাষায়? সম্ভবত না। কারণ ভারতে অর্থনৈতিক উদারীকরণের সুফল বা কুফল যাই দেশেবাসী পেয়ে থাকুক না কেন বিতর্ক আজও থেকে গেছে। ভবিষ্যতেও এই বিষয়ে আরও গভীরে আলোচনা হবে। বিশ্বায়নের শর্ত হোক বা নাই হোক ভারতের অর্থনৈতিক উদারীকরণ তিন তিনটে দশক পেরিয়ে এল। অর্থাৎ ইতিহাসের পৃষ্ঠায় স্থান করে নিয়েছে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভারতের ঐতিহাসিক এই পদক্ষেপ।তিন দশকের পরে যে কোনও নীতি, ঘটনা পরম্পরা ইতিহাসের পাতায় পাকাপাকিভাবে স্থান পায়। ইতিহাস স্বীকৃত বিষয় হিসেবে ভারতের উদার অর্থনীতিও এক ঐতিহাসিক ঘটনা। উদার অর্থনীতির কারণে ভারতীয় সমাজের কাঠামোগত যে পরিবর্তন হয়েছে তার সুফল দেশের নিচু তলার মানুষের কাছে পৌঁছয়নি। সম্প্রতি এই মতকে সমর্থন করেছেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এরিক মাসকিন। চলতি বছরের ১ অগস্ট ভারতের এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, বিশ্বায়নের পরে ভারতের জিডিপি প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। কিন্তু শ্রমিক শ্রেণি তার সুফল পায়নি। আমেরিকার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ তাঁর তাত্বিক পর্যবেক্ষণের ব্যখ্যায় আলোকপাত করে বলেছেন, ‘’বিশ্বায়ন এক প্রজন্মের মধ্যে ভারতে