Posts

Showing posts from January, 2021

প্ররোচনা উপেক্ষা করে দিল্লিতে সফল ট্র্যাক্টর মিছিল

Image
দীপেন্দু চৌধুরী তিনটে রাজ্যের পুলিশ, সিআরপিএফ, দিল্লি পুলিশ সব মিলিয়ে প্রায় ৪০,০০০ নিরাপত্তা কর্মী নামানো হয়েছিল। তবুও ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটল। একজন কৃষকের মৃত্যু হল। প্রশাসন ব্যর্থ হল, অথবা পূর্ব পরিকল্পিত চিত্রনাট্য ব্যবহার করা হয়েছে? শান্তিপূর্ণ র‍্যালিকে অশান্ত করতে? দীর্ঘ টানা পড়েনের পরে ছত্রিশটি শর্ত আরোপ করা হয়েছিল। সরকারের তরফে ট্র্যাক্টর মিছিলের অনুমতি দিতে। সরকারের উদ্যোগে যে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান ছিল, সেই অনুষ্ঠানের ‘লাইভ’ বেশিরভাগ টিভি দেখাতে ব্যস্ত ছিল। খুব স্বাভাবিক ঘটনা, জাতীয় স্বার্থ যেখানে জড়িত সেখানে সর্বভারতীয় চ্যানেলগুলি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ঐতিহ্যগতভাবে ‘লাইভ’ অনুষ্ঠান দেখিয়ে থাকে। কিন্তু তারপরেই সকাল ১১টার সময় ছিল প্রধান ৪০টা ইউনিয়নের যৌথ সংগঠন সংযুক্ত কিসান মোর্চার ‘ট্র্যাক্টর র‍্যালি’। কেন্দ্রের তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ৬৫ দিন ধরে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে অবস্থান বিক্ষোভ করছে কৃষকরা। তাঁরা ভারতের প্রজাতন্ত্রের দিন শান্তিপূর্ণ ট্র্যাক্টর মিছিলের ডাক দিয়েছিল। প্রায় দু’লাখ ট্র্যাক্টর, লাখ লাখ

নেতাজির জন্মদিবস অনুষ্ঠানে বিজেপি দলের অসংযত আচরণ

Image
  দীপেন্দু চৌধুরী যেটা চিরন্তন, সেটা ইতিহাস সৃষ্টি করে। কালের নিয়মেই এই ইতিহাস লেখা হয়। কখনও মুখের ভাষায়। সামাজিক পরিমণ্ডলে মিথ হয়ে ঘুরতে থাকা ব্যক্তির নাম। অথবা সময়ের কাল, পাত্র নির্ণয় করে মানুষ, হ্যা সাধারণ অতি সাধারণ, দীর্ণ, জীর্ণ, অন্তজ মানুষ মনে রাখে। ইতিহাস সৃষ্টি করা মানুষকে। সময়ের নিয়মে ইতিহাস তৈরি করা কালবেলাকে। সময় আহ্বান করে সময়ের ‘কাল-লয়’-কে চিনে নিতে। মনে রাখতে। ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ আমাদের এই স্বতঃস্ফূর্ত ভাষার সাগর জলে অবগাহন করতে আহ্বান জানিয়ে রেখেছে। আমরাও বলতে জানি পুণ্য হউক, পুণ্য হউক অথবা সত্য হউক সত্য হউক। আরও নিবিড় করে বললে এক হউক, এক হউক। আমরা বিচ্ছেদ চাই না। আমরা ঐক্য চাই। ভারতীয় গণতন্ত্রে নিজদের আধিপত্য কিছুটা বড় করে বিস্তার করে এবার হিন্দুত্ববাদী সংঘ পরিবার বাংলা (উচ্চারণ বিভ্রাটে ‘বংগাল’) বিজয়ে আসছেন। আসছেন কেন, তাঁরা ভাবছেন এসে পড়েছেন। আমরা গণতান্ত্রিক ভারতের উদার, চিরায়ত সাংস্কৃতিক ভাষার সাগর জলে সিনান করেছি। বহু যুগ, বহুকাল আগে। বাংলার আউল বাউল আখড়ার সাংস্কৃতিক বৈচিত্রে ‘আজ সবার রঙে রং মেশাতে হবে’-র আত্মীয়তা শিখেছি। পরাধীন ভারতের স্বাধীনতার জন্য লড়াই

এবারের প্রজাতন্ত্র হোক কৃষক প্রজাতন্ত্র

Image
  দীপেন্দু চৌধুরী প্রজাতন্ত্র দিসের দিন কৃষক সংগঠনের ডাকা ট্রাক্টর মিছিলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা কেন্দ্রকে প্রত্যাহার করে নিতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রের আনা তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে অবস্থান বিক্ষোভ করছে লক্ষাধিক কৃষক। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষক নেতাদের দশ দফার বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে। কেন্দ্র চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের সহায়তায় কৃষক আন্দোলন তুলে দিতে। গত সপ্তাহের শুনানিতে আদালত তিন আইনে স্থগিতাদেশ জারি করে চার সদস্যের কমিটি তৈরি করে দিয়েছিল। সেদিনই কৃষক নেতৃত্ব জানিয়ে দেয় তাঁরা এই কমিটির সঙ্গে কোনও বৈঠক করবে না। বা তাঁদের সঙ্গে দেখা করে কোনওরকম আলোচনা করবে না। কারণ কমিটির চারজনই সরকারের প্রতিনিধি। প্রত্যেকেই কেন্দ্রের আনা তিন কৃষি বিলকে সমর্থন করেছে। এর পরেই কমিটির অন্যতম সদস্য ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন (মান)-র নেতা ভূপেন্দ্র সিংহ মান কমিটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।   কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্বের একের পর এক কর্মসূচী ঘোষণায় কেন্দ্র রীতিমতো বিপাকে পড়ে যায়। ভারতের ‘গণতন্ত্র দিবস’ আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠিত হয় ২৬ জানুয়ারি। ওই দিন আমরা ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ হিসেবে পালন করি। ক

টিআরপি বাড়াতে সেনাদের জীবনকেও বাজি অর্ণবের!

Image
  দীপেন্দু চৌধুরী দেশের নিরাপত্তার গোপন তথ্য ফাঁস করে দেওয়া ও নিজের টেলিভিশন টিভি চ্যানেলের টিআরপি বাড়াতে সেই তথ্য ব্যবহারের অভিযোগ উঠল রিপাবলিক টিভির কর্ণধার অর্ণব গোস্বামীর বিরুদ্ধে। গত বছর নভেম্বর মাসে টিআরপি দুর্নীতির অভিযোগে ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল (বিএআরসি), অর্ণব গোস্বামীর টিভি চ্যানেল ও অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১৪০০ পাতার চার্জশীট আদালতে জমা দিয়েছিল মুম্বই পুলিশ। এটি ছিল চার্জিশীটের প্রথম খণ্ড। দ্বিতীয় খণ্ড, চলতি মাসের গত সপ্তাহে ৩৪০০ পাতার অতিরিক্ত চার্জশীট হিসেবে জমা দিয়েছে তাঁরা। আদালতে এই বিষয়ে শুনানী শোনার সময় নতুন করে সামনে আসে প্রখ্যাত আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের একটি টুইট বার্তা। বিএআরসি-র প্রাক্তন সিইও পার্থ দাশগুপ্তের সঙ্গে অর্ণবের হোয়াটসঅ্যাপ মাধ্যমে বিনিময় করা কিছু ‘স্ন্যাপশট’ তথা ছবি টুইটে তুলে ধরেছেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হোয়াটসঅ্যাপে অর্ণব এবং বিআরসির প্রাক্তন কর্তা পার্থের মধ্যে কী কথা চালাচালি হয়েছিল, আদালতে পেশ হওয়া অতিরিক্ত চার্জশীটে ৫০টিরও বেশি পাতা জুড়ে রয়েছে সেই সব । প্রশান্ত ভূষণের টুইট করা ‘স্ন্যাপশট’-গুলিতে আছে অর্

কৃষক আন্দোলনের নব জাতক ‘ট্রলি টাইমস’

Image
  দীপেন্দু চৌধুরী বহুবার উচ্চারিত, আলোচিত, তবু আবার নতুন করে বলতে হয়, সংবাদমাধ্যম হচ্ছে, সমাজের অভিভাবক।   সংবাদ মাধ্যমের দায়িত্ব হচ্ছে ব্যক্তিগত জীবনের উর্ধে উঠে দায়িত্বশীল সংবাদ পরিবেশন করা। এই মাধ্যমের একজন সম্পাদক, সাংবাদিক, চিত্র সাংবাদিক, ডেস্কের কর্মী এবং কতৃপক্ষ সকলকেই দায়িত্ব নিতে হয়, সমাজের ঘটমান অনিয়মগুলি নিজেদের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করার। বলতে হবে সমাজের দায়বদ্ধতার কথা। হিকির গেজেট প্রকাশের পরে এতগুলি বছর আমরা চর্চিত ঞ্জানের আলোয় নিজেদের সমৃদ্ধ করেছি। সংবাদ মাধ্যম আধুনিক থেকে আধুনিকতর হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের ভাষায় পরিবর্তন এসেছে। পরিবেশনের গভীরতায় পরিবর্তন লক্ষণীয়ভাবে বদলে গেছে। আফিসের আঙ্গিকে নতুনত্ব এসেছে। ছোট পরিসরের অফিস থেকেই সংবাদপত্র প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে। ডিজিটাল শব্দ, অক্ষর, ছবির গতিশীলতায় উত্তর আধুনিকতার ছাপ। কিন্তু একুশ শতাব্দীর উত্তর আধুনিক সভ্যতায় প্রশ্ন উঠছে, সংবাদ মাধ্যম কতটা স্বাধীন? কতটা নিরপেক্ষ? ভারতীয় সংবিধানের চতুর্থ স্তম্ভ নিজেদের দায়িত্ব কতটা পালন করছে? সংগঠিত সংবাদ মাধ্যম সংস্থা, যাদের কর্পোরেট বা বহুজাতিক সংস্থাও বলা যেতে পারে। তাঁরা আজ নিজেদের

কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে কৃষি আইন রূপায়ন করতে চাইছে!

Image
দীপেন্দু চৌধুরী তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় কৃষক নেতাদের সঙ্গে অষ্টম রাউন্ডের বৈঠকও ব্যর্থ হয়। ৮ জানুয়ারির বৈঠকে সমাধান সূত্র খুঁজে বার করা যায়নি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে কৃষক নেতাদের রীতিমত উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছিল । সেদিনের আলোচনা কৃষক নেতারা সিদ্ধান্ত নেন ম ৌ ন থাকার। বিঞ্জান ভবনে দু’পক্ষের আলোচনা একরকম নিষ্ফলা ছিল। দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে অবস্থানে বসে থাকা কৃষকদের হাতে প্ল্যাকার্ডের স্লোগান থেকেই বোঝা যায় তাঁরা অনড় আছে কৃষি আইন প্রত্যাহারে। কোনও প্ল্যাকার্ডে লেখা ‘ইয়া মরেঙ্গে ইয়া জিতেঙ্গে’ (হয় মরব, নয়ত জিতব)। কারও প্ল্যাকার্ডে লেখা ‘কানুন ওয়াপিস তো হাম ঘর ওয়াপিস’ (আইন ফিরিয়ে নিলে, তবেই ঘরে ফিরব)। এই আবহে ৮ জানুয়ারির বৈঠক হয়েছিল। সেদিনের বৈঠকে কৃষকনেতা বলবীর সিংহ বলেন, কেন্দ্রের সাংবিধানিক অধিকারই নেই কৃষি আইন আনার।  কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছিলেন, আইনের সাংবিধানিক দিক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে। কৃষক নেতারা তাহলে তার রায়ের জন্য অপেক্ষা করুন।   পঞ্জাব, হরিয়ানা, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের লক্ষ লক্ষ কৃষক দিল্লি সীমানায় প্রবল শীতে প্রায় ৫০ দিন ধরে