লখিমপুর খেরিতে বর্বর রাষ্ট্রীয় আস্ফালনের মেজাজ!






দীপেন্দু চৌধুরী   

ওরা ভয় পেয়েছে। দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন এমন বহু মানুষ বুঝতে পারছেন ওরা ভয় পাচ্ছে। শ্রমিক-কৃষক, ছাত্রযুব-দের জোটকে ওরা ভয় পাচ্ছে।আমরা অনেকেই বলছিলাম, ভারতের ইতিহাস তৈরি করা কৃষক আন্দোলনকে কেন্দ্রীয় সরকার ভয় পাচ্ছে।বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সাম্প্রতিক কালে সব থেকে বড় ও দীর্ঘস্থায়ী কৃষক আন্দোলনকে ওরা ভয় পাচ্ছে। ভাগ কর ও শাসন কর নীতিতে বিশ্বাসী বিজেপি ভয় পাচ্ছে।কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলিকে জোটবদ্ধ হতে দিচ্ছিল না বিজেপি নেতৃত্ব। বিভিন্ন অছিলায় সঙ্ঘবদ্ধ বিরোধী জোটে ভাঙন ধরাতে এতদিন সক্ষম হয়েছে নাগপুর। মোদী-শাহ-র যুগলবন্দিতে বিজেপির কৌশলী নেতৃত্ব এই অভিযান চালিয়েছে।লখিমপুরের ঘটনায় সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব, আপের সাংসদ সঞ্জয় সিংহ, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরনজিৎ সিং চান্নি, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধিকে লখিমপুর জেলা প্রশাসন আটকে দিয়েছে।কয়েকজন বিরোধী নেতাকে বিভিন্ন ঘটনায় নজরবন্দি করে রাখা হচ্ছে। অথচ লখিমপুরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হল তৃণমূলের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সাংসদ সুস্মিতা দেবদের। এই কৌশল অবলম্বন করেই বিজেপি সাত বছর ধরে ভারতীয় নাগরিকদের উপর হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি চাপিয়ে দিতে চেয়েছে।কিন্তু বিভিন্ন ভাবে কৃষক আন্দোলন ভাঙতে চাইলেও মোদী সরকার সাফল্য পেতে ব্যর্থ।তাইতে বলা যায় সংযুক্ত কৃষক আন্দোলনকে ওরা সাম্রাজ্য বিস্তারের ক্ষেত্রে ভয় পেতে শুরু করেছে। ‘হিন্দি হিন্দু হিন্দুস্তান’ রাষ্ট্রের প্রবক্তা সঙ্ঘ পরিবার ভয় পাচ্ছে। ছোটা হিন্দু সম্রাট, বড় হিন্দু সম্রাট ভয় পাচ্ছে। ‘মোদী-যোগী’ দুই হিন্দু সম্রাট ভয় পাচ্ছে। তাই কি লখিমপুরের এই ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’? অভিযোগ বিরোধীদের।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, ২০১৪ সালে এবং ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দেশের নাগরিকদের ওপর অঘোষিত সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদী(পড়ুন Majoritarian rule) শাসন চাপিয়ে দিয়েছে। এই সরকারের প্রশাসন দেশকে নিয়ে যেতে চাইছে ‘সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদী’ শাসন ব্যবস্থায়। সংসদকে অগ্রাহ্য করেই বিরোধীদের কন্ঠ বন্ধ করতে চাইছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক সহ অনেক সমাজবিঞ্জানী বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের শাসন ব্যবস্থাকে এক অঘোষিত জরুরি অবস্থার শুরুয়াত বলে মনে করছেন। সেই পথেই উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিস ও তার সহযোগীদের গাড়িতে কৃষকদের পিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও থেকে যে ছবি আমরা দেখতে পেয়েছি।

কৃষক সংগঠন সংযুক্ত কিসান মোর্চা ও বিরোধীরাও এই দাবিই জানিয়েছে। ৫ অক্টোবর উত্তর প্রদেশের সীতাপুর শহরের পুলিশের অতিথিশালায় হেফাজতে আটক থাকা কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধি বঢরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন, ‘’এই ভিডিওটা দেখেছেন?’’ সেই ভিডিও টুইট করেছেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গাঁধিও।লখিমপুর খেরিতে ৪ জন কৃষক, একজন সাংবাদিক সহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনায় হিন্দু ছোটা সম্রাট যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন দাবি করেছিল কৃষকদের আক্রমণে গাড়ি উল্টে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গাঁধি যে ভিডিও বড় সম্রাট মোদীর উদ্দেশ্যে প্রকাশ করেছেন সেই ভাইরাল হওয়া ভিডিও সত্যটা সামনে এনেছে। সত্যিটা আমরা আরও জানতে পারলাম ওই দিনের ঘটনায় আহত কৃষক নেতা তেজেন্দ্র ভির্কের কাছ থেকে। হাসপাতাল থেকে যে বয়ান তিনি  দিয়েছেন সেই বয়ান থেকে। তেজেন্দ্র দাবি করেছেন, বিক্ষোভকারী কৃষকদের খুন করতে আগে থেকেই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। যে গাড়িটি কৃষকদের ধাক্কা মেরেছে সেটিতে অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস ছিলেন। তেজেন্দ্র আরও বলেছেন, ‘’অজয় মিশ্র বলেছিলেন তিনি শুধু লখিমপুরের নয়, উত্তরপ্রদেশ রাজ্যেই কৃষকদের টিকতে দেবেন না। আমরা সে জন্যই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলাম।‘’ ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে তেজেন্দ্র দাবি করেন, তাঁরা বিজেপির বাহুবলী নেতা অজয় মিশ্রের কনভয় যে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার কথা তার পাশে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলাম। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছিল। ঠিক দুপুর তিনটের সময়ে তাঁরা হঠাৎই জানতে পারে কনভয় যাওয়ার রাস্তা বদলে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, লখিমপুর খেরিতে ঘটে যাওয়া নৃশংস ও বর্বর  আক্রমণের কৌশলটা আমাদের লক্ষ্য করা প্রয়োজন।লখিমপুর খারির ঘটনার পরে ওই অঞ্চলের ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থাও বিছিন্ন করে রাখা হয়।মায় ৪ অক্টোবর কাকতালীয় ভাবে বিশ্বের সব থেকে বড় ও জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম ‘ফেসবুক’ রাত ন’টা থেকে পরেরদিন দুপুর পর্যন্ত স্তব্ধ হয়ে যায়। পরিষেবা বন্ধ থাকে ওই জায়ান্ট সংস্থার উপশাখা সামাজিক মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ ও ইন্সট্রাগ্রামের পরিষেবাও। সাংবাদিক রবীশকুমার কৌতুক করে নিজের ‘প্রাইমটাইম’ অনুষ্ঠানে বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার কেন বিরোধীদের কর্মসূচীতে বাঁধা দিচ্ছে? ‘গোদীমিডিয়া’ আছে। তাঁরা বিরোধীদের খবর প্রচার না করে সরকারের উন্নয়ন দেখাতে ব্যস্ত।তাঁরাই সরকারের কাজ করে দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের সাংবাদিক লোকনাথ তিওয়ারি ৫ অক্টোবর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘’যোগীজি আপনার দলের নেতারা যে কুকর্ম করেছেন তার উপর পর্দা দেওয়ার জন্য আপনি আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিচ্ছেন। এই অর্থ আপনার ব্যক্তিগত নয়। দেশের মানুষের করের অর্থ। লখিমপুরের ঘটনায় যে ন’জনের দুঃখজনক মৃত্যু হয়েছে সেখানে আমাদের এক সাংবাদিক বন্ধুও আছে।‘’              

কৃষক নেতা তেজেন্দ্র অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গেই জানিয়েছেন, ‘’আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে ফিরে যেতে শুরু করি। হঠাৎই পিছনের দিক থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে আশা একটি গাড়ি আমাদের ধাক্কা মারে। সেগুলির মধ্যে একটি গাড়িতে অজয় মিশ্রের ছেলে ও তাঁর সহযোগীরা ছিলেন।‘’ তেজেন্দ্র আরও জানিয়েছেন তিনি সাক্ষ্য দিতেও রাজি আছেন। প্রশাসন কতটা বশংবদ হলে এই ঘটনা ঘটতে পারে? সীতাপুরের অতিথিনিবাসে আটক করে রাখা হয়েছিল কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গাঁধি বঢরাকে। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।ফৌজদারি দন্ডবিধির ১৫১, ১০৭, ১১৬ ধারায় শান্তিভঙ্গের আশঙ্কায় সাবধানতাবশত আটক আটক করার ক্ষমতায় প্রিয়াঙ্কাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে। প্রিয়াঙ্কা লখিমপুর খেরি যেতে চেয়েছিলেন।৫ অক্টোবর পুলিশের অতিথিনিবাস থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। আমরা যে প্রসঙ্গ আলোচনার শুরুতেই উল্লেখ করেছি সেই বিষয়টা আবার বুঝতে আমাদের সাহায্য করল প্রধানমন্ত্রী মোদীর লখনউ শহরে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ঘটনায়।

৩ অক্টোবর লখিমপুরে ৪ জন কৃষক একজন সাংবাদিক সহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এখনও তাঁর স্বভাবজাত অভ্যাসে মৌন আছেন।এই প্রসঙ্গে মোদী একটি শব্দও উচ্চারন করেননি। তিনি ছোটা সম্রাট যোগীর রাজ্যে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে যোগ দিতে গেলেন। অথচ লখিমপুরে গেলেন না।ভারতের স্বাধীনতা দীর্ঘজীবী হোক। আহত কৃষকদের দেখতে হাসপাতালও গেলেন না। কী বার্তা দিতে চাইলেন তিনি? আবারও বলছি ওরা ভয় পাচ্ছে শ্রমিক, কৃষকদের বৃহত্তর জোটকে। তাই কী এই অসৌজন্যমূলক আচরণ? একজন প্রধান প্রশাসক হিসেবে সচেতন প্রধানমন্ত্রীর দায়বদ্ধতার কথা কেন বারে বারে মনে করিয়ে দিতে হবে? সমাজবাদী পার্টির (এসপি) নেতা অখিলেশ যাদব কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, ‘’কৃষকদের ওপর ইংরেজদের থেকেও বেশি অত্যাচার করছে বিজেপি সরকার। উত্তরপ্রদেশ কৃষকদের হত্যা নিয়ে শোকগ্রস্ত। এটা মহোৎসবের সময় নয়।‘’ লখনউ শহরে অনুষ্ঠিত মহোৎসবের আগেই প্রিয়ঙ্কা গাঁধি বঢরা মোদীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘’আপনি লখিমপুরে আসুন। আমাদের অন্নদাতাদের কষ্ট বুঝুন। তাঁদের সুরক্ষা দেওয়া তো আপনার ধর্ম।‘’ পুলিশের অতিথিশালায় আটক থাকা অবস্থায় এক ভিডিও বার্তায় প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘’শুনলাম আপনি স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করতে আসছেন। আপনাকে জিঙ্গাসা করতে চাই, আপনি কি এই (গাড়ি চাপা দেওয়ার) ভিডিও দেখেছেন? দেশকে বলুন, কেন এই মন্ত্রীকে এখনও বরখাস্ত করা হয়নি? কেন গ্রেফতার করা হয়নি দোষীদের?’’ প্রিয়াঙ্কা ভিডিও বার্তায় আরও বলেন, ‘’দোষীদের গ্রেফতার না করে বিনা পরোয়ানায় বিরোধী দলের নেতাদের আটকে রেখেছেন। স্বাধীনতা আমাদের কৃষকরা দিয়েছেন। যে সংবিধানে হাত রেখে শপথ নিয়েছেন সেই সংবিধান রক্ষার দায়িত্ব আপনার। দেশের গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্বও আপনারই।‘’

লখিমপুর খারির ঘটনায় রাহুল গাঁধি বলেন, ‘’দেশে স্বৈরতন্ত্র চলছে। ভারতের মানুষ স্বৈরতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তাঁরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে।‘’ আটক থাকা অবস্থায় নিউজ ২৪-র সাংবাদিক সন্দীপ চৌধুরীকে দেওয়া এক ‘ফোন ইন’ সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা গাঁধি বঢরা বলেন, সোনপুর, সুজাপুর, এনআরসি সহ প্রত্যেকটি ইস্যুতে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস আন্দোলন করেছে। আমাদের আন্দোলনকে ‘রাজনৈতিক পর্যটন’ বলছে বিজেপি। কিন্তু মোদীজি যখন আমেরিকা যাচ্ছেন সেটাকে কী বলবেন? কোনও বিরোধী দলের মানুষ ঘর থেকে বেরতে পারবেন না? আক্রান্ত মানুষের চোখের জল মোছানোটা অন্যায়? প্রিয়াঙ্কার কথায় সারবত্তা আছে বলে জানাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দল। পিছন ফিরে দেখলে দেখা যাবে হাথরসে ধর্ষিতা কিশোরীর পরিবারের পাশে কংগ্রেস ছিল। পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার জন্য ১০০০ বাসের ব্যবস্থা করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। সেই বাস যোগীর প্রশাসন আটকে দিয়েছিল। ধর্ষিতা আরও এক কিশোরীর আত্মীয়া, তাঁদের আইনজীবীর বিতর্কিত মৃত্যুর পর পরিবারের পাশে থেকেছেন প্রিয়াঙ্কা। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা। 

উত্তরপ্রদেশের মানুষ জাতপাতের রাজনীতিতে ক্লান্ত। তাঁরা জাতপাতের রাজনীতি বর্জন করে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির ঐতিহ্য ফিরে পেতে চাইছে। পরিশেষে বলতে হয় রাহুল প্রিয়াঙ্কা কংগ্রেসের নেতৃত্বে কৃষকদের পাশে থেকে স্লোগান তুলছেন, ‘জয় হিন্দ জয় কিসান’। প্রায় ৬০ ঘণ্টা পর প্রিয়াঙ্কাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।উত্তরপ্রদেশের রাজ্য প্রশাসন ৬ অক্টোবর রাহুল গাঁধি, প্রিয়াঙ্কা গাঁধির নেতৃত্বে কংগ্রেসের ছ’জন সদস্যের প্রতিনিধিদলকে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে শহীদ পরিবারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেয়।রাত সারে ন’টা নাগাদ লখিমপুর পৌঁছে লভপ্রীত সিংহ সহ নিহত কৃষক পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা।৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণার বেঞ্চ তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট উত্তরপ্রদেশ সরকারকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।লখিমপুর কান্ডে ৬ অক্টোবর স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে লখিমপুর খেরির মামলা গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ।                               


 

Comments

Popular posts from this blog

দু’জন বাঙালি বিঞ্জানীর গণিতিক পদার্থ বিঞ্জানে বিশ্ব বিখ্যাত আবিষ্কার

‘ইউনিভার্সাল রিলিজিয়ন’ ও ভারতীয় সাধারণতন্ত্র

লোকসভা অধিবেশন শুরুর পরেই কি ধর্মঘট প্রত্যাহার?