আগ্রাসী আক্রমণ রুখতে মননে শাণ দিচ্ছে বিশ্ব নাগরিক
দীপেন্দু চৌধুরী
নতুন শতাব্দীর
দ্বিতীয় দশকে বিশ্বের আর্থরাজনৈতিক, আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এক নতুন পদধ্বনি শোনা
যাচ্ছে। গত কুড়ি বছর একটানা জাতপাত, ধর্ম, সম্প্রদায়, ঘৃণার রাজনীতি, আমরা-ওরার কৃষ্ণ
গহ্বরে আমাদের নিক্ষেপ করে রাখা হয়েছিল।বিশেষত ভারতীয় উপমহাদেশে সাধারণ মানুষকে নিয়ে
পরীক্ষানিরীক্ষার ‘গিনিপিগ’ গবেষণা চলছিল। মানুষ রুখে দাঁড়ানোর জন্য সাহসে ভর করে এগিয়ে
আস্তে আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাচ্ছিল না।একবিংশ শতাব্দীর প্রথমেই ‘টুইন টাওয়ার’-র পতন ছিল
এক মেরু বিশ্বের আভিজাত্যে বড় রকমের অভিঘাত। তারপর সারা বিশ্বে নেমে এল অচেনা এক ধ্বংসাত্বক
রাজনীতির টানাপোড়েন।ঠান্ডা যুদ্ধের অবসানের পর এক মেরু বিশ্বের কথা ইতিহাসে বিরল বিস্ময় হিসাবে লেখা আছে সম্ভবত। তারপর গত বিশ বছর আমরা গা হিম করা এক ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। সন্ত্রাসবাদের কোথাও কোনও সীমানা প্রাচীর হয় না। সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশের ঘটনা আমাদের সতর্ক থাকতে আহ্বান করছে। একটি দুটি অবাঞ্ছিত ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের ঢল নেমেছে। সে দেশের ছাত্রযুব, অধ্যাপক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী রাস্তায় নেমে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের পক্ষে স্লোগান তুলছে। নব্য নাৎসি ও মৌলবাদীদের আগ্রাসী আক্রমণের প্রতিবাদে প্রতিবেশী সহদর বাংলাদেশ যা করতে পারে আমরা কেন পারি না? প্রশ্ন উঠছে। এই প্রশ্নের জবাব দেবার জন্য আমাদের মননশীল চেতনায় কি শান দিতে হবে? ব্যক্তিকেন্দ্রিক জীবনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে উকিঝুঁকি না দিয়ে আত্মসমীক্ষার সময় এসেছে। নিজেকে জানার, অপরকে চেনার।
কুড়ি বছর
আগে আফগান মাটিতে তালিবানের পতন হয়েছিল।আরও একটু আগে থেকে উল্লেখ করা যাক। তালিবানরা
আফগানিস্তানে প্রথমবারের জন্য ক্ষমতা দখল করে ১৯৯৭ সালের ২৪ মে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
প্রথমসারির পত্রিকা ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল আফগানিস্তান নিয়ে সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছিল।
সেদিনের সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছিল, ‘’আফগানিস্তান হচ্ছে মধ্য এশিয়ার তেল, গ্যাস ও অন্যান্য
প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানির প্রধান পথ…তাদের পছন্দ কর বা না কর ইতিহাসেরর এই পর্যায়ে তালিবানরাই
শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য উপযুক্ত।‘’ ১৯৯৭ সালের ২৫ মে আরও একটি প্রথমসারির মার্কিন দৈনিক
‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ লেখে ‘’ক্লিন্টন প্রশাসন মনে করে যে তালিবানদের বিজয় ইরানের পাল্টা
শক্তি হিসেবে দাঁড়াবে…এমন একটা বাণিজ্য পথ উন্মুক্ত করবে যা এই অঞ্চলে রাশিয়া ও ইরানের
প্রভাবকে দুর্বল করবে।‘’ ২০০১ সালে নিউ ইয়র্কের ‘টুইন টাওয়ার’ হামলার পর সারা বিশ্বে
ইসলাম ও মুসলমান বিদ্বেষী প্রচার নতুন শতাব্দীর অন্যতম এজেন্ডা হয়ে দাঁড়ায়।
দীর্ঘ দিনের
সম্প্রদায়গত বঞ্চনা, দারিদ্র, বৈষম্য, অপমান, নিপীড়নের বিরুদ্ধে মুসলমানদের ক্ষোভ ইসলামপন্থী
রাজনীতির মঞ্চে নতুন করে জল বাতাস সঞ্চয় করতে সহায়ক হয়। আরও শক্তি অর্জন করে নতুনভাবে
প্রসার ঘটতে থাকে ইসলামপন্থী রাজনীতির। ২০১১ সালের একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে
২০০১ সালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার পতনের পরের দশ বছরে ১২ লক্ষ অসামরিক মানুষের প্রাণ
গেছে।সারা বিশ্বে ১২ লক্ষ অসামরিক মানুষের মৃত্যুর অন্যতম কারণ তথাকথিত সন্ত্রাসের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ।কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র-যুব, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মানুষের মৃত্যু আমাদের
দেখতে হয়েছে। এখনও দেখতে হচ্ছে আধুনিক অস্ত্র ভান্ডারে সমৃদ্ধ উত্তর আধুনিক সভ্যতার
দেশগুলির সঙ্গে লড়াই করছে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক শক্তি। যাদের ‘ইসলামী সন্ত্রাসবাদী’
হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আমেরিকার
সৈন্য প্রত্যাহার করে নিতেই আফগানিস্তানে তালিবান সরকার ফিরে এসেছে। সারা বিশ্বে সামাল
সামাল রব উঠেছে। বিশেষত ভারতীয় উপমহাদেশে।দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের রাজনীতি, সংস্কৃতি
একটু যত্ন নিয়ে আলোচনা করলে আমরা খুঁজে পাব ধর্মের উপস্থিতি।ধর্ম আগেও ছিল, কিন্তু
সেটা ছিল সামজিক মূল্যবোধ, কৃষ্টি পরম্পরা হিসেবে। এক ধর্মের মানুষের সঙ্গে ভিন ধর্মের
মানুষের, এক সম্প্রদায়ের গোষ্ঠীর সঙ্গে অপর ধর্মের গোষ্ঠীর সামাজিক সাংস্কৃতিক বিনিময়
ছিল চিরন্তন বন্ধনের পরম্পরা। সহিষ্ণু সমাজের পরিচিত সম্প্রতির পরম্পরা। কিন্তু গত
দু’দশকে ভারতীয় উপমহাদেশের উদার ও ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির দুর্বলতার সুযোগে ‘ধর্ম’ স্থান
করে নিয়েছে ঘৃণা ও হিংসা প্রচারের মাধ্যম হিসেবে। পাকিস্তান জন্মের সময় থেকেই ইসলামী
রাষ্ট্র। অথচ নজর করলে দেখা যাবে, সেই দেশে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মধ্যেই রয়েছে বিভিন্ন
মত ও পথ। এই বিভাজন থেকে ভিন্ন ভিন্ন মত ও পথের অনুসারী এবং অনুগামীদের মধ্যে সহিংস
সংঘাত লেগেই আছে।প্রচার মাধ্যমে না আসলেও দেরিতে হলেও ‘সেকুলার’ রাজনীতির অনুসন্ধানী
গবেষকরা ঠিকই খবর পেয়ে যান। রাষ্ট্রের শাসকদল উন্নয়নশীল অর্থনীতির কথা বললেও ধর্মীয়
পশ্চাৎপরতাকে সঙ্গে নিয়েই ধারা বাহিকভাবে তাঁদের রাষ্ট্র পরিচালনা করতে দেখা যাচ্ছে।
উপমহাদেশের উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে শীর্ষ নেতৃত্বে রয়েছে আধুমিক গণতন্ত্রের দেশ ভারত।কয়েক
শতাব্দীর ঐতিহ্য ‘বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য’। এই সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করতে অভ্যস্ত ভারতীয়
নাগরিকরা। আনুষ্ঠানিকভাবে সংবিধান স্বীকৃত ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ রাষ্ট্র আমাদের এই দেশ। অথচ
নির্মম সত্য হচ্ছে, গত দু’দশকে ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে আশ্রয় করে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ গড়ে
তুলতে চাইছে একটি হিন্দুত্ববাদী দল। ২০১৪ ও ২০১৯ দু’টি লোকসভা নির্বাচনে জিতে হিন্দুত্ববাদী
বিজেপি নামক দলটি ধর্মভিত্তিক রাজনীতির প্রসার ঘটাতে চেষ্টা করছে।মেরুকরণের রাজনীতিকে
হাতিয়ার করেই নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে মসনদে বসেছে নাগপুর পরিচালিত ‘হিন্দি হিন্দু
হিন্দুস্তান’ রাষ্ট্র গড়ে তোলার রাষ্ট্রনায়করা। ভারতীয় সভ্যতার ঐতিহ্যের পথে ‘ধর্মভিত্তিক’
রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়তে হচ্ছে।প্রতিবেশি দেশ নেপালের সংসদে নতুন সংবিধান
গৃহীত হয়েছে। সেই দেশকে সংবিধানে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ দেশ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য সচেতন
নাগরিকদের নেতৃত্বে ব্যপক আন্দোলন হয়েছে। যে আন্দোলনকে কুর্ণিশ জানাতে হয়।কিন্তু গত
কয়েক বছরে নেপালেও হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির প্রসারে একটি শক্তিকে সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশের
সংবিধানে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ ফিরে এসেছে। কিন্তু সেই সঙ্গে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামও আছে। পাশাপাশি
দু’টি মতবাদের সহবস্থান। বাংলাদেশ একটি নবীন রাষ্ট্রও বটে। তবুও বহু ক্ষেত্রেই ভারতের
থেকে এগিয়ে থাকা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছে।বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর
আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ দল বা জোট ক্ষমতায়
থাকলেও রাজনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা উত্তরোত্তর বাড়ছে। ১৯৭১ সালে জাতিগত নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করেই বাংলাদেশের জন্ম। অনেক রক্তপাতের
মধ্যে দিয়ে উচ্চারিত হয়েছিল, ‘তোমার ভয় নেই মা আমরা…, আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত
ছেলে।’ ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিতে শাণ দিয়ে আজও বাংলাদেশের মননশীল ছাত্রযুব, শিক্ষক-বুদ্ধিজীবীর
দল রুখে দাঁড়িয়েছেন। তাঁরা একাত্তরের শপথ মনে রেখে সংখ্যাগুরুদের নেতৃত্বে জাতিগত নিপীড়নের
বিষাক্ত সাপের ফণার সামনে রুখে দাঁড়িয়েছেন। তাঁরা স্লোগান তুলেছে, ‘জাতির কোনও ধর্ম
নায়। রাষ্ট্রধর্ম বাতিল চাই’। বাংলাদেশের সম্মিলিত প্রতিবাদ আমাদের আশা জাগিয়েছে। বিশ্বের
প্রতিটি দেশে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ বা ইহুদি যে কোনও ধর্মের মানুষের স্ব
স্ব ধর্ম মেনে চলার অধিকার আছে। কিন্তু ধর্মকে নিয়ে রাজনীতির বাণিজ্য নয়। ধর্মীয় মৌলবাদী
শক্তিকে আবারও মনে করিয়ে দিল সদ্য উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হওয়া বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম।
তাঁরা ‘জাতিগত নিপীড়ন’-র কথা ভোলে নায়।তাঁদের মনে আছে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে
ফেব্রুয়ারি।’
আফগানিস্তানে
তালিবান সরকার দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখলের পরে, ভারতের হিন্দুত্ব রাজনীতির শাসক
গোষ্ঠীকে নতুন করে বিদেশনীতির কথা ভাবতে বাধ্য করেছে।দক্ষিণ এশিয়া তথা ভারতীয় উপমহাদেশের
ভৌগলিক রাজনীতিতে সংযোজিত অধ্যায়ের সুচনা করল
কী? কারণ ইতিমধ্যেই উপমহাদেশের আর্থরাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে টালমাটাল অবস্থা
পরিলক্ষিত করা গেছে। তালিবান শাসিত কাবুল প্রচ্ছন্নভাবে হলেও হিন্দু রাষ্ট্রের প্রবক্তা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একবগগা পদক্ষেপকে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছে হয়ত।কূটনীতিতে
‘প্রছন্ন বার্তা’-র গুরুত্বও কম নয়।যে কারণে ভারতকে আমেরিকা, রাশিয়া, ইউকে ও জি ২০
গোষ্ঠী ভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে আলাদা করে আলোচনা শুরু করতে হয়েছে।নতুন ভাষায় লবির কথা
ভাবতে বাধ্য করেছে ভারত এবং অবশ্যই চিনকে। ২০ অক্টোবর রাশিয়ার ডাকা ‘মস্কো ফরম্যাটে’-র
বৈঠকে যোগ দিয়েছিল ভারতীয় কূটনীতিকরা। সম্প্রতি
আফগানিস্তান প্রশ্নে আমেরিকা ও ভারত ‘এক লক্ষ্য এক পথে চলবে’ এই মর্মে দুই দেশের মধ্যে
সিদ্ধান্ত হয়েছে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে তিন দিনের ভারত সফরে এসেছিলেন আমেরিকার উপ-বিদেশসচিব
উইন্ডি শেরম্যান। তিনি ভারতে এসে বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। শেরম্যান জানিয়েছেন, তালিবান আফগানিস্তানে সরকার গড়ার
পর সন্ত্রাস নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বাইডেন প্রশাসন বোঝে।আমেরিকা ও ভারতের বিদেশসচিব পর্যায়ের
আলোচনায় আফগানিস্তান নিয়ে বিশেষভাবে কথা হয়েছে।ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উন্মুক্ত,
উদার ও সবাইকে নিয়ে চলার দায়বদ্ধতার বিষয়কে বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে আমেরিকা ও
ভারতের ২০ অক্টোবরের বৈঠকে।কোয়াডভুক্ত দেশগুলির মধ্যে পরস্পর সহযোগিতাকে আরও গুরুত্ব
দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।উপমহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসাবে এতটাই ভাবাচ্ছে যে, আফগানিস্তান
পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির সঙ্গে কূটনৈতিক বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। ১০
বা ১১ নভেম্বর দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে চিন, রাশিয়া ও পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা
উপদেষ্টাদের।
ফরাসী দার্শনিক রুশোর মতে, মানুষ
তিন ধরণের ঈশ্বর, তিন ধরণের ধর্ম সৃষ্টি বা কল্পনা করেছে। মানুষের ঈশব্র, পুরোহিতদের
ঈশব্র, নাগরিকদের(Citizen)ঈশ্বর। মানব ধর্ম উদার, বিশ্বজনীন।
আমরাও নাগরিকদের ঈশ্বরে বিশ্বাস করি। ভারতীয় উপমহাদেশসহ সারা বিশ্বে ধর্মের রাজনীতিকে
সামনে রেখে সামাজিক বিভাজন সৃষ্টি করলে ‘নাগরিকদের ঈশ্বর’-র নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিলে
আমরাও থাকব।
Comments
Post a Comment