আমাদের স্বজন, ‘আত্মীয় সভা’-র অত্যত্ন কাছের জন





 

দীপেন্দু চৌধুরী

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বাংলা তথা ভারতের জনমানস থেকে মুছে ফেলার একটা সূক্ষ্ম প্রয়াস এক শত বছর আগেও ছিল। বিগত কয়েক বছরে আবার এই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অপ্রত্যক্ষ ভাবে হলেও রবীন্দ্রানাথকে নতুন করে আক্রমণ করার চেষ্টা হচ্ছে। ১৯৯৪ সালে নীরদ চন্দ্র চৌধুরী একটি প্রবন্ধে লিখছেন, ‘’.........‘আমরা রবি ঠাকুরকে দেখতে নারি, তাই তার ভাষা ও ছন্দ বাঁকা।’ কিন্তু তাঁহার প্রতি বিদ্বেষ বাঙালি সমাজে আরও একটা ব্যাপক বিদ্বেষের অংশ। এই বিদ্বেষটা বাঙালির মধ্যে সমস্ত উনবিংশ শতাব্দী জুড়িয়াই বর্তমান ছিল। উহা রামমোহনের ক্ষেত্রে, কেশবচন্দ্র সেনের ক্ষেত্রে, ব্রাহ্মসমাজের ক্ষেত্রে দেখা গিয়াছিল’’।

আমাদের স্বজন, ‘আত্মীয় সভা’-র অত্যত্ন কাছের জন, ‘ছেলেটা’ কবিতার কবি তিনি। না তাকে ঈশ্বর আমরা করতে চাইনি, করতে চাইও না। তিনি আমাদের বাংলা তথা ভারতীয় উপ-মহাদেশের হ্রদয়ে আছেন। বাঙালির মননে আছেন। ধ্রুপদে আছেন। রবীন্দ্রনাথ ভারতীয় মহাকাব্য রামায়ণ, মহাভারত-র মতই আমাদের মধ্যে থেকে যাবেন। নাগরিক সংস্কৃতি তথা লোক সংস্কৃতির চিরায়ত আঙিনায়। সাহিত্য পাড়ার ধমনীতে।জয়তু রাম মোহন, জয়তু রবীন্দ্রনাথ।     

  

Comments

Popular posts from this blog

দু’জন বাঙালি বিঞ্জানীর গণিতিক পদার্থ বিঞ্জানে বিশ্ব বিখ্যাত আবিষ্কার

‘ইউনিভার্সাল রিলিজিয়ন’ ও ভারতীয় সাধারণতন্ত্র

লোকসভা অধিবেশন শুরুর পরেই কি ধর্মঘট প্রত্যাহার?