উত্তরপ্রদেশে বিজেপির হিন্দুত্বের রথের চাকা আটকে যেতে পারে!






দীপেন্দু চৌধুরী

দেশের সাংসদ সংখ্যার নিরিখে যে রাজ্য সব থেকে বড়, গত পাঁচ বছর সেই রাজ্যের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে আছেন সঙ্ঘ পরিবারের পোস্টারবয় যোগী আদিত্যনাথ।হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির ‘ছোটা হিন্দু সম্রাট’ যোগী উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই হিন্দুত্ববাদের প্রচার-প্রসারের মসিহা হয়ে উঠেছেন। মেরুকরণের সব পথ খুলে দিয়ে নাগপুরের প্রিয় ছাত্রের সার্টিফিকেটও আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।কিন্তু রাজ্যে ভোটের দামামা বাজতেই রেজিমেন্টেড পার্টি বিজেপির রথের চাকা সম্প্রতি ধাক্কা খেল।রাজনৈতিক পর্যটনের রাজ্য উত্তরপ্রদেশে জোর টক্কর খেল যোগী সরকার।যোগীর মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন তিনজন মন্ত্রী ও ১৩ জন বিজেপি বিধায়ক।মন্ত্রিসভার তিনজন পদত্যাগী মন্ত্রী ইতিমধ্যে সপাতে যোগ দিয়েছেন।১৩ জন বিধায়কও সমাজবাদী পার্টিতে সম্ভবত যোগ দিয়েছেন।

রাজ্যের শ্রম, কর্মসংস্থান এবং সমন্বয়মন্ত্রী স্বামী প্রসাদ মৌর্য।তিনি বিজেপির অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির অন্যতম দলিত নেতা।প্রান্তিক শ্রেণির মানুষদের চূড়ান্ত অবহেলার অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেছেন মৌর্য।তাঁর দলবল নিয়ে তিনি সমাজবাদী পার্টিতে ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছেন।স্বামী প্রসাদ দল ছাড়ার পরেই বিজেপি দল ছাড়েন আরও তিন বিধায়ক।এই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই ছোটা হিন্দু সম্রাট যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন আরও এক গুরুত্বপূর্ণ দফতর অনগ্রসর শ্রেণি(ওবিসি)-র মন্ত্রী দারা সিং চৌহান।যাকে ‘ভোটের হাওয়া মোরগ’ বলা হয়ে থাকে। তিনি নাকি ভোটের হাওয়া কোন দলের পক্ষে সেটা আগে থেকে আঁচ করতে পারেন। এই লেখা লেখার সময় পর্যন্ত আরও এক মন্ত্রীর পদত্যাগের খবর পাওয়া গেল। তিনি হলেন যোগী ক্যাবিনেটের আয়ুষ দফতরের প্রতিমন্ত্রী ধরম সিং সাইনি।যোগী মন্ত্রিসভার তিনজন পদত্যাগী মন্ত্রী ইতিমধ্যে সপাতে যোগ দিয়েছেন।১৩ জন বিধায়কও সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।দলিত শ্রেণি এবং পিছিয়ে পড়া(ওবিসি)শ্রেণির মানুষের উপর ধারাবাহিক অত্যাচার দলিত ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রতিনিধি হিসেবে সমর্থন করতে পারছিলেন না তিন পদত্যাগী মন্ত্রী।বিবেক যন্ত্রণা তাঁদের পীড়া দিচ্ছিল। ১৩ জন পদত্যাগী বিধায়কও দলিত ওবিসি শ্রেণিভুক্ত।

ক্ষোভ যে বিজেপিতে মাথা চাড়া দিচ্ছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আঁচ করতে পারছিলেন। কিন্তু ঠাকুর সম্প্রদায়কে সন্তুষ্ট করতে গোরক্ষপুরের সন্ন্যাসী যোগীকে সামনে রেখেই ব্রাহ্মণ, ঠাকুর, দলিত এবং ওবিসি হিন্দু ভোট নিশ্চিত করতে চেয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।শেষ পর্যন্ত বিজেপির অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে চলেই এল।ফাটল আরও চওড়া হল।যার প্রভাব এই বছরের বিধানসভা ভোটে পড়তে পারে।বিজেপি দলে দলিত নেতৃত্বের বিদ্রোহের কারণে প্রভাব পড়বে রাজ্যের পূর্বাঞ্চলের কমপক্ষে একশোটি আসনে।যার ফসল ঘরে তুলতে পারে সমাজবাদী পার্টি।সেই চ্যালেঞ্জ নিতেই কি বিজেপি প্রথম দু’দফার প্রাথী তালিকায় ৬০ শতাংশ ওবিসি ও দলিত প্রাথীর নাম ঘোষণা করেছে? পদ্মশিবিরের ঘোষিত ১০৭টি আসনে প্রার্থী তালিকাতে ৪৪ জন ওবিসি শ্রেণির ও ১৯ জন তফসিলি জাতির প্রতিনিধির নাম আছে।

রাজ্যে ভোট যত এগিয়ে আসছে রামরাজ্যের জোট জল্পনা উসকে দিচ্ছে নতুন নতুন সমীকরণ।বিজেপির বিরুদ্ধে মহাজোট গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে বিরোধীরা।২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি বিরোধী এক মঞ্চে এসে জোট গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন শরদ পাওয়ার, মমতা ও অখিলেশ যাদব।উত্তরপ্রদেশে প্রাসঙ্গিকতা যত কমই হোক তবু সিপিএমও সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে বোঝাপড়ায় আগ্রহী। পুরোপুরি বিপরীত মেরুতে থাকা কংগ্রেস ও শিবসেনা দলকে নিয়ে মহারাষ্ট্রে মহাবিকাশ আঘাড়ী জোট সরকারের রূপকার পাওয়ার। তিনি এবার লখনউ শহরে ভুলভুলাইয়া রাজনীতির ময়দানে।পাওয়ার চাইছেন বিজেপিকে লখনউয়ের মসনদ থেকে সরাতে কংগ্রেস সহ সব বিরোধী দল এককাট্টা হোক।কয়েকদিন আগেই এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার জানিয়েছিলেন, সামনের বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে আর রাজ্যের মসনদে চাইছে না সেই রাজ্যের মানুষ। বিষয়টা ইতিমধ্যেই চিন্তায় ফেলে দিয়েছে পদ্মশিবিরের ভোট ম্যানেজারদের।শরদ পাওয়ারের কথা যদি সত্যি হয় তাহলে ২০২৪-র সেন্ট্রাল ভিস্টার নতুন সিংহাসনও অধরা থেকে যাবে মোদীর নেতৃত্বে হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির। কারণ লোকাসভার ৫৪৩ জন সদস্যের মধ্যে ৮০ জন সাংসদ এই রাজ্যের।রাজ্যসভার ২৪৫ জন সাংসদের মধে ৩১ জন সাংসদ রাজ্যসভায় যায় এই রাজ্য থেকেই। তাই আচমকা এই উদ্ভূত পরিস্থিতি সামলানোটাই মোদী-অমিত শাহদের কাছে এখন প্রধান অ্যাজেন্ডা।তার প্রথম ধাপ হিসাবে বিজেপি ছাড়তেই প্রাক্তন মন্ত্রী বর্তমানে বিজেপি বিধায়ক, সপা নেতা স্বামী প্রসাদ মৌর্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে যোগী প্রশাসন।মন্ত্রিসভা থেকে তিনজন গুরুত্বপূর্ণ দলিতশ্রেণির মন্ত্রীর পদত্যাগ, নির্বাচনী চিত্রনাট্যের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে সেই রাজ্যে।কিছুদিন আগে উত্তরাখণ্ড, কর্ণাটক সহ কয়েকটি রাজ্যের উপনির্বাচনের ফল বিজেপির অনুকুলে যায়নি।তখন থেকেই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব হিন্দি বলয়ে হিন্দুত্বের প্রচার ও উন্নয়নের কৌশলকে কাজে লাগাতে শুরু করেছে।

যোগীর হিন্দুত্বের রাজনীতি ‘আব্বাজান’ তাঁর রাজ্যে আগেই তিনি ব্যবহার করেছেন। সম্প্রতি ‘আশি বনাম কুড়ি’ শতাংশ ভোটের কথা বলে নতুন ভাষায় মেরুকরণের স্লোগান আমদানি করেছেন নাগপুরের পোস্টারবয় যোগী।তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা ৮০ শতাংশ মানুষ বিজেপির সঙ্গে আছে।যারা রাজ্যের হিন্দু ভোটার।আর কুড়ি শতাংশের সমর্থন রয়েছে বিরোধীদের পিছনে।ওই কুড়ি শতাংশকে যোগী পরোক্ষে রাজ্যের মুসলিম ভোটারদের বোঝাতে চেয়েছেন। অভিযোগ সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের।বিজেপি ছেড়ে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি, পিছড়ে বর্গ, দলিত সম্প্রদায়ের নেতা ও কর্মীদের এসপিতে যোগ দেওয়ার স্বতঃস্ফূর্ততা দেখে বিজেপি প্রমাদ গুনছে। পাল্টা চাল হিসেবে যাদব ভোট বাদ দিয়ে রাজ্যে যে ৩০-৩২ শতাংশ ওবিসি ভোট আছে, সেই ভোট নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করেছেন বিজেপির ভোট ম্যানেজারবাবুরা।সেই কারণে গুজরাতের ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত, জাতিতে তেলি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখেই বিজেপি ওবিসি সমাজের জনসমর্থন নিজেদের ঝোলায় পুরতে চাইছে।যতটা সম্ভব হিন্দু দলিত, ওবিসি মন জয় করা যায়।

জাঠবলয় ও ব্রজভূমি এই দুটি অঞ্চলে প্রথম দুই দফাতেই ভোটপর্ব শেষ হয়ে যাবে। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের এই দুই নির্বাচনী ক্ষেত্রে বিজেপির এ্যাসিড টেস্ট হতে চলেছে বলে মনে করছেন, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।দলিত মন্ত্রী বিধায়কদের বিদ্রোহকে মাথায় রেখেই রামরাজ্যের রাজধানীর মসনদ নিশ্চিত করতে চাইছে পদ্মশিবির।কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে চাইছে মোদী-শাহ জুটি। বিরোধীদের জাঠ-মুসলিম জোটের পাল্টা হিসাবে জাঠ-ঠাকুর, দলিত ওবিসি ভোটেই ভরসা রাখছেন হিন্দুত্ববাদী দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপি নির্ভর করছে হায়দরাবাদের আসাদুদ্দিন ওয়েইসির দল এমআইএমের ওপর।বিহারের অভিঞ্জতা মাথায় রেখে মোদী-শাহ আশাবাদী উত্তর প্রদেশের ভোটেও মুসলিম ভোটের বিভাজন ঘটবে।

এই সূত্রে নতুন তথ্য সামনে আসছে, গত বছরের মতোই দলিতনেত্রী মায়াবতীর বিএসপি দলের নির্বাচনী কৌশল। রাজনৈতিক বিশেষঞ্জদের ব্যাখ্যা, ১০ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের প্রথম দফার ৫৮টি আসনের ভোটে একই কৌশলের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। তুলনামূলক আলোচনা করলে দেখা যাবে, উল্লেখিত ৫৮টি আসনের মধ্যে এসপি-আরএলডি জোট ১৩ জন মুসলমান প্রার্থীকে টিকিট দিয়েছে।উল্টোদিকে মায়াবতীর বিএসপি দলের মুসলমান প্রার্থীর সংখ্যা ১৭।শতাংশের হিসাবে উত্তরপ্রদেশের প্রথম দফার ভোটের মোট আসনে এসপি-আরএলডি-র ২২ শতাংশ প্রার্থী মুসলমান।এই হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, মোট ৮টি আসনে বিএসপি এবং এসপি দুই বিরোধী দলের মুসলমান প্রার্থী একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ছেন।এক্ষেত্রেও মুসলমান ভোট ভাগ হওয়াতে বিজেপি মনে করছে তাঁদেরই সুবিধা হবে।জাঠবলয়ের মুসলমান ভোট ভাগাভাগিতে বিজেপির অদৃশ্য হাতের কথাও অনেকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন।                                           

বৈপরীত্যের বিরাট সমাহারের সমন্বয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জাতি-সম্প্রদায়ের অন্যতম এক রাজ্য উত্তরপ্রদেশ।ভোট যত এগিয়ে আসছে রামরাজ্যের জোট জল্পনা উসকে দিচ্ছে নতুন নতুন সমীকরণ।এসপি-আরএলডি দলের জোট ঘোষণা আগেই হয়ে গেছে।জাঠবলয়ে ঐতিহ্যগতভাবে জয়ন্ত চৌধুরীর নেতৃত্বে আরএলডির ভালো প্রভাব রয়েছে।সমাজবাদী পার্টি সূত্রে খবর, আরএলডি-সহ বাকি শরিকদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার পরে এসপি দলগতভাবে ৩৫০টি আসনে লড়বে।এসপি দলের সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়েছে শরদ পাওয়ার ও মমতার।অখিলেশের পাশে থাকার বার্তা তৃণমূল নেত্রী আগেই দিয়ে রেখেছেন। অখিলেশের যৌথভাবে ৮ ফেব্রুয়ারি লখনউ থেকে ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।উত্তরপ্রদেশে প্রাসঙ্গিকতা যত কমই হোক তবু সিপিএমও সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে বোঝাপড়ায় আগ্রহী।‘লড়কী হুঁ লড় সকতি হুঁ’ স্লোগান নিয়ে প্রচারে নেমেছেন কংগ্রেসনেত্রী প্রিয়াঙ্কা গাঁধি বঢরা।কংগ্রেসনেত্রী প্রিয়াঙ্কা গাঁধি বঢরা ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন, ‘প্রয়োজনে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ভোটের পরে তাঁরা অন্য দলকে সমর্থন করবেন।’ জোট সমীকরনের আরও একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, উন্নাওয়ের গণধর্ষণ কান্ডে নির্যাতিতার মা আশা সিংহকে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে। সমাজবাদী পার্টি সিধান্ত নিয়েছে, কংগ্রেস প্রার্থী আশা সিংহের বিরুদ্ধে এসপি প্রার্থী দেবে না।

আরএলডি সহ রাজ্যের কয়েকটি ছোট দল নিয়ে আগেই জোট করেছে সপা।২০২২ সালের নির্বাচনে নিজের রাজ্যে ‘পরিবর্তন’ আনতে চাইছেন বাবুয়া। তৃনমূল কংগ্রেস এবং এনসিপিকে একটি করে আসন ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।তাঁর ঘোষণার পরেই এনসিপি নেতা কে কে শর্মা বুলন্দ শহরে অনুপশাহ্‌র আসন থেকে লড়াই করবেন বলে জানিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল নেতা ললিতেস পতি ত্রিপাঠী লড়ছেন মির্জাপুরের মাধিয়ান আসন থেকে। স্বভাবতই বলা যায়, ২০২২ সালের গোয়ার বিধানসভার ভোটে বিশেষ নজর দিয়েছে তৃণমূল। উত্তরপ্রদেশে সপার সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়েছে। বাংলার বাইরে আরও একটি রাজ্যে নতুন করে ময়দানের লড়াইয়ে নামছে মমতার দল।এমতবস্থায় ৪০৩ আসনবিশিষ্ট বিধানসভা আসনের রাজ্য উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয়দফার ভোটের আগে বিজেপি বিপাকে পড়তে পারে।

১৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফার ৫৫টি আসনে সম্ভাব্য ভোটের ফলাফল বিজেপির হিন্দুত্বের রথের চাকা আটকে দিতে পারে।গেম চেঞ্জ হলেও হতে পারে।মুসলমান, দলিত ও জাঠ অধ্যুষিত এই অঞ্চলে পদ্মশিবির এবার যথেষ্ট বেকায়দায় পড়েছে।বিধানসভার নির্বাচনে জাঠ বলয়ে কৃষকদের বিজেপি বিরোধী ক্ষোভের ওপর নির্ভর করে সমাজবাদী পার্টি এবং আরএলডি জোটকে বড় অস্ত্র হিসাবে দেখা হচ্ছিল। কারণ জাঠ সম্প্রদায়ভুক্ত কৃষক সংগঠন বিকেইউ এই জোটকে সমর্থনের কথা কিছুদিন আগে জানিয়েছিল।কিন্তু সম্প্রতি কোনও এক অঞ্জাত কারণে সংযুক্ত কিসান মোর্চার শরিক দল ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের(বিকেইউ)সভাপতি নরেশ টিকায়েত জানিয়েছেন এবারের ভোটে কোনও রাজনৈতিক দলকেই তাঁরা সমর্থন করবেন না।উত্তরপ্রদেশে বিজেপির হিন্দুত্বের সমীকরণে বাধা কৃষকদের ঐক্য।জাতপাতের বৈচিত্রের ঢেউয়ের রাজ্যের লড়াইটা অবশেষে এসে দাঁড়াচ্ছে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি বনাম হিন্দুত্ববাদীদের লড়াই।             

 

Comments

Popular posts from this blog

দু’জন বাঙালি বিঞ্জানীর গণিতিক পদার্থ বিঞ্জানে বিশ্ব বিখ্যাত আবিষ্কার

‘ইউনিভার্সাল রিলিজিয়ন’ ও ভারতীয় সাধারণতন্ত্র

লোকসভা অধিবেশন শুরুর পরেই কি ধর্মঘট প্রত্যাহার?