কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে বিদেশে প্রতিবাদের ঝড়








দীপেন্দু চৌধুরী

ভারত নামক দেশটি বর্তমানে যে সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তাঁরা কি ‘জাতীয়তাবাদ’-র গরিমায় বহ্নিমান থাকবেন? এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’-নামক স্লোগানের শক্তিতে আন্তর্জাতিক ‘সৌজন্য’ ভুলে যাবেন, ঠিক করেছেন? রাষ্ট্রসংঘ নামক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি দায়বদ্ধতার বিষয়ে কেন্দ্র উদাসীন থাকতে চাইছে? প্রসঙ্গ এসে গেল সম্প্রতি একটি টুইট বার্তাকে কেন্দ্র করে। কৃষ্ণাঙ্গ একটি মেয়ে ভারতে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে টুইট করেছিলেন, ‘কেন আমরা এ বিষয়ে কথা বলছি না!’ প্রায় ৭৫ দিন ধরে চলা তিন কালা আইন বাতিলের দাবিতে ভারতের কৃষকরা দিল্লির সীমান্তে বিক্ষোভ করছে। সেই আন্দোলনের সমর্থনে আমেরিকার পপ তারকা রোব্যান রিহানা ফেন্টি ওরফে রিহানা টুইটটি করেন।

কৃষকদের সমর্থনে টুইট করা বিদেশী তারকাদের হুশিয়ারি দিয়ে সতর্ক করতে চাইল ভারত সরকার। বিষয়টি ‘ভারতের একান্ত অভ্যন্তরীণ’ দাবি করে ভারত সরকার আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব এবং তারকাদের ‘বহিরাগত’ বলে দেগে দিতে চাইল।     

না এখানেই থামল না, অসহিষ্ণু ভারত সরকারের অদৃশ্য অঙ্গুলি হেলনে নামিয়ে দেওয়া হল একঝাঁক বলিউডের চিত্র তারকাকে। ভারত সরকারের অনুগ্রহপ্রার্থী বশংবদ দুই চিত্র তারকা সবার আগে হৈ হৈ করতে করতে রিহানার প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠলেন। কঙ্গনা, অক্ষয় কুমারের পাশাপাশি একসময়ের ‘লিটল মাস্টার’ ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকর জাতীয়তাবাদকে সামনে রেখে #ইন্ডিয়া এগেইনস্ট প্রোপাগান্ডা- হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে রিহানার টুইটের প্রতিবাদে পাল্টা প্রতিবাদ করলরিহানার টুইটের প্রতিবাদে সরব হতে দেখা যায় সংঘপরিবারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বিভিন্ন ক্ষেত্রের ভারতীয় তারকা এবং রাজনীতিবিদদের একাংশকেও সবটাই ‘জাতীয়তাবাদ’- নামক শব্দের মোড়কে। থেমে রইলনা আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিবাদ। আছড়ে পড়ল আন্তর্জাতিক সেলিব্রেটিদের কৃষক আন্দোলনেরসমর্থনে প্রতিবাদ।

ভারত সরকারের হুশিয়ারির জবাবে সাংস্কৃতিক সৌজন্য বজায় রেখে টুইট করলেন মীনা হ্যারিস, মিয়া খলিফারা। আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের বোনঝি মীনা হ্যারিস ৫ ফেব্রুয়ারি টুইট করলেন, ‘আমায় ভয় পাওয়ানো যাবে না, চুপ করিয়ে দেওয়াও যাবে না’কৃষক আন্দোলনের একটি ছবি টুইটের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে মীনা লেখেন, ‘ভারতীয় কৃষকদের মানবাধিকার রক্ষার পক্ষে কথা বলেছিলাম। তার প্রতিক্রিয়া কী হল দেখুন।’ তিনি আরও লেখেন, ‘It’s time to talk about violent Hindu extremism.’’ এর আগেই অবশ্য # ফার্মার্সপ্রটেস্ট এবং #স্ট্যান্ডউইথফার্মার্স দুটি পৃথক পৃথক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে টুইট করেন সুইডিশ আন্দোলনকারী গ্রেটা থুন বার্গ, মীনা হ্যারিস, পপ গায়ক জে শিন, ডক্টর জিউস, মিয়া খলিফারা। গ্রেটা নিজে টুইটে লেখেন, ‘’# স্ট্যান্ডউইথফার্মার্স কৃষকদের পাশেই আছি। কোনও ঘৃণা, হুমকি বা মানবাধিকারের উপরে আঘাত আমার মত বদলাতে পারবে না। #ফার্মার্সপ্রোটেস্ট’’ 

কানাডার ভিক্টোরিয়ায় ‘কানাডা পার্লামেন্ট’ হাউসে সিঁড়ির উপর সারিবদ্ধভাবে ২০০ জোড়া জুতো সাজিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছে। পোস্টারে লেখা আছে, প্রতিবাদীরা ২০০ জুতো রেখে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ভারতে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লি সীমান্তে যে ২০০ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের স্মরণে এই প্রতিবাদ জানান হচ্ছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজেও আলাদাভাবে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে নিজের বার্তা দিয়েছেন। টুইটার সংস্থার সহ- প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও জ্যাক প্যাট্রিক ডরসে ভারতীয় কৃষকদের সমর্থনে রিহানার করা টুইটকে সমর্থন করেছেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পপ তারকা রিহানা এবং পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ভারতে কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করে যে টুইট করেছেন, তার সমালোচনা করে বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। কংগ্রেস নেতা আইনজীবী মনীশ তিওয়ারি তার উত্তরে লিখেছেন, ‘’MEA statement ignores the fact that much of Indian diaspora is from our rural country side.’’ আমেরিকার একটি শহরে ভারতে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে ১০০০ গাড়ি নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  

ভারতে বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে বলেছেন, ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে কৃষকদের বিরুদ্ধে। ক্রিকেটার কপিল দেব বলেছেন, ‘আমি দেশকে খুবই ভালোবাসি। আশা করি কেন্দ্রীয় সরকার ও কৃষকদের মধ্যে এই দ্বন্দ দ্রুত মিটে যাবে’অভিনেত্রী কঙ্কনা সেন শর্মা জানিয়েছেন, ‘ভয়’-এই ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন ভারতীয় তারকারা। তাঁর মতে, হঠাৎ ‘জেগে ওঠা’ একতা বোধ নয়, বরং ভয় থেকেই ‘ঐক্যবদ্ধ ভারত’-এর পক্ষে এক সুরে কথা বলছেন তারকারাবলিউড অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘’দিনের শেষে শত্রুবাক্য নয়, মিত্রের নীরবতায় ভাবায়। আমাদের চাষিরা যখন কনকনে ঠাণ্ডায় বসে থাকেন, আমরা অন্ধ হয়ে থাকতে পারি না। আমি নিশ্চিত, এই আন্দোলন আরও গতি পাবে। আরও মানুষ যোগ দেবেন। সেখানে চুপ করে থাকা মানে অত্যাচারীকেই সাহায্য করা।‘’

সিপিএম প্রশ্ন তুলেছে, বিদেশীরা পিএম কেয়ারে টাকা দিলে তখন অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে সেই টাকা ফেরৎ দেওয়া হয় না। কিন্তু বিদেশীরা কৃষকদের করুণ অবস্থার কথা তুলে ধরলে তখন সার্বভৌমত্বে আঘাত লাগে। সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে শান্তিপূর্ণ পথে কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানাল রাষ্ট্রসংঘ।   

মনে পড়ছে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের কথা। একজন কৃষ্ণাঙ্গ তরুণকে শ্বেতাঙ্গ মার্কিন পুলিশ গলায় পা দিয়ে মেরে ফেলল। সারা বিশ্ব থেকে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল।

সমস্ত হলিউড তারকা ‘’ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’’ আন্দোলনের পক্ষে দাঁড়িয়ে সোচ্চার হলেন বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে। হলিউড তারকারা বিশ্বের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে বরাবর সরব। ঠিকই বলছেন, যারা কৃষক আন্দোলনের পক্ষে লিখছেন। বিটলস, জোন বায়েজ, রজার ওয়াটারস, পিট সিগার, বব ডিলানের গান রাজনীতি ছাড়া অসম্পূর্ণ। বাংলা তথা ভারতে এক সময় সলিল চৌধুরী, হেমাঙ্গ বিশ্বাস এবং আইপিটিএ বা গণনাট্য সংঘের শিল্পীদের যে ভূমিকা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। ভারতেও ‘’ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’’ আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভ আছড়ে পড়ল। মার্কিন ক্যাপিটলে হামলার পরে নিন্দার ঝড় উঠে এসেছিল সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ লাতিন আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশ থেকে টুইটার হ্যান্ডেল ব্যবহার করে পৃথক পৃথক ভাষায়-ছন্দে প্রতিবাদ আমরা দেখেছি। সভ্যতার কলঙ্ক হয়ে থাকবে একুশ শতাব্দীর ‘মার্কিন ক্যাপিটাল’-এ দুষ্কৃতি হামলা।

থেমে থাকেননি ভারতের হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও। তিনি একসময় ট্রাম্পকে ভোটে জেতাতে ‘’অব কি বার ট্রাম্প সরকার’’ স্লোগান দিয়ে জিরাফের মতো গলা তুলেছিলেন। কিন্তু ক্যাপিটাল হিলের ঘটনার পরে মোদী  আন্তর্জাতিক স্তরে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে প্রতিবাদ করলেন। সুবিধাবাদীর মত ইউটান নিলেন, লিখলেন ‘’distressed to see news about rioting and violence in DC’’ না উন্নত গণতন্ত্রের দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এই বিষয়ে রাটি কাড়েনি। তাঁরা বলতেই পারত আমাদের দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে তোমরা নাক গলানোর কে হে মশায়? এই কথা বললে আন্তর্জাতিক স্তরে রাষ্ট্রসংঘের ভূমিকা নগণ্য হয়ে যায়। মায়ানমারে ঘটে যাওয়া এই সময়ের ক্যু নিয়ে কারও কথা বলার অধিকার থাকে না। উন্নত গণতন্ত্র অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, মানবাধিকার ইত্যাদির সমর্থনে দাঁড়ানোর আহ্বান জানায়। তা না হলে আন্তর্জাতিক আদালত বলে কোনও প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন থাকত না। ‘হু’ নামক একটি সংস্থারও প্রয়োজন হত না। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বলে কিছু গড়ে তোলার প্রয়োজন হত না। আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি, রীতিনীতি শিষ্টাচার এই দাবির সমর্থনে দাঁড়ায়। বর্তমান সময়ের সাম্প্রতিক ঘটনার উল্লেখ করতে গেলে অতীত থেকেও অসংখ্য উদাহারণ টেনে আনা যায়। পরম্পরাগতভাবে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকস্তরে রাষ্ট্রীয় দমনপীড়ণের প্রতিবাদে এই সব আন্দোলন হয়েছে। এবং গণমাধ্যমে সেই আন্দোলনের খবর প্রকাশ করা হয়েছে।

ফসলের ন্যায্য দাম চাওয়া কি দেশদ্রোহিতা

কৃষকরা ২৬ জানুয়ারির অভিঞ্জতাকে মনে রেখে সংসদ অভিযান কর্মসূচী বাতিল করেছিল। একই অভিঞ্জতার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সে জন্য ৬ ফেব্রয়ারির ‘চাক্কা জ্যাম’ আন্দোলনের বিষয়ে আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করেছিল সংযুক্ত কৃষক মোর্চার নেতৃত্ব। সংগ্রামী কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত নিজস্ব সূত্রে খবর পায়, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশে ‘চাক্কা জ্যাম’ আন্দোলন করার সময় ২৬ জানুয়ারিরমতো অন্তর্ঘাত করা হতে পারে। এর পরেই রাকেশ টিকায়েত জানিয়ে দেন, ওই দুই রাজ্যে চাক্কা জ্যাম আন্দোলন স্থগিত রাখা হচ্ছে। পরিবর্তে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলার ১০টি জায়গায় কৃষক পঞ্চায়েত বসে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে। প্রায় ১০ হাজার কৃষক এই সমাবেশে হাজির থেকে আন্দোলনের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

৬ ফেব্রুয়ারির বেলা ১২ টা থেকে ৩ টে পর্যন্ত চলে ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসুচীরাজধানী দিল্লি যাওয়ার ভাতিন্ডা রোডের চারটে সীমান্তবর্তী জায়গায় ওই দিন অবস্থান করেন কৃষকরা। দিল্লি যাওয়ার সীমান্তগুলি হল গাজীপুর সীমান্ত, ধানসা সীমান্ত, সিংঘু সীমান্ত এবং টিকরি সীমান্ত। বিক্ষোভকারীদের আটকাতে পুলিশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া, গজাল এবং কংক্রীট ঢালাই করে বোল্ডার দিয়ে আটকে রেখেছে। আন্দোলনের দিন বড় কোনও ঘটনার কথা শোনা যায়নি। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, কৃষকরা যাতে ট্র্যাক্টর নিয়ে দিলিতে ঢুকতে না পারে সেই জন্য এই ব্যবস্থা তবে পরিবহণ সচল রাখা হয়েছিল। নাগরিকদের সুবিধার জন্য। মধ্য দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়ওই দিন পুরো দিল্লিতে প্রায় ৫০ হাজার পুলিশ ও আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল। সাংবাদিকরা ১৫ কিলোমিটার পথ (আসা এবং ফিরে যাওয়া) পায়ে হেঁটে অতিক্রম করে খবর ধরাতে সক্ষম হনসাংবাদিকতার ইতিহাসে এটাও লেখা থাকবে।

দিল্লিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হলেও বিক্ষোভ হয়েছে পঞ্জাব-হরিয়ানার বিভিন্ন জায়গায়। লুধিয়ানায় ১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বসে পড়েন মহিলারা। বেঙ্গালুরু, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, হায়দরাবাদ-তেলেঙ্গনা, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা ছত্তিষগড়সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা। সরকার যতই দমনপীড়ন নামিয়ে আনুক আন্দোলন থেকে সরছেন না কৃষকরা। আট মাস আন্দোলন চালিয়ে ২ অক্টোবর পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। আন্দোলনে এবার থেকে কৃষকরা প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে আসবেন নতুন যুবশক্তিকে সঙ্গে নিয়ে। সবাইকে এক টানা ধর্নাস্থলে থাকতে হবে না। রাকেশ টিকায়েত বলেন, ‘’আমাদের দাবি যত দিন না-মানা হচ্ছে আমরা ফিরব না। ফসলের ন্যায্য দাম চাওয়া কি ‘দেশদ্রোহিতা’? আমরা সরকারকে আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিয়েছি। এই আইন প্রত্যাহারের জন্য। আজকের কর্মসূচির পরে আমরা পরবর্তী পরিকল্পনা করব। কোনও চাপের মুখে আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করব না।‘’ রাহুল গাঁধি এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘অন্নদাতাদের শান্তিপূর্ণ সত্যাগ্রহ দেশহিতের জন্যই। কেবল কৃষক বা শ্রমিকের জন্য নয়, এই তিনটি আইন সমগ্র দেশবাসীর জন্যই মৃত্যু পরোয়ানার সমান।‘’               


 

Comments

Popular posts from this blog

দু’জন বাঙালি বিঞ্জানীর গণিতিক পদার্থ বিঞ্জানে বিশ্ব বিখ্যাত আবিষ্কার

‘ইউনিভার্সাল রিলিজিয়ন’ ও ভারতীয় সাধারণতন্ত্র

লোকসভা অধিবেশন শুরুর পরেই কি ধর্মঘট প্রত্যাহার?