ওটা ভিক্ষা নয় আমাদের জীবীকা




দীপেন্দু চৌধুরী
একুশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশক। যে অবিভক্ত বাংলা থেকে নব জাগরণ শুরু হয়েছিল সেই বাংলার মানুষ আমরা কতটা সংস্কারমুক্ত? উন্নয়নের প্রয়োজনে নতুন নতুন আইন হচ্ছে, আফিসে বড়বাবু, ছোটবাবু আধুনিক বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লবের নেশায় মশগুল। কিন্তু ধর্ম, জাতি এবং তথাকথিত সংস্কার বিষয়ে আমরা আজও উদাসীন কেন? সমাজের মূলস্রোতের মধ্যেই জাতপাত নিয়ে এখনও বিভ্রান্তি কাটেনি। তারপর ‘অপর’ একটি সম্প্রদায়ের কথা? বলতে হবে? শুনতে হবে? পড়তে হবে? হ্যাঁ সেই রকম দাবি সম্প্রতি উঠে এল একটি অন্যমাত্রার সাহিত্য উৎসব থেকে। উদ্যোক্তাদের নিজেদের ভাষায় ‘চেনা সমাজের মধ্যে অচেনা কিছু স্বর। একটি সমাজ যেটি এখনও সাদা কালো পর্দায় মুড়ে সযত্নে রেখে দিয়েছে সাধের পিতৃতন্ত্র। এই অটুট চিরস্থায়ী নিয়মাবলী আমাদের রঙবেরঙের চাওয়া পাওয়াকে ধুয়ে মুছে সাফ করে দিতে চায়। যখনই আমরা আমাদের চারপাশে তাকাই পৃথিবীকে চেনার প্রাথমিক সূত্র যে সাহিত্য, চিত্রকলা, চলচ্চিত্র তার দিকে তাকিয়ে প্রাণপণে খুঁজে যাই আমাদের ইচ্ছা, বাসনা, আকাঙ্ক্ষা, কামনা। কিন্তু যারই পাতা উল্টাই না কেন দেখি কেবল মাত্র উচ্চ বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ যৌনতার গল্প কবিতা নাটকে। কিন্তু সেখানে আমাদের কথা, আমাদের বাঁচামরা কোই? তবে কি আমরা মিথ্যা? মূলধারাকে ভেঙে আমাদের গলার স্বর তোলা কতটাই না কঠিন।’  
এবছর শীত এসে দুয়ারে নাড়া দিয়েছে বেশ কিছুদিন। শীতের স্থায়িত্ব আমাদের বারদুয়ারে যেতে বলছে। শিশির ভেজা শব্দের খোঁজে, ঘুঘু ডাকা ভোরের খোঁজে। চেনা অচেনা পখির কলরবে সাহিত্যের ঠাকুর বাড়ির আমন্ত্রণে। ‘তুমি ডাক দিয়েছ কোন সকালে কেউ তা জানে না’। শীতের শান্ত সোনালী রোদের আমেজে কলকাতায় আছি। কলকাতা এবং শহরের উপকন্ঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিভিন্ন বর্ণের, পণ্যের মেলা হচ্ছে। ‘বইমেলা’ এবং সাহিত্য উৎসব অবশ্যই ভাবুক বাঙালির আরও একটি পরিচ্ছেদ। মেছো বাঙালির রন্ধন প্রণালীর মতই বর্ণমালার অহংকারে ছন্দপতন সমাজকে ছিড়ে টুকরো টুকরো করতে পারে বাংলা গল্প, কবিতা কথাসাহিত্য। মূলস্রোতের সাহিত্য উৎসব, বইমেলা কতই না হচ্ছে। কিন্তু ব্যতিক্রম সম্ভবত ‘তৃতীয় লিঙ্গ’-এর মানুষদের নিজেদের কথা বলার জন্য সাহিত্য উৎসব! শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন ঢুলু ঢুলু রোদের আমেজ ভেঙে এক নতুন ভোরের  খোঁজে সম্প্রতি কলকাতা গ্যেটে ইন্সটিটিউট-ম্যাক্স ম্যুলার ভবন এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল ফোরাম ফর জেন্ডার অ্যান্ড সেক্সুয়াল মাইনরিটি রাইটস যৌথভাবে ‘কলকাতা ক্যুয়ার সাহিত্য উৎসব’ নামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সকাল থেকে শুরু হয়ে এই অনুষ্ঠান সন্ধ্যে পর্যন্ত চলে। বিভিন্ন বিষয় পাঁচটিভাগে সাজিয়ে এদিনের এক গঠনমূলক আলোচনা আমাদের সামনে পৌঁছে দিলেন উদ্যোক্তারা। এজন্য উদ্যোক্তাদের প্রশংসা করতেই হয়। বিষয়গুলি এসেছে যেমন ১) খুলে যাবে এই দ্বার (সাহিত্য বিষয়ক) ২) ট্রান্সজেন্ডার বিল নিপাত যাক ৩) যে যেখানে লড়ে যায় আমাদেরই লড়াঃ ক্যুয়ার স্বর, প্রতিরোধের ভাষ্য ৪) নো গোয়িং ব্যাকঃ ৩৭৭ পরবর্তী ক্যূয়ার পত্রিকার উদযাপন এবং সম্ভবনা ৫) যেমন খুশি বল, যেমনটা তুমি বলতে চাইছ। বিষয়গুলির মধ্যেই রয়েছে বৈচিত্রের উষ্ণ আবেগের স্পর্শ এবং অভিমানভরা অহিংস বিদ্রোহের ভাষা।    
অত্যন্ত সুচারু এবং মননশীলভাবে সাজানো বিষয়গুলিকে কেন্দ্র করে আলোচনার প্রতিটি স্তর আমাদের নতুন করে ভাবতে বলে। প্রান্তিক লিঙ্গ যৌনতা সাহিত্যের শিকড় খুঁজে এক দু’দশক আগেও পাওয়া যেত লিফলেট, প্যাম্ফলেট, লিটিল ম্যাগাজিন। তৃতীয় লিঙ্গের সাহিত্য বলতে এ পর্যন্ত আমাদের কাছে এখানেই সীমাবদ্ধ ছিল। তাও মূলস্রোতের সমাজ যাঁদের ‘অপর’ করে রেখে দিয়েছে, তাঁদের মনের ভাষা প্রকাশের এই মাধ্যমগুলি আমাদের সামনে ভয়ে ভয়ে পৌঁছে দিত তাঁরাদ্বিধা এবং লজ্জা অবনত হয়ে। একটা সময় ছিল এই স্রোতের বাস্তব জীবনের মানুষেরা নিজেদের আড়ালেই রেখে দিতে চাইতেন। কেউ জানতে পারত না সে হিজড়া ট্রান্স জেন্ডার বিষয়ক আলোচনার সময় আলোচ্য প্রতিবেদক জানতে চেয়েছিল ট্রেনে, বাসে, কলকাতার বড় রাস্তায় ‘বৃহন্নলা’-র দল যেভাবে টাকা তোলে সেটা কি বন্ধ করা যায় না? আত্মসম্মানের বিষয়টাও জড়িয়ে আছে। আলোচক ট্রান্সজেন্ডার হিজড়া এবং ক্যুয়ার রাইটস অ্যাক্টিভিস্ট অপর্ণা ব্যানার্জী গর্জে উঠলেন। তিনি বললেন, ‘আপনার বাবার যখন জন্ম হয়েছে তখন আমরা আপনাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। আপনার যখন জন্ম হয়েছে তখনও আমরা আপনার বাড়িতে গিয়েছিলাম। তাই ওটা আমাদের ভিক্ষাবৃত্তি নয় ওটা আমাদের জীবীকা।’ ওই পর্বের সঞ্চালক অনিন্দ্য হাজরা। অনিন্দ্য কলকাতার একজন ট্রান্সফেমিনিস্ট, রূপান্তরকামী মানুষদের অধিকার রক্ষা আন্দোলন এবং গণআন্দোলের অন্যতম কর্মী। তিনি খুব বিনয়ের সঙ্গে বললেন, ‘বংশ পরম্পরায় যারা যজমানীর কাজ করে, যারা পুরোহিত জীবীকার মধ্যে আছেন অথবা যারা বিভিন্ন মন্দিরে সেবায়েতের কাজ করেন কই তাঁদের পেশা নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠছে নাতো? আমাদের এটা পেশা।’
 তথ্য বলছে রাষ্ট্রপুঞ্জ তার অফিসে সমকামী দম্পতিদের জন্য অন্যদের সমান সুবিধা দিতে চাইলেও প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয় ভারত। তাই সম্ভবত এলজিবিটি সম্প্রদায়ের মানুষেরা ভারতের সরকারি অথবা বেসরকারি বাণিজ্যিক সংস্থায় কাজ পান না।   
এদিনের সাহিত্য সভার মঞ্চে আলোচনায় উঠে আসে ভারত সরকারের ‘ট্রান্সজেন্ডার পার্সন (প্রোটেকশন অব রাইটস) ২০১৮  বিলটি লোকসভায় পাশ হওয়ার বিষয়। উদ্যোক্তাদের দাবি এই বিলটি ট্রান্সজেন্ডার পার্সন (ভায়োলেসন অব রাইটস) বিল ছাড়া কিছু নয়। কারণ ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৭ ধারা ফের লাগু করার রায় দেওয়ার পরে আরও একটি রায় সুপ্রিম কোর্ট দেয়। ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে রূপান্তরকামী এবং অন্যান্য প্রান্তিক লিঙ্গ পরিচয়ের মানুষদের অধিকার সংক্রান্ত একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের অন্য একটি বেঞ্চ একটি ঐতিহাসিক রায় দেয়। যে রায় ‘নালসা রায়’ নামে বহুল পরিচিত। রূপান্তরকামী সহ এলজিবিটি সম্প্রদায়ের আপত্তির জায়গাটা হচ্ছে নালসা রায়ে পরিস্কার করে বলা আছে কোনও রূপান্তরকামী মানুষকে জেন্ডার অ্যাফামেটিভ থেরাপির বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যাওয়ার জন্য কোনওরকম চাপ দেওয়া যাবে না। এবং সেটা করা হলে তা আইনত অপরাধ এবং অনৈতিক বলে বিবেচিত হবে। এদিনের অনুষ্ঠানের আলোচকরা দাবি করেন তথাকথিত ‘প্রোটেকশন অব রাইটস’ বিলে রূপান্তরকামী গোষ্ঠীর সামগ্রিক উন্নয়নের প্রশ্নে, শিক্ষা এবং বিকল্প কর্মক্ষেত্রের সন্ধান ও সংরক্ষণের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। উলটে এই বিলের মাধ্যমে কৌশলে হিজড়াবৃত্তিকে অপরাধ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এলজিবিটি ইতিহাস বলছে একজন হিজড়া হিসেবে তার উপর লাঞ্ছনা গঞ্জনা প্রথম আসে নিজদের পরিবার থেকে। তখন সমাজের মূলস্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তাঁরা হিজড়া গোষ্ঠীর পরিবারের কাছে আশ্রয় পায়। আলোচকদের আরও অভিযোগ এই নতুন বিলটি একজন হিজড়াকে মা-বাবার বায়োলজিক্যাল পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়াকে বাধ্যতা মূলক করে দিয়েছে। এবং সংসার সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া মানুষদের আশ্রয়কারী হিজড়া গোষ্ঠীকে আইনত অপরাধী করার কথা বলা হয়েছে। ভারতে এই ছবি হলেও বিদেশের ছবিটা অন্য কথা বলছে।              
একুশ শতাব্দীর বিদেশ অন্য কথা বলছে। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধান। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসন এলজিবিটি (LGBT) সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীর জন্য আমেরিকায় যে আইন আনলেন তারপর সেটা আজ ইতিহাস। আমেরিকা সেখানেই থেমে থাকল না। আমেরিকায় সরকার বদল হলেও ট্রাম্প প্রশাসন এই সম্প্রদায়ের আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় সমস্ত রকমের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন‘এলজিবিটি’ (সমকামী, উভকামী এবং রুপান্তরকামী) গোষ্ঠীভুক্ত মানুষদের স্বীকৃতির লড়াইয়ের ইতিহাস আমরা আমেরিকার সাহিত্য, চলচ্চিত্রে ধারাবাহিকভাবে দেখে আসছি। কলকাতা আমেরিকান সেন্টার গত বছর পুরো জুন মাস ধরে টানা এই বিষয়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শন এবং আলোচনার ব্যবস্থা করেছিলজুন ছিল Pride Month Film Fest. ব্যানারের ছবি। যেমন ‘Philadelphia’ ওই ফেস্টিভ্যালের একটি ছবি ছবিটা আমি দেখেছি। ছবিটি না দেখলে আমরা বুঝতে পারব না ‘এলজিবিটি’ আন্দোলন কতদিন আগে আমেরিকায় শুরু হয়েছিল।
সম্প্রতি ভারতেও একটি দৃষ্টান্তমূলক ঘটনা ঘটল। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধি মহিলা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দিলেন রূপান্তরকামী অপ্সরা রেড্ডিকে। অপ্সরা পেশায় সাংবাদিক এবং সমাজকর্মী। খুব সম্ভবত এলজিবিটি সম্প্রদায় এই স্বীকৃতি চাইছেন। এদিনের কলকাতা ক্যূয়ার সাহিত্য উৎসবের সাহিত্য বিষয়ক আলোচনায় তিনজন মূলধারার প্রকাশক উপস্থিত ছিলেন। স্ত্রী-সাম্য প্রকশনা সংস্থার মন্দিরা সেন, সপ্তর্ষি প্রকাশনীর সৌরভ মুখোপাধ্যায় এবং দেজ প্রকাশনা সংস্থার সিইও শুভঙ্কর দে। তিনজনেই বললেন তাঁরা নতুনদের জন্য তাঁদের ঘরের সব জানলা খুলে রেখেছেন। তাই এই সম্প্রদায়ের সাহিত্য প্রকাশে তাঁদের আপত্তির কিছু নেই। শুভঙ্কর দে আলাদা করে উল্লেখ করে জানান দেজ প্রকাশনা সংস্থা থেকে সৈয়দ মুজতবা সিরাজের মায়া মৃদঙ্গ এবং স্বপ্নময় চক্রবর্তীর হলদে গোলাপ প্রকাশ হয়েছে। শুভঙ্কর নলিনী বেরার উপন্যাস ‘অপৌরুষেয়’ থেকে পাঠ করেন। নলিনী বেরা তার উপন্যাসের এক জায়গায় লিখছেন, ‘’উর্ধ্বাঙ্গে, বুকে, নিম্নাঙ্গে, জানুতে হাত বুলিয়ে দেখল আনন্দী। না নারীর বুকের উন্নতি ঢেউ-তার বুকে নেই। আবার পুরুষের দেহের উন্নতি, দৃঢ়তাও তার নিম্নাঙ্গে নেই। শুধুই সমতল সমতল। এতটুকু আকঢাঁক নেই। উন্নতি নেই অবনতি নেই- এ কেমন নদী? এ কেমন নদী প্রবাহ? না-নারী না পুরুষ, আনন্দী ‘হিজড়ে’। আনন্দী অন্য মানুষ।........................ বাইরে থেকে ভিক্ষাবৃত্তি নয়, কুম্ভকার সমাজের ভিতরে বাস করে ‘হিজড়ে’ আনন্দীর অন্য জীবন। একই সঙ্গে আনন্দী ও কুম্ভকার সমাজজীবনের ইতিবৃত্ত-ই অপৌরুষেয়।‘’
প্রাসঙ্গিক হবে উল্লেখ করা। এছরের কলকাতা বইমেলায় ‘এলজিবিটি’ সম্প্রদায়ের জন্য কোনও স্টল বা আলাদা প্যাভেলিয়নের ব্যবস্থা থাকছে? জানতে চেয়েছিলাম পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চ্যাটার্জীর কাছে। ত্রিদিববাবু জানালেন, ‘’না এবছর কোনও স্টল নেই। তৃতীয় লিঙ্গের বা এলজিবিটি সম্প্রদায়ের কোনও গোষ্ঠী আমাদের কাছে আবেদন করেনি। তাঁরা আবেদন করলে আমরা ভেবে দেখব।‘’
গ্যেটে-ইন্সটিটিউট/ম্যাক্সম্যুলার ভবন কলকাতার ডিরেক্টর ফ্রেসো মেকার (Freso Mecker) ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় বললেন, ‘’আমরা চাই এই সম্প্রদায়ের মানুষ স্বাধীনতা পাক। তাঁরা তাঁদের মনের ভাষা প্রকাশ করুক। ব্যক্তিগতভাবে আত্মপ্রকাশ হোক সকলের। আমার আশা এই মঞ্চ নতুন প্রতিভা তুলে আনতে সহায়ক হবে।‘’               

Comments

Popular posts from this blog

দু’জন বাঙালি বিঞ্জানীর গণিতিক পদার্থ বিঞ্জানে বিশ্ব বিখ্যাত আবিষ্কার

‘ইউনিভার্সাল রিলিজিয়ন’ ও ভারতীয় সাধারণতন্ত্র

লোকসভা অধিবেশন শুরুর পরেই কি ধর্মঘট প্রত্যাহার?